গোলাম ফারুক অভি
গোলাম ফারুক অভি | |
---|---|
বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ জুন ১৯৯৬ – ২০০১ | |
পূর্বসূরী | সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল |
উত্তরসূরী | সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি |
গোলাম ফারুক অভি বাংলাদেশের বরিশাল জেলার রাজনীতিবিদ ও বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১][২]
প্রাথমিক জীবন
[উৎস সম্পাদনা]গোলাম ফারুক অভি বরিশাল জেলার উজিরপুরের ধামুরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম আমিনা বেগম।
রাজনৈতিক জীবন
[উৎস সম্পাদনা]ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় গোলাম ফারুক অভি ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এ সময়ে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। অভি একটি অংশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তার সাথে তৎকালীন সরকারের গোপন যোগাযোগ রয়েছে, এই অভিযোগে ঐ বছরের ২৫ নভেম্বর তাকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৯৬ সালের ৯ মে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং ১২ জুন অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ৭ম সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন।[২]
১৯৯৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বিএনপি র সাথে সংসদ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলে জাতীয় পার্টির তৎকালীন মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে গোলাম ফারুক অভিসহ দলের ১০ জন সংসদ সদস্য ভিন্নমত পোষণ করেন এবং এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) গঠিত হলে গোলাম ফারুক অভি এই দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম ফারুক অভি পরাজিত হন।[৩]
বিতর্ক ও খুনের অভিযোগ
[উৎস সম্পাদনা]১৯৮৯ সালে একটি হত্যা মামলার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে আটকাদেশ দেওয়া হয়। ২৭ নভেম্বর ১৯৯০ সালে ডা. মিলন হত্যায়ও তিনি অভিযুক্ত ছিলেন।[৩] ১৮ মে ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের গেস্ট রুম থেকে একটি কাটারাইফেল ও বিদেশি পিস্তলস হগ্রেফতার হয়েছিলেন।[৩] ২১ আগস্ট ১৯৯৩ সালে ওই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড হলে তিন বছর কারাভোগের পর উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন পান তিনি।[৩] পরবর্তী সময়ে ডা. মিলন হত্যাসহ দুটি হত্যা মামলায় খালাস পান তিনি।[৩][৪][৫][৬] অভির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এই মামলাগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেন।
মডেল ও অভিনয়শিল্পী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি তিনি। হত্যার ঘটনায় ১১ নভেম্বর ২০০২ সালে মামলা হলে এজাহারে তার নাম না থাকলেও চার্জশিটে তাকে আসামি করা হয়। ২০০২ সালে তিনি দেশ ত্যাগ করে কানাডায় চলে যান। তিনিই মামলার একমাত্র আসামি। ২০০৭ সালে ও ২০১৮ সালে ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে লাল নোটিশ জারি করে। ৮ নভেম্বর ২০০৮ সালে এ হত্যামামলার একমাত্র আসামি গোলাম ফারুক অভিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় অপরাধ তদন্ত বিভাগ। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এই মামলায় অনুপস্থিত অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।[৬][৭][৮] অভির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী মডেল তিন্নি আত্মহত্যা করেছেন, এই মর্মে মামলাটি খারিজ করার জন্য বিচারাধীন আদালতে আবেদন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া প্রায় পাঁচ বছর স্থগিত থাকার পরে ২০১৫ সালে মামলাটির বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। ২০১৯ সালের ১৯ অগাস্ট মামলাটি রায়ের জন্য ধার্য ছিল। রায়ের তারিখ ৩১ বার পরিবর্তন করার পর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালত স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য পুনরায় নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। ২০২২ সালে মামলাটির স্বাক্ষ্য পর্ব আবার নতুন করে শুরু হয়।
তথ্যসূত্র
[উৎস সম্পাদনা]- ↑ "গোলাম ফারুক, আসন নং: ১২০, বরিশাল-২, দল: জাতীয় পার্টি (লাঙল)"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০।
- ↑ ক খ "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "অভি এখন কোথায়"। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ১৯ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "সেই অভি এখন কোথায়?"। সিসি নিউজ। ২০১৭-০৬-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "শখের পিস্তল, ডগ ও কাফনের কাপড়"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৯-০৬-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৮।
- ↑ ক খ মবিনুল ইসলাম (১৮ এপ্রিল ২০১৬)। "১৪ বছর ধরে পলাতক গোলাম ফারুক অভি"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৮ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ নিজস্ব প্রতিবেদক (১৫ ডিসেম্বর ২০১০)। "মডেল তিন্নি হত্যা মামলা, গোলাম ফারুক অভির পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে রুল"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৮ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০।
- ↑ "১৭ বছরে বিচার হয়নি মডেল তিন্নি হত্যার, আলোচিত অভি কোথায়?"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ২২ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |