সাইফুর রহমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা S. M. Nazmus Shakib (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:১৪, ২১ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (→‎তথ্যসূত্র)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

Saifur Rahman
সাইফুর রহমান
চিত্র:এম সাইফুর রহমান.png
মার্চ ২০০৫-এ সাইফুর রহমান
কাজের মেয়াদ
২৯ অক্টোবর ২০০১ – ২৮ ডিসেম্বর ২০০৬
পূর্বসূরীহুমায়ূন রশিদ চৌধুরী
উত্তরসূরীআবুল মাল আব্দুল মুহিত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩২-১০-০৬)৬ অক্টোবর ১৯৩২
বহরমর্দন, মৌলভীবাজার জেলা, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯(2009-09-05) (বয়স ৭৬)
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাচার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট
ধর্মইসলাম

সাইফুর রহমান (জন্ম: ৬ অক্টোবর ১৯৩২, মৃত্যু: ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯) বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদ যিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সর্বোচ্চ ১২ বার বার্ষিক অর্থ বাজেট পেশকারী অর্থমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন নেতা ছিলেন যিনি সর্বোচ্চ সময়কালীন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। তিনি ১৯৮০-৮১, ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০০২-২০০৬ সালে দীর্ঘ মন্ত্রীজীবনে ডিসেম্বর, ১৯৭৬ থেকে অক্টোবর, ২০০৬ পর্যন্ত তিনটি সরকারের আমলে ১২টি জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন। মন্ত্রিত্বের প্রথম তিন বছরে তিনি ব্যবসায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন, এবং পরবর্তী ১২ বছর তিনি অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]

১৯৯৪ সালে, তিনি স্পেনের মাদ্রিদে বিশ্ব ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সুবর্ণ জয়ন্তী সম্মেলনের গভর্নর নির্বাচিত হন।[১] ২০০৫ সালে, রহমানকে একুশে পদক, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।[১][২] সাইফুর রহমান ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছে এক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় তৎক্ষণাৎ মারা যান।

পেশা জীবন

জনাব সাইফুর রহমান পেশায় একজন চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ছিলেন। তিনি ১৯৮১ সালে প্রয়াত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- এর আমন্ত্রনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদান করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি সময়কাল ধরে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং মোট ১২ বার জাতীয় বাজেট পেশ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

সিলেট তথা বাংলাদেশের রাজনীতে সাইফুর রহমান

ব্যক্তিগত জীবন

রহমান , দুরী সামাদ রহমানকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের একসাথে তিন পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছে। ২০০৩ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দুরী রহমান মারা যান। তার পুত্র এম নাসির রহমান বাবাকে অনুসরণ করে রাজনীতিতে এসেছেন; ২০০৩ সালের নির্বাচনে তিনি বাবার ছেড়ে দেয়া মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদীয় এলাকায় নির্বাচিত হন।

শিক্ষাজীবন

রহমান ১৯৪৯ সালে দি এইডেড হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫১ সালে এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[৩] ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। পরের বছর তিনি চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট-এ পড়ার জন্য লন্ডনে চলে যান; তিনি ইংল্যান্ড ও ওয়েলস এর চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ইনস্টিটিউট থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করেন। তিনি অর্থবিষয়ক, ফাইন্যান্স এবং উন্নয়নমূলক অর্থনীতির একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেন।[৪]

স্বীকৃতি ও সম্মাননা

  • ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন; কিন্তু তৎকালীন সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী 'মুচলেকা দিলে মুক্তি দেওয়া হবে' শর্তে রাজী হননি বলে কারাভোগ করেন এবং ভাষা আন্দোলনে তার এই অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন।[৫][৬]
  • অর্ডার নেশন্যাল, সেনেগালের সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মাননা।[৭]

মৃত্যু

৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছে এক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় তৎক্ষণাৎ মারা যান।[৮]

তথ্যসূত্র

  1. "Saifur Rahman's life sketch"The Daily Star। ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ২০১২-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; finexpress নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; comtex নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. "Saifur Rahman"Silobreaker। ২০১২-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-০৫ 
  5. {{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান।
  6. উন্নয়নের বরপুত্র এম সাইফুর রহমান।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "রহমান, এম সাইফুর - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০২ 
  8. Welle (www.dw.com), Deutsche। "সড়ক দুর্ঘটনায় সাইফুর রহমান নিহত | DW | 05.09.2009"DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০২