রুদ্রপুর, উত্তরাখণ্ড
রুদ্রপুর | |
---|---|
শহর | |
![]() | |
ভারতে উত্তরাখণ্ডের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৮°৫৯′ উত্তর ৭৯°২৪′ পূর্ব / ২৮.৯৮° উত্তর ৭৯.৪০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
জেলা | উধম সিং নগর |
স্থাপিত | ১৫৮৮ |
পৌরসভা | ১৯৪২ |
প্রতিষ্ঠাতা | রুদ্র চন্দ |
নামকরণের কারণ | রুদ্র চন্দ |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র – কাউন্সিল |
• শাসক | রুদ্রপুর পৌরসভা |
• মেয়র | রামপাল সিং (বিজেপি) |
• পৌর কমিশনার | মহেশ চন্দ্র পাঠক, আইএএস |
আয়তন | |
• শহর | ২৭.৬৫ বর্গকিমি (১০.৬৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• শহর | ১,৪০,৮৫৭ |
• জনঘনত্ব | ৫,১০০/বর্গকিমি (১৩,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর[২] | ১,৫৪,৪৮৫ |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারী | হিন্দি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ২৬৩১৫৩ |
টেলিফোন কোড | +৯১-৫৯৪৪ |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউকে-০৬ |
ওয়েবসাইট | nagarnigamrudrapur |
রুদ্রপুর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উধম সিং নগর জেলার একটি শহর। এটি নতুন দিল্লি থেকে প্রায় ২৫০ কিমি (১৬০ মা) উত্তর-পূর্বে এবং দেরাদুনের ২৫০ কিমি (১৬০ মা) দক্ষিণে অবস্থিত রুদ্রপুরের ৫০০ বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে। এটি ১৬শ শতকে রাজা রুদ্র চন্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এবং কুমায়ুনের তরাই অঞ্চলে রাজ্যপালের বাসভবন ছিল। শহরটি একটি বড় শিল্পকেন্দ্র এবং শিক্ষাগত কেন্দ্র ছাড়াও উধম সিং নগর জেলার সদর দফতর হিসাবে কাজ করে চলেছে। রুদ্রপুর শহরটি উর্বর তরাই অঞ্চলে ২৭.৬৫ কিমি২ জায়গা জুড়ে অবস্থিত। ২০১১ সালের ভারতের জনগণনা অনুসারে এখানকার জনসংখ্যা ১৪০,৮৫৭। রুদ্রপুর হল উত্তরাখণ্ডের পঞ্চম সর্বাধিক জনবহুল শহর। উত্তরাখণ্ডের রাজ্য শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে, শিক্ষার বৃদ্ধি এবং উচ্চতর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এই শহরের দ্রুত বিকাশ হয়েছে। এই অঞ্চলের একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল কিছু আর্টেসিয়ান জলের কূপ রয়েছে যেখানে ভূ-গর্ভস্থ জলের চাপের কারণে জল নিজেই ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে। এর জন্য একটি কূপ খনন করতে হয় এবং জল বের করার জন্য একটি ছিদ্র যুক্ত আবরণী পাইপটি নামাতে হয়। এই সব আর্টেসিয়ান কূপগুলিতে কোনও পাম্পের প্রয়োজন হয় না।[৩]
ইতিহাস[সম্পাদনা]

যেখানে রুদ্রপুর অবস্থিত, সেই তরাই অঞ্চলটিকে প্রাচীন যুগের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্ভেদ্য বন হিসাবে বিবেচনা করা হত। জলাভূমি, প্রচণ্ড উত্তাপ, নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাত, বন্য প্রাণী, রোগ এবং যাতায়াতের সুবিধা না থাকায় এখানে বসতি স্থাপন করা যায়নি। এই অঞ্চলে, গোভিসানা (এই শহরের ৫০ কিলোমিটার (৩১ মা) উত্তর-পশ্চিমে) ছাড়া আর কোন বসতির কোন ঐতিহাসিক নথি পাওয়া যায়নি।[৪]:১৭৪–১৭৫ মোগল ঐতিহাসিকরা উল্লেখ করেছেন যে চম্পাওয়াতের চন্দ শাসক, জ্ঞান চাঁদ দিল্লি সালতানাত পরিদর্শন করেছিলেন এবং সুলতানের কাছ থেকে অনুদান হিসাবে, গঙ্গা নদী পর্যন্ত, ভাবার - তরাই অঞ্চলটি পেয়েছিলেন;[৫] এভাবে এই অঞ্চলটি কুমায়ুন রাজ্যের আওতায় আসে। এই অঞ্চলটি স্থানীয় সর্দারদের অধীনে ছিল; কীর্তি চাঁদ (১৪৮৮-১৫০৩), প্রথম বাকি কুমায়ুন রাজ্যের সাথে তরাই অঞ্চল শাসন করেছিলেন।[৫]
রুদ্রপুর শহরটি, আলমোরার রাজা রুদ্র চন্দ ১৬শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৬]:৬ ১৭১৮ সালে কাশীপুর শহর প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এটি ছিল তরাইয়ের অধিকারীর (রাজ্যপাল) বাসভবন।[৭]:৮১ ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে চন্দ ও রোহিলাদের মধ্যে লড়াই হয়েছিল, যাকে বলা হয় রুদ্রপুর যুদ্ধ। সেই সময় শিব দেও যোশীর নেতৃত্বে কুমায়ুন সেনাবাহিনী পরাজিত হয়েছিল।[৭]:৯২ পরে, রাজা দীপ চন্দ রোহিলাদের উপরে নজরদারি করতে রুদ্রপুরে একটি দুর্গ তৈরি করেছিলেন।[৬]:৮[৭]:৯৫
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Cities having population 1 lakh and above, Provisional Population Totals, Census of India 2011" (pdf)। Office of the Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Urban Agglomerations/Cities having population 1 lakh and above, Provisional Population Totals, Census of India 2011" (pdf)। Office of the Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Artesian well"। Encyclopaedia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ Journal of the Asiatic Society of Bengal (ইংরেজি ভাষায়)। Asiatic Society।
- ↑ ক খ "Imperial Gazetteer of India, Volume 18, page 324"। dsal.uchicago.edu। Digital South Asia Library। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৭।
- ↑ ক খ Rawat, Ajay S. (১৯৯৮)। Forest on fire : ecology and politics in the Himalayan Tarai (ইংরেজি ভাষায়)। New Delhi: Cosmo Publications। আইএসবিএন 9788170208402।
- ↑ ক খ গ Hāṇḍā, Omacanda (২০০২)। History of Uttaranchal (ইংরেজি ভাষায়)। New Delhi: Indus Publishing। আইএসবিএন 9788173871344।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Rudrapur's online directory ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে
- Rudrapur's website development place
- "Four killed in police firing after communal riot in Rudrapur" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে