শি ইয়োমি জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শি ইয়োমি জেলা
অরুণাচল প্রদেশের জেলা
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যঅরুণাচল প্রদেশ
প্রতিষ্ঠা২০১৮
জেলাসদরতাতো
আয়তন
 • মোট২,৮৭৫ বর্গকিমি (১,১১০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১৩,৩১০
 • জনঘনত্ব৪.৬/বর্গকিমি (১২/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০)
যানবাহন নিবন্ধনAR (এআর)
মেচূকা

শি ইয়োমি জেলা উত্তর পূর্ব ভারতের চীন সীমান্তে অবস্থিত অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের ২৫ টি জেলার (২০২০ খ্রিস্টাব্দ অবধি) মধ্যে একটি জেলা৷ জেলাটির জেলাসদর তাতো শহরে অবস্থিত৷ [১][২] ৯ই ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম সিয়াং জেলার চিন সীমারেখা সংলগ্ন একাধিক তহশিল নিয়ে শি ইয়োমি জেলা গঠিত এবং দক্ষিণাংশ পশ্চিম সিয়াং জেলা নামেই রয়ে যায়৷

ইতিহাস[সম্পাদনা]

একদা এটি শুতীয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷

অবস্থান[সম্পাদনা]

এই জেলার মেছুকা অঞ্চল অতিক্রম করলেই রয়েছে ম্যাকমোহন সীমা যা ভারতচীনৈর সীমানা নির্দেশ করে৷ [৩]

জনতত্ত্ব[সম্পাদনা]

শি ইয়োমি জেলাতে আদি,টাগিন এবং মেমবা জনজাতির লোক বাস করেন৷ জেলায় লোকবসতিযুক্ত উপত্যকা অঞ্চলগুলিতে তারা ডোনি পোলো, তিব্বতি বৌদ্ধধর্মখ্রিস্টধর্ম অবলম্বী লোকের বাস৷

জেলাটিতে আদি ভাষা, বাংনি টাগিন ভাষা এবং মেমবা ভাষাভাষীর লোক বাস করেন৷

বিভাগ[সম্পাদনা]

জেলাটি চারটি তহশিলে বিভক্ত যথা মেছুকা, তাতো, পিদি এবং মণিগং৷ জেলাটি অরুণাচল প্রদেশ পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত৷[৪][৫]

পরিবহন[সম্পাদনা]

অরুণাচল সীমান্ত মহাসড়ক উদ্বোধন ও কার্যকরী হওয়ার আগে পর্যন্ত এই জেলায় যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিলো ধাবনপথ, যার মাধ্যমে ভারতীয় বিমানবাহিনী সেখানে বসবাসকারী জনসাধারণের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দিতো৷

ভারতীয় বিমান বাহিনী মেছুকাতে অবস্থিত মেছুকা আগাম অবতরণ ক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে৷ এণ্টোনভ এন-৩২ এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ধাবনপথে আসাম থেকে নিয়মিত বিভিন্ন দ্রব্যাদি লেনদেন চলে৷ ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের তৎপরতায় রানওয়েটি কংক্রিট করে নতুনভাবে উন্নত ও শক্ত সামর্থ্য করে ৪৭০০ ফুট দীর্ঘায়িত করা হয়েছে৷ [৬] এলাকাতে উল্লেখযোগ্য হারে সৈন্যবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষণীয়৷

উড়ান স্কিমের অধীনে সপ্তাহে দুদিন হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করা হয়েছে৷[৬] এছাড়াও উড়ান স্কিমের বাইরে অরুণাচল প্রদেশ সরকার নিজস্ব ৯ স্থানবিশিষ্ট দৃৃৃৃঢ়উড্ডয়ক বায়ুপথ চালু করেছেন৷[৬]

পর্যটন[সম্পাদনা]

দৃৃষ্টিনান্দনিক, উপজাতি বহুল, সুদৃৃশ্য পর্বতাদির অবস্থান, বরফাবৃৃত শৃৃঙ্গ এবং সিয়ম নদীর সৌন্দর্যের কারণে হালে শি ইয়োমি জেলার মেছুকা অরুণাচল প্রদেশে একাধিক পর্যটনক্ষেত্রের মধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছে৷ উপত্যকার সৌন্দর্য বর্ধনে সিয়ম নদীর গুরুত্ব অপরিসীম৷ এখানে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থানটি হলো চারশত বছর পুরানো মহাযান বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় সামতেন ইয়ংচা মঠ, যা তাওয়াং মঠের সমসাময়িক৷ এটি মেছুকার পর্বতশিখরের সর্বপশ্চিমে অবস্থিত৷[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Arunachal Assembly Passes Bill For Creation Of 3 New Districts"NDTV.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-৩০ 
  2. "Arunachal Pradesh gets 25th district called Shi Yomi"www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৬ 
  3. "The last village in our arunachal"। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৭ 
  4. "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies"। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১ 
  5. "Mechuka MLA"। ১৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৬ 
  6. Arunachal Pradesh plans fixed-wing flight service to Mechuka, closest to China border, The Hindu, 15 May 2018.
  7. "Mechuka Valley to be next tourist hotspot in northeast"The Times of India। ২০ এপ্রিল ২০১২। ৪ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৩