পৌরাণিক কাহিনী
পুরাণ বা পৌরাণিক কাহিনী হল সমাজে প্রচলিত লোক কাহিনির প্রাচীন প্রকারভেদ।[৩] সাধারণত বিশ্বজগৎ, পৃথিবী, প্রকৃতি ও মানব সভ্যতা ইত্যাদির উৎপত্তি ও স্বভাব ব্যাখ্যা করতে প্রাচীনকালে ও মধ্যযুগে এই লোককাহিনির জন্ম হয়েছিল। সাধারণত পৌরাণিক কাহিনীগুলো আবর্তিত হয় দেবদেবীদের ঘিরে, যারা বিশ্বজগতের বিভিন্ন প্রপঞ্চের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখেন। যেমন, কেউ সূর্যের দেবতা, কেউ সমুদ্রের দেবতা ইত্যাদি। ইংরেজিতে পুরাণকে মিথ (Myth) বলে যা এসেছে গ্রিক শব্দ মিথোস μῦθος); মিথোস মানে গল্প বা কেচ্ছা। পুরাণ পাঠাতে পারেন হয় অধ্যয়নের কাল্পনিক, বা একটি শরীর বা সংগ্রহ কাল্পনিক.[৪] শ্রুতি করতে পারেন, মানে 'পবিত্র গল্প', 'প্রথাগত আখ্যান' বা 'টেল দেবতা'. একটি শ্রুতি হতে পারে একটি গল্প ব্যাখ্যা করার কেন কিছু বিদ্যমান ।
পৃথিবীর উৎপত্তি বা অস্তিত্বের প্রশ্নে মানব সভ্যতা সব সময় পৌরাণিক কাহিনী বেছে নিয়েছে। এ সকল পৌরাণিক কাহিনীতে সাধারণত অনেক দেব দেবী বিভিন্ন উদ্ভিদ এবং পশুপাখি দ্বারা সমৃদ্ধ থাকে যা রূপকথা গুলোতে প্রাণ সঞ্চার করে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সব রূপকথায় কোন নির্দিষ্ট সময়কাল থাকে না। এগুলো সম্পূর্ণ হবার কোন লিখিত তথ্য নেই যা ইতিহাসে থেকে থাকে। কিছু কিছু রূপ কথায় বিভিন্ন চিহ্নের উল্লেখ থাকে যার দ্বারা বিভিন্ন অর্থ দ্বারা করানো যায়। পৌরাণিক কাহিনী একটি পবিত্র আখ্যান, কারণ এটি ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক তাৎপর্য পূর্ণ তাদের জন্য যারা এটি বর্ণনা করে । এছাড়াও পৌরাণিক কাহিনী সংস্কৃতিক চিন্তা ও মান প্রকাশে অবদান রাখে, যেমন gremlins দ্বারা উদ্ভাবিত বিমান প্রযুক্তিবিদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোর অংশ হিসাবে দায়ী । বর্তমান সময়ে এসে প্রায়ই পৌরাণিক কাহিনী গুলো অতিরঞ্জিত ভাবে তুলে ধরা হয়।
গ্রিক পৌরাণিক কাহিনী
[সম্পাদনা]Albert A. Anderson এর মতে mythos শব্দটি হেমারের বিভিন্ন কাজে দেখা গেছে। [৫] এমন কি হেমার যুগের কবিরাও এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন তাদের সাহিত্য কর্মে।
mythos শব্দটি প্রায়শই ব্যর্থ হয়েছে সত্য অথবা মিথ্যার মাঝে পার্থক্য বোঝাতে। David wiles এর মতে প্রাচীন গ্রীসে শব্দটি বিপুল তাৎপর্য বহন করতো। এটি ব্যবহার করা হত মিথ্যাচার ধর্মীয় ব্যাপারগুলোকে উপস্থাপন করার সময়।
প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে
[সম্পাদনা]পৌরাণিক কাহিনীর যে চরিত্রগুলো আছে সেগুলো দিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন লোকগাথা তৈরি হয়েছে যেগুলোতে এ চরিত্রগুলোর ব্যবহার ব্যপক। [৬] সাধারণ রূপকথায় অনেক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় যেগুলো দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে উদাহরণ দেওয়া যায় যা এর ব্যবহার মাত্রা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রচলিত ব্যবহার
[সম্পাদনা]সত্যিকার অর্থে পৌরাণিক কাহিনীর কোন ভিত্তি নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মীয় পৌরাণিক কাহিনীগুলো সন্দেহের উদ্রেক করে। কিন্তু এ ব্যপার গূলো ঐ ধর্মাবলম্বীদের মনে আঘাত সৃষ্টি করে থাকে যারা বিশ্বাস করে রূপকথার ভিত্তিহীনতার দ্বারা।
মানব চরিত্রের সাধারণ বৈশিষ্ট এই যে, তারা সব সময় এ মহাবিশ্ব সম্পর্কে এর সৃষ্টি সম্পর্কে অভিভূত হয়ে এসেছে আর ঠিক তাই তারা খুঁজে বেরিয়েছে এর সৃষ্টির রহস্য যাকে অর্থ দান করার লক্ষেই তৈরি রূপকথা।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The Myth of Io."। The Walters Art Museum। ১৬ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ For more information on this panel, please see Zeri catalogue number 64, pp. 100-101
- ↑ Merriam-Webster's Encyclopedia of Literature.
- ↑ Kirk, p. 8; "myth", Encyclopedia Britannica
- ↑ Anderson (2004), p. 61
- ↑ "Define Mythography at Dictionary.com"। Dictionary.com। Dictionary.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Anderson, Albert A. (২০০৪), "Mythos, Logos, and Telos: How to Regain the Love of Wisdom", Anderson, Albert A.; Hicks, Steven V.; Witkowski, Lech, Mythos and Logos: How to Regain the Love of Wisdom, Rodopi, আইএসবিএন 978-9042010208
- Lincoln, Bruce (১৯৯৯), "The Prehistory of Mythos and Logos", Theorizing Myth: Narrative, Ideology, and Scholarship, University of Chicago Press, আইএসবিএন 978-0226482026
- Wiles, David (২০০০), "Myth", Greek Theatre Performance: An Introduction, Cambridge University Press, আইএসবিএন 978-0521648578