বিষয়বস্তুতে চলুন

হেতিজা সুলতান (তৃতীয় আহমেদের কন্যা)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হেতিজা সুলতান
জন্ম(১৭১০-০৯-২৭)২৭ সেপ্টেম্বর ১৭১০
তোপকাপি প্রাসাদ, কনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
(বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুরস্ক)
মৃত্যু১৭৩৮ (বয়স ২৭–২৮)
কিবলা প্রাসাদ, ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
সমাধি
নতুন মসজিদ, ইস্তাম্বুল
দাম্পত্য সঙ্গীহাফিজ আহমেদ পাশা (বি. ১৭২৪; মৃ. ১৭৩০) হালিল আগা (বি. ১৭৩০)
বংশধরদ্বিতীয় বিয়ে
সুলতানজাদে সুলাইমান ইজ্জি এফেন্দি
রাজবংশউসমানীয়
পিতাতৃতীয় আহমেদ
মাতারুকিয়ে কাদিন
ধর্মসুন্নি ইসলাম

হেতিজা সুলতান (উসমানীয় তুর্কি: خدیجه سلطان; ২৭ সেপ্টেম্বর ১৭১০ – ১৭৩৮) ছিলেন একজন উসমানীয় শাহজাদী। তিনি সুলতান তৃতীয় আহমেদ এবং তার স্ত্রী রুকিয়ে কাদিনের কন্যা।

হেতিজা সুলতান ১৭১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তোপকাপি প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন।[] তার পিতার নাম সুলতান তৃতীয় আহমেদ এবং মাতার নাম রুকিয়ে কাদিন। তার একজন ছোট ভাই ছিল।‌ যার নাম শাহজাদা মেহমেদ[][]

বিবাহ

[সম্পাদনা]

১৭২৪ সালে তার পিতা তাকে বিশিষ্ট প্রাদেশিক গভর্নর হাফিজ আহমেদ পাশার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। হাফিজ আহমেদ পাশা বিশিষ্ট উজিরে আজম সার্কেস ওসমান পাশার পুত্র[] ও প্রধান উজিরে আজম নেভশেহিরলি দামাত ইব্রাহিম পাশার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।[] ১৭২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হাফিজ আহমেদ পাশার দেওয়া বিবাহের উপহারগুলি প্রধান উজিরে আজম প্রাসাদ থেকে রাজকীয় প্রাসাদে নিয়ে যান এবং একই দিনে বিবাহ চুক্তি সম্পন্ন করেন।[] একই দিনে তার সৎ বোন উম্মুগুলসুম সুলতান এবং আতিকে সুলতানের বিয়ে হয়েছিল। ১৭২৪ সালের ৬ মার্চে হেতিজা সুলতানকে তোপকাপি প্রাসাদ থেকে কিবলা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর ৯ মার্চ শাহজাদীকে তার প্রাসাদে নিয়ে যান।[]

১৭৩০ সালে যখন হাফিজ আহমেদ পাশা বিদ্রোহে নিহত হন এবং আহমেদ পাশার বাবাকে পদচ্যুত করা হয়, তখন হেতিজা সুলতান বিধবা হয়েছিল। অতঃপর তিনি হালিল আগাকে পুনরায় বিবাহ করেন এবং তার একটি পুত্র সন্তান হয়।[]

বংশধর

[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিবাহের মাধ্যমে, হেতিজি সুলতানের একজন পুত্র জন্ম নেন:[]

  • সুলতানজাদে সুলাইমান ইজ্জি এফেন্দি

দানশালা

[সম্পাদনা]

১৭২৮ এবং ১৭২৯ সালে হেতিজা সুলতান উস্কুদারে দুটি ঝর্ণা চালু করেছিলেন। পরবর্তীতে হেতিজা সুলতানের সম্মানে তার বাবা আরেকটি ঝর্ণা চালু করেছিলেন।[][১০]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

হেতিজা সুলতান ১৭৩৮ সালে কিবলা প্রাসাদে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে ইস্তাম্বুলের নতুন মসজিদে দাফন করা হয়।[১১][১০]

পূর্বপুরুষ

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

গ্রন্থসূত্র

[সম্পাদনা]
  • Duindam, Jeroen; Artan, Tülay; Kunt, Metin (আগস্ট ১১, ২০১১)। Royal Courts in Dynastic States and Empires: A Global Perspective [রাজবংশীয় রাজ্য এবং সাম্রাজ্যের রাজকীয় আদালত: একটি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিকোণ] (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। আইএসবিএন 978-9-004-20622-9 
  • Sakaoğlu, Necdet (২০০৮)। Bu mülkün kadın sultanları: Vâlide sultanlar, hâtunlar, hasekiler, kadınefendiler, sultanefendiler [এই সাম্রাজ্যের মহিলা সুলতানা: বৈধ সুলতানা, হাসেকি, হারুন] (তুর্কি ভাষায়)। Oğlak Yayıncılık। আইএসবিএন 978-9-753-29623-6 

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. সিলাহদার ফিন্ডিকলিলি মেহমেদ আগা (২০০১)। Nusretnâme: Tahlil ve Metin (1106-1133/1695-1721) [নুসরেতনাম: বিশ্লেষণ এবং পাঠ্য (১১০৬-১১৩৩ / ১৬৯৫-১৭২১)]। পৃষ্ঠা 733। 
  2. Sakaoğlu 2008, পৃ. 432-33।
  3. Sakaoğlu 2008, পৃ. 433।
  4. Duindam, Artan এবং Kunt 2011, পৃ. 341।
  5. Duindam, Artan এবং Kunt 2011, পৃ. 364।
  6. Duindam, Artan এবং Kunt 2011, পৃ. 365।
  7. উসমানীয় রাজবংশের কাঠামোতে তৃতীয় আহমেদ; D.A. Alderson
  8. উসমানীয় রাজবংশের কাঠামোতে তৃতীয় আহমেদ; D.A. Alderson
  9. Sakaoğlu 2008, পৃ. 433-34।
  10. Uluçay, Mustafa Çağatay (২০১১)। Padişahların kadınları ve kızları [সুলতানদের স্ত্রী ও কন্যা]। Ankara, Ötüken। পৃষ্ঠা 140। 
  11. Sakaoğlu 2008, পৃ. 432, 434।