শি ইয়োমি জেলা
শি ইয়োমি জেলা | |
---|---|
অরুণাচল প্রদেশের জেলা | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | অরুণাচল প্রদেশ |
প্রতিষ্ঠা | ২০১৮ |
জেলাসদর | তাতো |
আয়তন | |
• মোট | ২,৮৭৫ বর্গকিমি (১,১১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৩,৩১০ |
• জনঘনত্ব | ৪.৬/বর্গকিমি (১২/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | AR (এআর) |
শি ইয়োমি জেলা উত্তর পূর্ব ভারতের চীন সীমান্তে অবস্থিত অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের ২৫ টি জেলার (২০২০ খ্রিস্টাব্দ অবধি) মধ্যে একটি জেলা৷ জেলাটির জেলাসদর তাতো শহরে অবস্থিত৷ [১][২] ৯ই ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম সিয়াং জেলার চিন সীমারেখা সংলগ্ন একাধিক তহশিল নিয়ে শি ইয়োমি জেলা গঠিত এবং দক্ষিণাংশ পশ্চিম সিয়াং জেলা নামেই রয়ে যায়৷
ইতিহাস
[সম্পাদনা]একদা এটি শুতীয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷
অবস্থান
[সম্পাদনা]এই জেলার মেছুকা অঞ্চল অতিক্রম করলেই রয়েছে ম্যাকমোহন সীমা যা ভারত ও চীনৈর সীমানা নির্দেশ করে৷ [৩]
জনতত্ত্ব
[সম্পাদনা]শি ইয়োমি জেলাতে আদি,টাগিন এবং মেমবা জনজাতির লোক বাস করেন৷ জেলায় লোকবসতিযুক্ত উপত্যকা অঞ্চলগুলিতে তারা ডোনি পোলো, তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম ও খ্রিস্টধর্ম অবলম্বী লোকের বাস৷
জেলাটিতে আদি ভাষা, বাংনি টাগিন ভাষা এবং মেমবা ভাষাভাষীর লোক বাস করেন৷
বিভাগ
[সম্পাদনা]জেলাটি চারটি তহশিলে বিভক্ত যথা মেছুকা, তাতো, পিদি এবং মণিগং৷ জেলাটি অরুণাচল প্রদেশ পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত৷[৪][৫]
পরিবহন
[সম্পাদনা]অরুণাচল সীমান্ত মহাসড়ক উদ্বোধন ও কার্যকরী হওয়ার আগে পর্যন্ত এই জেলায় যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিলো ধাবনপথ, যার মাধ্যমে ভারতীয় বিমানবাহিনী সেখানে বসবাসকারী জনসাধারণের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দিতো৷
ভারতীয় বিমান বাহিনী মেছুকাতে অবস্থিত মেছুকা আগাম অবতরণ ক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে৷ এণ্টোনভ এন-৩২ এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ধাবনপথে আসাম থেকে নিয়মিত বিভিন্ন দ্রব্যাদি লেনদেন চলে৷ ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের তৎপরতায় রানওয়েটি কংক্রিট করে নতুনভাবে উন্নত ও শক্ত সামর্থ্য করে ৪৭০০ ফুট দীর্ঘায়িত করা হয়েছে৷ [৬] এলাকাতে উল্লেখযোগ্য হারে সৈন্যবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষণীয়৷
উড়ান স্কিমের অধীনে সপ্তাহে দুদিন হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করা হয়েছে৷[৬] এছাড়াও উড়ান স্কিমের বাইরে অরুণাচল প্রদেশ সরকার নিজস্ব ৯ স্থানবিশিষ্ট দৃৃৃৃঢ়উড্ডয়ক বায়ুপথ চালু করেছেন৷[৬]
পর্যটন
[সম্পাদনা]দৃৃষ্টিনান্দনিক, উপজাতি বহুল, সুদৃৃশ্য পর্বতাদির অবস্থান, বরফাবৃৃত শৃৃঙ্গ এবং সিয়ম নদীর সৌন্দর্যের কারণে হালে শি ইয়োমি জেলার মেছুকা অরুণাচল প্রদেশে একাধিক পর্যটনক্ষেত্রের মধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছে৷ উপত্যকার সৌন্দর্য বর্ধনে সিয়ম নদীর গুরুত্ব অপরিসীম৷ এখানে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থানটি হলো চারশত বছর পুরানো মহাযান বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় সামতেন ইয়ংচা মঠ, যা তাওয়াং মঠের সমসাময়িক৷ এটি মেছুকার পর্বতশিখরের সর্বপশ্চিমে অবস্থিত৷[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Arunachal Assembly Passes Bill For Creation Of 3 New Districts"। NDTV.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-৩০।
- ↑ "Arunachal Pradesh gets 25th district called Shi Yomi"। www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৬।
- ↑ "The last village in our arunachal"। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies"। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১।
- ↑ "Mechuka MLA"। ১৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ ক খ গ Arunachal Pradesh plans fixed-wing flight service to Mechuka, closest to China border, The Hindu, 15 May 2018.
- ↑ "Mechuka Valley to be next tourist hotspot in northeast"। The Times of India। ২০ এপ্রিল ২০১২। ৪ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৩।