অ্যালেন ইগলসডেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Alan Igglesden থেকে পুনর্নির্দেশিত)
অ্যালেন ইগলসডেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅ্যালেন পল ইগলসডেন
জন্ম(১৯৬৪-১০-০৮)৮ অক্টোবর ১৯৬৪
ফার্নবোরা, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১ নভেম্বর ২০২১(2021-11-01) (বয়স ৫৭)
অ্যাপার্লি ব্রিজ, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৪০)
২৪ আগস্ট ১৯৮৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৭ মার্চ ১৯৯৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১২৩)
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই৫ মার্চ ১৯৯৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৭ - ১৯৯৮কেন্ট
১৯৮৭/৮৮ - ১৯৮৮/৮৯ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৯২/৯৩বোল্যান্ড
১৯৯৯বার্কশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৫৪ ১৫১
রানের সংখ্যা ২০ ৮৭৬ ১৮৫
ব্যাটিং গড় ৩.০০ ১০.০০ ৮.৩৪ ১০.২৭
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান * ১৮ ৪১ ২৬*
বল করেছে ৫৫৫ ১৬৮ ২৬,৫৭৯ ৭,২২৫
উইকেট ৫০৩ ১৯০
বোলিং গড় ৫৪.৮৩ ৬১.০০ ২৬.৮১ ২৪.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৩
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৯১ ২/১২ ৭/২৮ ৫/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১/– ৪০/– ২৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

অ্যালেন পল ইগলসডেন (ইংরেজি: Alan Igglesden; জন্ম: ৮ অক্টোবর, ১৯৬৪–মৃত্যু: ১ নভেম্বর, ২০২১) লন্ডনের ফার্নবোরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৯০-এর দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও বোল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন অ্যালেন ইগলসডেন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৬৪ সালে লন্ডনের ফার্নবোরা এলাকায় অ্যালেন ইগলসডেনের জন্ম।[২] ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অ্যালেন ইগলসডেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেন্টের পক্ষে খেলেছেন।

শুরুতে ১৯৮৩ সালে কেন্টের দ্বিতীয় একাদশের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। এরপর, জুলাই, ১৯৮৬ সালে মেইডস্টোনের মোট পার্কে সমারসেটের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। আগস্ট, ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কেন্টের পক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে কেন্টের প্রথম একাদশের পক্ষে ২৭৬ খেলায় অংশ নিয়ে ৪০৯টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। চার মৌসুমে পঞ্চাশটি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। সতেরোবার পাঁচ-উইকেটসহ খেলায় দুইবার দশ উইকেটের সন্ধান পান।[৩][৪] দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সবোল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। কাউন্টি খেলোয়াড়ী জীবন সমাপণান্তে ১৯৯৯ সালে মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে বার্কশায়ারের পক্ষে খেলেছিলেন তিন।[৪]

ক্রমাগত আঘাতের কারণে কেন্টের প্রাণবন্ত সিম বোলিংয়ে পারদর্শী অ্যালেন ইগলসডেন মাত্র তিন টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ড দলে নিয়মিত বিরতিতে দ্রুত বোলিং উদ্বোধনে আগুয়ান বোলারদের পরিবর্তনে অগ্রসর হয়েছিল। তবে, দূর্ভাগ্যজনকভাবে তাকে গণনায় আনা হয়নি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যালেন ইগলসডেন। ২৪ আগস্ট, ১৯৮৯ তারিখে ওভালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৭ মার্চ, ১৯৯৪ তারিখে জর্জটাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৮৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[৪] অন্যান্য খেলোয়াড়ের আঘাতপ্রাপ্তির পাশাপাশি নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের কারণে টেস্ট ক্রিকেটার হতে পেরেছিলেন। ইংল্যান্ড দলের ব্যবস্থাপক মিকি স্টুয়ার্ট অ্যালেন ইগলসডেনের অন্তর্ভূক্তির প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, তিনি পেস বোলারদের পছন্দের তালিকায় সপ্তদশ অবস্থানে ছিলেন।[১] অভিষেক খেলায় তিন উইকেট পান তিনি।

১৯৮৯-৯০ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে সফরে ইংল্যান্ড এ দলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন। তবে, ১৯৯৩ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে ইংল্যান্ড দলে আর খেলানো হয়নি।[৫] ১৯৯৩ সালে আবারো তাকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার জন্যে দলে রাখা হয়। নিজেকে মেলে ধরতে তিনি হয়তোবা আরও কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। শেষ পর্যন্ত ঐ গ্রীষ্মে তিনি আর কোন টেস্টেই অংশ নিতে পারেননি। কুঁচকির আঘাত ও বাহুতে টান পরার কারণে তার এই অনুপস্থিতি ছিল।[৫][৬] পরবর্তী শীতকালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করেন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট ও চারটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। তবে, টেস্টে তিনি মাত্র তিন উইকেট লাভে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর আর তাকে দলে নেয়া হয়নি।[৪]

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৯৯ সালে বার্কশায়ারের পক্ষে খেলাকালীন অস্বস্তিবোধ করেন। ১৯৯৯ সালে তার অস্ত্রোপচার হয় ও এরপর থেকে নিয়মিতভাবে এমআরআই স্ক্যান করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা ত্রুটিবিহীন কিন্তু অস্ত্রোপচারের অনুপযোগী মস্তিষ্কের টিউমারের সন্ধান পান। [৭][৮] রেডওথেরাপি ও ঔষধ সেবনের মাধ্যমে চিকিৎসা চালান এবং টিউমারের আকার কমিয়ে আনতে সক্ষম হন।[৭][৮]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর উডহাউজ গ্রোভ স্কুলের ক্রীড়া কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও, কেন্টভিত্তিক সাটন ভ্যালেন্স স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।[৭][৮][৯] তিনি মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্তদের সহায়তাকল্পে দাতব্য কর্মে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 98আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. Alan Igglesden, CricInfo. Retrieved 20 November 2017.
  3. Bowling records, in Kent County Cricket Club Annual 2017, pp.197–205. Canterbury: Kent County Cricket Club.
  4. Alan Igglesden, CricketArchive. Retrieved 20 November 2017.
  5. Moore G (1993) Cricket: Bad luck dogs Kent's big man: Alan Igglesden could again be robbed of his Test chance by injury. Glenn Moore reports, The Independent, 26 June 1993. Retrieved 20 November 2017.
  6. "The elegance of youth"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৭ 
  7. Petropoulos T (2004) 'Being alive is all that counts', BBC News, 26 December 2004. Retrieved 20 November 2017.
  8. Armstrong R (2008) The greatest Test of all: Alan Igglesden on surviving a brain tumour, The Independent, 31 March 2008. Retrieved 20 November 2017.
  9. Where are they now? Kent – 1995 AXA Sunday League winners, The Cricket Paper, 2 June 2015. Retrieved 20 November 2017.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]