বিষয়বস্তুতে চলুন

হায়াৎনগর সুভাষ সমিতি লাইব্রেরি

স্থানাঙ্ক: ২২°১৯′২৮″ উত্তর ৮৮°১৫′৪০″ পূর্ব / ২২.৩২৪৪৫৮° উত্তর ৮৮.২৬১২০২° পূর্ব / 22.324458; 88.261202
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হায়াৎনগর সুভাষ সমিতি লাইব্রেরি
দেশভারত
ধরনসর্বসাধারণ
প্রতিষ্ঠিত২০ এপ্রিল ১৯৬৪; ৬০ বছর আগে (1964-04-20)
অবস্থানদেবীপুর রোড, হায়াৎনগর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
স্থানাঙ্ক২২°১৯′২৮″ উত্তর ৮৮°১৫′৪০″ পূর্ব / ২২.৩২৪৪৫৮° উত্তর ৮৮.২৬১২০২° পূর্ব / 22.324458; 88.261202
অন্যান্য তথ্য
কর্মচারী
মানচিত্র
মানচিত্র

হায়াৎনগর সুভাষ সমিতি লাইব্রেরি পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোষিত একটি সাধারণ গ্রন্থাগার। এটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় হায়াৎনগর গ্রামে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থাগার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা নিবন্ধিত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হায়াৎনগর সুভাষ সমিতি র প্রধান ও মূল উদ্দেশ্য সমাজ হতে কুসংস্কার দূর করে ও সাক্ষরতা বিকাশের জন্য, পাশ্ববর্তী গ্রামের কিশোর-কিশোরীদের ও যুব-ছাত্র সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে গ্রন্থাগারটি ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে এপ্রিল স্থাপিত হয়। তবে দীর্ঘ চোদ্দ বৎসর পর ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই ডিসেম্বর সরকারী মান্যতা ও অনুদান লাভ করে।[][]

সরকারি সহায়তায়, রাজা রামমোহন রায় গ্রন্থাগার ফাউন্ডেশনের আনুকূল্যে, শুভানুধ্যায়ীদের দানে গ্রন্থাগারে ইতোমধ্যে অসংখ্য বইয়ের ও পত্র পত্রিকার সংগ্রহ গড়ে উঠেছে। গ্রন্থাগার হতে এখন বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠক-পাঠিকারা সম্পূর্ণ বিনা চাঁদায়  বাড়িতে বই নিয়ে যেতে পারেন, পাঠকক্ষ ব্যবহার করতে পারছেন। শিশু ও মহিলাদের  জন্য আলাদা বিভাগ সহ পাঠকক্ষে শ্রেণীসহায়ক, বৃত্তিসহায়ক পুস্তক ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। শুভানুধ্যায়ীদের সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মের ব্যবস্থা করা হয়।[] ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠানের হীরক জয়ন্তী বর্ষে বর্ষব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। উপদেষ্টামণ্ডলীর বারোজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সঙ্ঘশ্রী পদক-এ সম্মানিত করা হয়। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয় "দুই বাংলার সাহিত্য সম্মেলন"। অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিকেরা।[]

নেতাজী জন্মজয়ন্তী

[সম্পাদনা]

লাইব্রেরিটি স্থাপনাকাল হতেই প্রতি বৎসর ২৩ শে জানুয়ারি দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন নেতাজী জন্মজয়ন্তী উদযাপন করে আসছে। সাম্প্রতিককালে লাইব্রেরিটি যেমন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের লেখক-লেখিকাদের নেতাজী সুভাষ সম্মাননা প্রদান করে, তেমনই তাদের মুখপত্র- তরঙ্গ সহ গ্রন্থ ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা প্রকাশে সহায়তা করে থাকে।

এছাড়াও লাইব্রেরিটি "স্মরণপূর্বক শ্রদ্ধাঞ্জলি" শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলার স্বনামধন্য লেখক ও মনীষীদের জন্মদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য দিবস যেমন- আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস,[][] আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে।

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি

[সম্পাদনা]

সরকারি আধিকারিক ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে যে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি গ্রন্থাগারের অগ্রগতি সহায়ক হয়েছে তাঁদের অন্যতম হলেন -

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "WELCOME TO MASS Education Extension & Library Services Department" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Hayatnagar Subhas Samity Library" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "দুই বাংলার সাহিত্য সম্মেলন"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-০৭ 
  4. "আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস! "সাক্ষরতা ও দক্ষতা বিকাশ""। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৬ 
  5. "আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস বিবরণ"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৯ 
  6. "নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন-প্রতিবেদন"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৬ 
  7. "হায়াৎনগর সুভাষ সমিতির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হল দুই বাংলার সাহিত্য সম্মেলন"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮ 
  8. "কলকাতার সুভাষ সমিতি ও পাঠাগারে হীরকজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষ্যে - দুই বাংলার সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত"। দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা। কুষ্ঠিয়া। ১০ এপ্রিল ২০২৪।