পাতাল বা অধোলোক হল বিভিন্ন ধর্মসংস্কৃতিতে মৃতদের জগৎ বা মৃত্যু-পরবর্তী স্থান যা অবস্থিত জীবিতদের জগৎ বা ইহজগতের নিচে।[১] পাতালের ধারণা প্রায় সব সভ্যতাতেই পাওয়া যায় এবং "হয়ত মানবজাতির আদি হতেই অস্তিমান"।[২] পাতালশ্রুতির প্রচলিত বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে নিয়ত কোন বীরত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে জীবন্ত মানুষের পাতাল ভ্রমণের কথা। অন্যান্য পুরাকথা এমন ঐতিহ্য বলবত করে যে আত্মার পাতালগমন বা অধোলোকে প্রবেশের জন্য কিছু অনুষ্ঠান-ক্রিয়াকর্ম যথাযথ পালন করা প্রয়োজন, যেমন ভারতীয় হিন্দু সমাজে বিশ্বাস করা হয় যে কারোর শেষকৃত্য না হলে সে সমাজের অপকারের উদ্দেশ্যে ভূত হয়ে ফিরে আসে।[৩] সামাজিক মর্যাদাবান ব্যক্তিদের সঠিক ভাবে পাতাল পাড়ি দিতে ভূষিত ও সজ্জিত করা হত।[৪]
↑ইসাবেল লোরিং ওয়ালেস, জেনি হার্শ, সমসাময়িক শিল্প ও চিরায়িত পুরাকথা (Contemporary Art and Classical Myth) (২০১১), পৃ. ২৯৫।
↑ব্রিটানিকা; ডেল হয়বার্গ; ইন্দু রামচন্দানি (২০০০), স্টুডেন্টস ব্রিটানিকা ইন্ডিয়া (Students' Britannica India), খণ্ড ১-৫, পপুলার প্রকাশন, ২০০০, আইএসবিএন978-0-85229-760-5, ... ভূতদের অপকারী হিসেবে বিশ্বাস করা হয় যদি তারা কোন নির্ঘাত অপমৃত্যু বা অকাল মৃত্যুর শিকার হয়ে থাকে অথবা তাদের শেষকৃত্য না করা হয়ে থাকে (Bhoots are believed to be malignant if they have died a violent of premature death or have been denied funerary rites) ...উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑জন মিলস, পাতাললোক: অচেতনের দর্শন মনঃসমীক্ষণ থেকে অধিবিদ্যা পর্যন্ত (Underworlds: Philosophies of the Unconscious from Psychoanalysis to Metaphysics) (২০১৪), পৃ. ১।
↑T. Williams, J. Calvert, Fiji and the Fijians, Heylin, 1858.