সরদার আমজাদ হোসেন
সরদার আমজাদ হোসেন | |
---|---|
![]() | |
রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | এহসান আলী খান |
উত্তরসূরী | মুহম্মদ আবদুল গফুর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আনু. ১৯৩৯ রাজশাহী জেলা,, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ |
সরদার আমজাদ হোসেন (আনু. ১৯৩৯ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪) বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার রাজনীতিবিদ যিনি রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
সরদার আমজাদ হোসেন আনু. ১৯৩৯ সালে বাংলাদেশের রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।[১]
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
ষাটের দশকে ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা আমজাদ হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে কয়েক দফা সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় পার্টিতে গিয়ে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।[২]
- ১৯৬৪ সালে আওয়ামী ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে সরদার আমজাদের রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক(জিএস)নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
- ১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান আমজাদ। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
- আমজাদ হোসেন ১৯৭০ সালে প্রথম পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
- ১৯৮৭ সালে সাংসদ থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হন আমজাদ হোসেন। এরশাদের শাসনামলে খাদ্য, মৎস্য ও পশু সম্পদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
- ২০০৭ সালে জাতীয় পার্টি ছেড়ে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন সরদার আমজাদ হোসেন।
- ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান আমজাদ হোসেন।
৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রাজশাহী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩] এর পর জাতীয় পার্টিতে যোগদিয়ে ১৯৮৮ সালের চতুর্থ ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রাজশাহী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪][৫]
লিখালিখি[সম্পাদনা]
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কলাম লেখার পাশাপাশি কয়েকটি বইও লিখেছেন আমজাদ হোসেন।[৬] এগুলো হলো-
- অর্ধশতাব্দীর মূল্যায়ন
- বাংলাদেশের জয়-পরাজয়ের রাজনীতি
- একুশ শতকের সিঁডিতে বাংলাদেশ
মৃত্যু[সম্পাদনা]
১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকেলে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমজাদের মৃত্যু হয়।[১]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ "সরদার আমজাদ আর নেই"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৬, ২০১৮।
- ↑ "সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ আর নেই"। thereport24.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৬, ২০১৮।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সরদার আমজাদ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের উজ্জ্বল নক্ষত্র"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৬, ২০১৮।
- ২০১৪-এ মৃত্যু
- রাজশাহী জেলার রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ
- পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তি
- প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য
- তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- ১৯৩০-এর দশকে জন্ম
- জাতীয় পার্টির সাবেক রাজনীতিবিদ
- এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী