জেফ নবলেট
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেফেরি নবলেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পার্কসাইড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯১৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৬ আগস্ট ২০০৬ অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৮৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮৪) | ৩ মার্চ ১৯৫০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৫/৪৬ - ১৯৫২/৫৩ | সাউথ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ জুন ২০১৯ |
জেফেরি নবলেট (ইংরেজি: Geff Noblet; জন্ম: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯১৬ - মৃত্যু: ১৬ আগস্ট, ২০০৬) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পার্কসাইড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন জেফ নবলেট।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]পারিবারিক শুভাকাঙ্খির কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে নিজের প্রথম নামটি পান। জন্ম নিবন্ধনকালে ভুল বানান বলা হয়। নবলেট নিজেও তার নামের বানান সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। প্রাপ্তবয়ষ্ক হবার পরই জন্মনিবন্ধন সনদে তা দেখতে পান।[২]
১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৫২-৫৩ মৌসুম পর্যন্ত জেফ নবলেটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তন্মধ্যে, ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে জেফ নবলেট তার স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত করেন। সাউথ অস্ট্রেলিয়ান বোলার হিসেবে ৩৮ বছরের মধ্যে সেরা বোলিং করেন। ১৫.৪০ গড়ে ৩৮ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ১৯০৯-১০ মৌসুমে রবার্ট রিসের ১০/১২৯ লাভের পর খেলায় তিনি দশ বা ততোধিক উইকেট লাভের অধিকারী হন।[৩]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন জেফ নবলেট। ৩ মার্চ, ১৯৫০ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩ তারিখে মেলবোর্নে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।
১৯৪৯-৫০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে খেলার জন্যে মনোনয়ন লাভ করেন। দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। এ সফরের প্রাক্কালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নবলেট ও দলীয় সঙ্গী গিল ল্যাংলিকে তাদের নিজস্ব পছন্দ মোতাবেক উপহার প্রদান করা হয়েছিল। নবলেট কফি টেবিল এবং ল্যাংলি আদর্শমানসম্পন্ন বৈদ্যুতিক বাতি, কফি ট্রে ও ছাইদানির কথা বলেছিলেন।[৪]
১৯৫১-৫২ মৌসুমে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে মাঠে নামার বিষয়টি সর্বাপেক্ষা স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে তার জীবনে চিত্রিত হয়ে থাকবে। উভয় ইনিংসে ফিল্ডিংকালে আর্থার মরিসের উরুতে আঘাত পেলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তবে, মরিস মাত্র ৬ ও ১২ রান তুলেছিলেন। তবে, মাঠের পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত ছিল ও এতোটাই চিত্তাকর্ষক ছিল যে কখন তিনি মাঠে পা রেখেছিলেন তা তার মনেই নেই। যুদ্ধ পরবর্তীকালে রে লিন্ডওয়াল, কিথ মিলার ও বিল জনস্টন - এ ত্রিরত্নের সাথে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ বোলার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। লিন্ডওয়ালের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩/২১ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ফলো-অনে ফেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
মূল্যায়ন
[সম্পাদনা]হালকা-পাতলা গড়নের শীর্ণকায় জেফ নবলেট বোলিংকালে বেশ উঁচুতে লাফাতেন। ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ঐ সময়ের অস্ট্রেলীয় দলীয় সঙ্গীদের তুলনায় বেশ কম ছিলেন। অ্যাডিলেডে একবার অনুশীলনীমূলক খেলায় বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট তারকা ফ্রাঙ্ক ওরেলকে জোড়া শূন্য রানে বিদেয় করেছিলেন। বিশ্বযুদ্ধের পর অস্ট্রেলিয়া একাদশে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে কোন সমস্যা থাকার কথা ছিল না। কিন্তু, তিনি তার পুরো খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বদাই জাতীয় দল থেকে দূরে অবস্থান করেছেন। দলীয় সঙ্গীদের অভিমত, দূর্ভাগ্যবশতঃ ১৯৫৩ সালে তাকে ইংল্যান্ড গমনে রাখা হয়নি। তার পরিবর্তে উদীয়মান তরুণ রন আর্চারকে দলে রাখা হয়েছিল।
রে লিন্ডওয়াল ও কিথ মিলারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পেলেও স্বীয় উচ্চতা ও অদ্ভুত বোলিং ভঙ্গীমার কারণে পর্যাপ্ত বাউন্স দিতেন। কেবলমাত্র সাত পদক্ষেপ নিয়ে দৌঁড়ুতেন। অফ-স্ট্যাম্প বরাবর বোলিং করলেও ডন ব্র্যাডম্যান ঐ বল কুড়িয়ে অন্য কাউকে দিতেন।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]২০০৩ সালে ক্রিকেট খেলায় অনন্য সাধারণ ভূমিকা রাখার প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়া মেডেল অর্ডার পদবীতে ভূষিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। বেটি নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। সুসান ও এলিজাবেথ নাম্নী দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। ১৬ আগস্ট, ২০০৬ তারিখে ৮৯ বছর বয়সে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জেফ নবলেটের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Former Test bowler Geff Noblet dies aged 89
- ↑ The Advertiser (Adelaide), "Geff Not Jeff", 2 September 1949, p. 8
- ↑ Kneebone, H. "Noblet, 'Best For 38 Years'", The Advertiser (Adelaide), 2 September 1949, p. 5
- ↑ The Advertiser (Adelaide), "Farewell to Langley and Noblet", 6 September 1949, p, 10
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জেফ নবলেট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জেফ নবলেট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী দত্ত ফাদকর |
পেশাদার নেলসন ক্রিকেট ক্লাব ১৯৫৫–১৯৫৬ |
উত্তরসূরী বালু গুপ্তে |