শেলী সেনগুপ্তা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শেলী সেনগুপ্তা
শেলী সেনগুপ্তা
শেলী সেনগুপ্তা
জন্ম (1964-05-05) ৫ মে ১৯৬৪ (বয়স ৫৯)
চট্টগ্রাম বাংলাদেশ
পেশাকবি, গল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
শিক্ষা স্নাতকোত্তর
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সময়কাল২০১১ - বর্তমান
ধরনশিশুসাহিত্য
দাম্পত্যসঙ্গীরণজিৎকুমার বিশ্বাস (স্বামী)(১৯৫৬-২০১৬)

শেলী সেনগুপ্তা (জন্ম: ৫ মে ১৯৬৪) হলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক[১]সমকালীন বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি অবদান রেখে চলেছেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

শেলী সেনগুপ্তার জন্ম ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ মে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। পিতা অরুণ সেনগুপ্ত এবং মাতা তাপসী সেনগুপ্ত। বংশ পরিচয়ে তিনি মাস্টারদা সূর্য সেনের চতুর্থ প্রজন্ম অর্থাৎ পৌত্রী। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনার শেষে তিনি স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্কসহ নানা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।

সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

শেলী সেনগুপ্তা অল্প বয়স থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম দিকে তিনি গল্পই লিখতেন, পরে শুরু করেন কবিতা রচনা। প্রকাশিত হত চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীতে। তিনি কাব্য ও গদ্য দুই-য়েই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আপন দৃষ্টিতে যা সত্য এবং চারপাশের যা কিছুকে তিনি বিশ্বাস করেন, তার প্রকাশে তিনি পিছপা বা পরান্মুখ হন না। ২০১১ খ্রিস্টাব্দ হতে তিনি নিয়মিত রচনা করে চলেছেন কবিতা, গল্প, শিশুতোষ গ্রন্থ। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় হৃদয়ের অলিন্দ নিলয় কাব্যগ্রন্থটি। বড়দের জন্য তার প্রথম উপন্যাস মনোভূমি প্রকাশিত হয় ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে।[২] তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হল-

রচিত কাব্যগ্রন্থ-
  • হৃদয়ের অলিন্দ নিলয় (২০১২) , কথা প্রকাশ
  • অবেলায় জলস্নান (২০১৩) টইটুম্বুর
  • অনন্ত তুমি (২০১৩) টইটুম্বুর
  • অনন্তসঙ্গ অনিবার (২০১৪) কথা প্রকাশ
  • অনন্ত অবগাহন (২০১৪) গতিধারা
  • জলজোছনায় পথচলা (২০১৪) গ্রাফোসম্যান পাবলিকেশন
  • স্নায়ুতে অনন্তনিবাস (২০১৫) গতিধারা
  • রোদে জলে অনন্ত (২০১৫) গতিধারা
  • সূর্যে দেখি মুখ (২০১৫) ঐক্য প্রকাশনী
  • অখণ্ড অনন্তসম্ভার (২০১৫) অক্ষরবৃত্ত (পাঞ্জেরী)
  • ক্ষমায় দেখেছি তোমায় (২০১৬) নন্দিতা প্রকাশনী
শিশুসাহিত্য-
  • অধীর ও ঘাসফুলের গন্ধ
  • স্বপ্ন দেখে প্রজাপতি (২০১৫) টইটুম্বুর
  • মা যখন গল্প বলে (২০১৬) সাহিত্য কথা
  • বাবা যখন গল্প বলে (২০১৭), সাহিত্য কথা
  • জ্ঞানদাদুর যাদুকথা
  • আমরা করবো জয়
  • পাখির জন্য আকাশ
  • আপনের চিড়িয়াখানা (২০১৭) পাজ্ঞেরী
  • মায়ের চুমো বড়ো মিঠে
  • কিশোর সমগ্র-১ (২০১৭) সাহিত্য কথা
  • যারা এনেছিলো বালাভাষা
গল্প গ্রন্থ-
উপন্যাস-

শেলী সেনগুপ্তা বর্তমানে চট্টগ্রামের ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ান। লেখালেখি ও শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি শিশুকল্যাণে নানা কাজ করে চলেছেন। অবহেলিত ও বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের কল্যাণে তিনি রুট বাংলাদেশ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ একজন কার্যকরী সদস্য। [৩]

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

শেলী সেনগুপ্তা ষোল বৎসর বয়সেই বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বরিষ্ঠ সচিব রণজিৎকুমার বিশ্বাসকে বিবাহ করেন। [৩] তিনিও ছিলেন এক ভিন্ন ধারার সাহিত্যিক। তাদের এক কন্যা উপমা। শেলী সেনগুপ্তার স্বামী ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন প্রয়াত হন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শেলী সেনগুপ্তা"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮ 
  2. সেনগুপ্তা, শেলী (২০১৮)। মনোভূমি। সাহিত্য কথা, ঢাকা। আইএসবিএন 978-70-3150-212-4 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য) 
  3. সেনগুপ্তা, শেলী (২০১৭)। জলকথা ও নিঃশব্দের মুখরতা। নন্দিতা প্রকাশ, ঢাকা। আইএসবিএন 978-98-4924-741-8 
  4. "Ranjit Biswas passes away (ইংরাজীতে)"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৯