মরিস সিভার্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Morris Sievers থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মরিস সিভার্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমরিস উইলিয়াম সিভার্স
জন্ম(১৯১২-০৩-১৩)১৩ মার্চ ১৯১২
পলেট রিভার, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১০ মে ১৯৬৮(1968-05-10) (বয়স ৫৬)
ব্রান্সউইক, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৭)
৪ ডিসেম্বর ১৯৩৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১ জানুয়ারি ১৯৩৭ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৫৮
রানের সংখ্যা ৬৭ ২০৭৫
ব্যাটিং গড় ১৩.৪০ ২৯.৬৪
১০০/৫০ ০/০ ০/১৪
সর্বোচ্চ রান ২৫* ৭৬
বল করেছে ৬০২ ১০০৩৫
উইকেট ১১৬
বোলিং গড় ১৭.৮৮ ৩৩.৩৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/২১ ৬/৪৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/০ ৫৬/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ আগস্ট ২০১৯

মরিস উইলিয়াম সিভার্স (ইংরেজি: Morris Sievers; জন্ম: ১৩ এপ্রিল, ১৯১২ - মৃত্যু: ১০ মে, ১৯৬৮) ভিক্টোরিয়ার পলেট রিভার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৭ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন মরিস সিভার্স

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩৩-৩৪ মৌসুম থেকে ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম পর্যন্ত মরিস সিভার্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৩০ সালে ১৭ বছর বয়সে কোল্টসের পক্ষে মরিস সিভার্সের খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে।[৪] নিচেরসারির কার্যকরী ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে মরিস সিভার্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব-পর্যন্ত শেফিল্ড শিল্ডে প্রভাববিস্তারকারী ভিক্টোরিয়া দলের পক্ষে খেলতেন। এ পর্যায়ে অনেকগুলো পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেও বোলিংয়ে বেশ রান দিয়ে ফেলতেন। রাজ্য দলের পক্ষে ৩৫.৮১ গড়ে ৯২ উইকেট ও ২৮.০০ গড়ে ১৫৪০ রান তুলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন মরিস সিভার্স। ৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১ জানুয়ারি, ১৯৩৭ তারিখে মেলবোর্নে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে ভিক রিচার্ডসনের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। তবে, ক্ল্যারি গ্রিমেটবিল ও’রিলির ন্যায় বিশ্বখ্যাত স্পিনারদ্বয়ের উপস্থিতিতে তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণের জন্যে ডাকা হয়নি। ঐ সময়ে তিনি কেবলমাত্র সাতটি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছিলেন।

১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে গাবি অ্যালেনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দল অস্ট্রেলিয়া সফরে আসে। সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার।[৫][৬] তবে, বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে স্বাগতিক দল ব্রিসবেন ও সিডনি টেস্টে পরাভূত হয়েছিল। এক্ষেত্রে মরিস সিভার্সও ব্যাট কিংবা বল হাতে কোন প্রভাব ফেলতে পারেননি।

মেলবোর্নের তৃতীয় টেস্টে উল্টো প্রতিক্রিয়া ঘটে। এক্ষেত্রে আবহাওয়া বিরূপ প্রভাব ফেলে। নিষ্প্রাণ পিচের প্রথমে দিন অস্ট্রেলিয়া বেশ নাকানিচুবানি খায়। ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান ২০০/৯ তুলে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করেন। ইংল্যান্ড দল মাঠে নামে। পিচে তখন অপ্রত্যাশিতভাবে বাউন্স হচ্ছিল। সিভার্সেরও তখন বেশ সুবিধে হয়। সফরকারীরা মাত্র ৭৬/৯ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। সিভার্স ৫/২১ নিয়ে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। এরপর ব্র্যাডম্যান নিচেরসারির ব্যাটসম্যানদেরকে আগে পাঠান। নিজে করেন ২৭০ রান। অস্ট্রেলিয়া খেলায় ৩৬৫ রানে জয়লাভ করে ও অপর দুই টেস্টে জয় পেয়ে অ্যাশেজ অক্ষত রাখতে সক্ষম হয়।[১][৪][৭] এ সিরিজে ১৭.৮৮ গড়ে নয় উইকেট নিয়ে দলের বোলিং গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। মেলবোর্ন টেস্টে প্রাণান্তকর চেষ্টা সত্ত্বেও মরিস সিভার্সকে ইংল্যান্ড গমন করা থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর আর তাকে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।[৪]

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৪৬ সালের পূর্ব-পর্যন্ত ক্রিকেট খেলতে থাকেন। প্রথম একাদশে খেলে ১৬ ঊর্ধ্ব গড়ে ২৭০টি উইকেট লাভ করেন।[৪] ১০ মে, ১৯৬৮ তারিখে ৫৬ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভিক্টোরিয়ার ব্রান্সউইক এলাকার হাসপাতালে মরিস সিভার্সের দেহাবসান ঘটে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Morris Sievers | Australia Cricket | Cricket Players and Officials"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১১ 
  2. "Australia Cricket Player Morris William Sievers Biography"। Australia.cricketworld4u.com। ৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১১ 
  3. "Team Profile – Australia Cricket Team"। Sheetudeep.com। ১৩ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১১ 
  4. Huf, Ben (২০০৬)। "The brief and the bizarre"। Premier.cricketvictoria.com.au। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  5. [১] The Calgary Daily Herald, 8 December 1936
  6. "Cricket Scorecard – Australia vs England at Brisbane, Australia – Marylebone Cricket Club in Australia 1936/37"। Thatscricket.oneindia.in। ৯ ডিসেম্বর ১৯৩৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "3rd Test: Australia v England at Melbourne, Jan 1–7, 1937 | Cricket Scorecard"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১১ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]