ল্যাঞ্জা সাহেলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ল্যাঞ্জা সাহেলি
দশ হাজার ফুট উচ্চতায় পুরুষ ল্যাঞ্জা সাহেলি, হিমাচল প্রদেশ, ভারত
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস
পরিবার: Campephagidae
গণ: Pericrocotus
প্রজাতি: P. ethologus
দ্বিপদী নাম
Pericrocotus ethologus
ব্যাঙ্গস এবং ফিলিপস, ১৯১৪

ল্যাঞ্জা সাহেলি (বৈজ্ঞানিক নাম: Pericrocotus ethologus) বা সিঁদুরে-লাল সাত সহেলি Campephagidae (ক্যাম্পেফ্যাজিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Pericrocotus (পেরিক্রোকোটাস) গণের এক প্রজাতির ছোট পতঙ্গভূক পাখি।[২][৩] ল্যাঞ্জা সাহেলির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ পীতবর্ণের পাখির সদৃশ (গ্রিক: pere = খুব, krokotos = গাঢ় পীত রঙ; লাতিন: ethologus = একই রকম)।[৩] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৩] পৃথিবীতে এদের সংখ্যা সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা যায় নি।[১]

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

ল্যাঞ্জা সাহেলির মূল আবাস দক্ষিণদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়াভিয়েতনাম জুড়ে এদের বিস্তৃতি।[১]

উপপ্রজাতি[সম্পাদনা]

ল্যাঞ্জা সাহেলির মোট সাতটি উপপ্রজাতি সনাক্ত করা গেছে।[৪] উপপ্রজাতিগুলো হল:

  • P. e. favillaceus (Bangs & J. C. Phillips, 1914) - এদের বিস্তৃতি উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তান ও নেপাল জুড়ে। দক্ষিণ পাকিস্তান ও পশ্চিম ভারতে এরা বিচরণ করে, তবে প্রজনন করে না
  • P. e. laetus (Mayr, 1940) - এদের প্রধান আবাস পূর্ব নেপাল থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত ও মধ্য চীন
  • P. e. ethologus (Bangs & J. C. Phillips, 1914) - ভারতের আসাম, বাংলাদেশ, উত্তর মায়ানমার ও মধ্য চীন জুড়ে এরা প্রজনন করে। উত্তর থাইল্যান্ড, উত্তর লাওস ও উত্তর ভিয়েতনামের অধিবাসীরা অপ্রজননশীল
  • P. e. mariae (Ripley, 1952) - এদের বিস্তৃতি দক্ষিণ-পূর্ব আসাম, বাংলাদেশ ও পশ্চিম মায়ানমার জুড়ে
  • P. e. yvettae (Bangs, 1921) - এদের বিস্তৃতি উত্তর-পূর্ব মায়ানমার ও দক্ষিণ চীন জুড়ে
  • P. e. ripponi (Stuart Baker, 1924) - পূর্ব মায়ানমার, উত্তর-পশ্চিম থাইল্যান্ড জুড়ে এদের আবাস
  • P. e. annamensis (Robinson & Kloss, 1923) - দক্ষিণ ও মধ্য ভিয়েতনাম জুড়ে এদের আবাস।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Pericrocotus ethologus"The IUCN Red List of Threatened Species। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. রেজা খান, বাংলাদেশের পাখি (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০০৮), পৃ. ৮৬।
  3. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ৩৩৮-৯।
  4. Long-tailed Minivet (Pericrocotus ethologus), The Internet Bird Collection-এ ল্যাঞ্জা সাহেলি বিষয়ক পাতা।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]