ল্যাঞ্জা সাহেলি
ল্যাঞ্জা সাহেলি | |
---|---|
দশ হাজার ফুট উচ্চতায় পুরুষ ল্যাঞ্জা সাহেলি, হিমাচল প্রদেশ, ভারত | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | প্যাসারিফর্মিস |
পরিবার: | Campephagidae |
গণ: | Pericrocotus |
প্রজাতি: | P. ethologus |
দ্বিপদী নাম | |
Pericrocotus ethologus ব্যাঙ্গস এবং ফিলিপস, ১৯১৪ |
ল্যাঞ্জা সাহেলি (বৈজ্ঞানিক নাম: Pericrocotus ethologus) বা সিঁদুরে-লাল সাত সহেলি Campephagidae (ক্যাম্পেফ্যাজিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Pericrocotus (পেরিক্রোকোটাস) গণের এক প্রজাতির ছোট পতঙ্গভূক পাখি।[২][৩] ল্যাঞ্জা সাহেলির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ পীতবর্ণের পাখির সদৃশ (গ্রিক: pere = খুব, krokotos = গাঢ় পীত রঙ; লাতিন: ethologus = একই রকম)।[৩] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৩] পৃথিবীতে এদের সংখ্যা সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা যায় নি।[১]
বিস্তৃতি
[সম্পাদনা]ল্যাঞ্জা সাহেলির মূল আবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম জুড়ে এদের বিস্তৃতি।[১]
উপপ্রজাতি
[সম্পাদনা]ল্যাঞ্জা সাহেলির মোট সাতটি উপপ্রজাতি সনাক্ত করা গেছে।[৪] উপপ্রজাতিগুলো হল:
- P. e. favillaceus (Bangs & J. C. Phillips, 1914) - এদের বিস্তৃতি উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তান ও নেপাল জুড়ে। দক্ষিণ পাকিস্তান ও পশ্চিম ভারতে এরা বিচরণ করে, তবে প্রজনন করে না
- P. e. laetus (Mayr, 1940) - এদের প্রধান আবাস পূর্ব নেপাল থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত ও মধ্য চীন
- P. e. ethologus (Bangs & J. C. Phillips, 1914) - ভারতের আসাম, বাংলাদেশ, উত্তর মায়ানমার ও মধ্য চীন জুড়ে এরা প্রজনন করে। উত্তর থাইল্যান্ড, উত্তর লাওস ও উত্তর ভিয়েতনামের অধিবাসীরা অপ্রজননশীল
- P. e. mariae (Ripley, 1952) - এদের বিস্তৃতি দক্ষিণ-পূর্ব আসাম, বাংলাদেশ ও পশ্চিম মায়ানমার জুড়ে
- P. e. yvettae (Bangs, 1921) - এদের বিস্তৃতি উত্তর-পূর্ব মায়ানমার ও দক্ষিণ চীন জুড়ে
- P. e. ripponi (Stuart Baker, 1924) - পূর্ব মায়ানমার, উত্তর-পশ্চিম থাইল্যান্ড জুড়ে এদের আবাস
- P. e. annamensis (Robinson & Kloss, 1923) - দক্ষিণ ও মধ্য ভিয়েতনাম জুড়ে এদের আবাস।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "Pericrocotus ethologus"। The IUCN Red List of Threatened Species। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ রেজা খান, বাংলাদেশের পাখি (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০০৮), পৃ. ৮৬।
- ↑ ক খ গ জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ৩৩৮-৯।
- ↑ Long-tailed Minivet (Pericrocotus ethologus), The Internet Bird Collection-এ ল্যাঞ্জা সাহেলি বিষয়ক পাতা।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Oriental Bird Club Image ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে, আরও আলোকচিত্র।