বিষয়বস্তুতে চলুন

রয় পালমার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রয় পালমার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
রয় পালমার
জন্ম (1942-07-12) ১২ জুলাই ১৯৪২ (বয়স ৮২)
ডেভিজেস, উইল্টশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
সম্পর্ককেন পালমার (ভ্রাতা)
গ্যারি পালমার (ভাইপো)
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৫–১৯৭০সমারসেট
এফসি অভিষেক১৯ জুন ১৯৬৫ সমারসেট বনাম কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
শেষএফসি১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ সমারসেট বনাম ইয়র্কশায়ার
এলএ অভিষেক৩০ এপ্রিল ১৯৬৬ সমারসেট বনাম সাসেক্স
শেষ এলএ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ সমারসেট বনাম ইয়র্কশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৭৪ ৪৩
রানের সংখ্যা ১০৩৭ ১৯৮
ব্যাটিং গড় ১৩.২৯ ৮.২৫
১০০/৫০ –/১ –/–
সর্বোচ্চ রান ৮৪ ২৬
বল করেছে ১০১৮৩ ২২০৯
উইকেট ১৭২ ৬৭
বোলিং গড় ৩১.৬২ ২২.৩১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৪৫ ৫/১৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৫/– ৭/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রয় পালমার (ইংরেজি: Roy Palmer; জন্ম: ১২ জুলাই, ১৯৪২) উইল্টশায়ারের ডিভাইজেস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার ও আম্পায়ার। তুলনামূলকভাবে স্বল্প সময়ের জন্য ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমারসেট ও ইংল্যান্ডের প্রতিভাধর অল-রাউন্ডার কেন পালমারের কনিষ্ঠ ভ্রাতা তিনি। তার মতো তিনিও ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে অংশ নিতেন। তবে, নিচেরসারিতে তার ব্যাটিং খুব একটা সুবিধের ছিল না। তাস্বত্ত্বেও ১৯৬৭ সালে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৪ মূল্যবান ইনিংস খেলেছিলেন। এছাড়া, আর কোন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের সন্ধান পাননি তিনি।[]

১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ সময়কালে সমারসেটের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। ১৯ জুন, ১৯৬৫ তারিখে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। বোলিংয়েও তেমন সুবিধে করতে পারেননি। ১৯৬৯ সালে তার সেরা সময় অতিবাহিত হয়। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের তলানিতে অবস্থান করে তার দল। ঐ মৌসুমে ৬০ উইকেট লাভ করলেও রয় পালমারকে উইকেট প্রতি ৩২ রান খরচ করতে হয়। ১৯৭০ সালে বোলিং গড় আরও দূরে চলে যায় ও উইকেট পিছু ৩৭ রান দিতে হয় তাকে। এরপর তাকে আর দলে রাখা হয়নি।

আম্পায়ার

[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে স্বল্প সময় অবস্থান করলেও তুলনামূলকভাবে দীর্ঘকাল আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনায় অগ্রসর হয়েছেন। ১৯৯২ ও ১৯৯৩ সালে দুইটি টেস্ট[] এবং ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে আটটি একদিনের আন্তর্জাতিকে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন।[]

১৯৭৯ সালে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে অনুসরণ করে প্রথম-শ্রেণীর আম্পায়ার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৯৮০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে খেলা পরিচালনা করতেন। ২০০৭ সালে ৬৫ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ২৮ মৌসুমে ৪৪৫টি প্রথম-শ্রেণীর খেলাসহ ৪৬৯টি লিস্ট এ ক্রিকেটের খেলা পরিচালনা করেছেন।[]

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় রয় পালমারের উপস্থিতি ঘটে। ঐ প্রতিযোগিতার চার খেলায় আম্পায়ারিত্ব করেন তিনি। ১৯৯২ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলা পরিচালনা করেন।

বিতর্ক

[সম্পাদনা]

ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড ও সফরকারী পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজের তৃতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ডেভন ম্যালকমকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বোলিং করার অভিযোগে আকিব জাভেদকে সতর্ক করেন। ওভার শেষে তিনি আকিবের সোয়েটার টেনে বোলারের কাছে নিয়ে যান। উইজডেনের ভাষায় ঘটনাটি প্রত্যাশার তুলনায় জোরপূর্বক ছিল; কেননা, এটি তার বেল্টের সাথে লেগেছিল।[] আকিব ও পাক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ আপত্তি প্রকাশ করেন। এক সমর্থক সংবাদপত্র মুড়িয়ে পিচের দিকে আসলে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক হয়। ম্যাচ রেফারি কনরাড হান্ট পালমারের অনুকূলে রায় দেন। আকিব জাভেদকে ম্যাচ ফি’র অর্ধেক জরিমানা করা হয় ও পাকিস্তানের সফর ব্যবস্থাপক ইন্তিখাব আলমকে গণমাধ্যমে দলের অবমাননায় কথা বললে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষও ইন্তিখাবকে তার পুণঃপুণঃ মন্তব্যে নিষেধাজ্ঞা প্রদানসহ পালমারকে ক্ষমা চাওয়া থেকে বিরত রাখে।

রয় পালমারের দ্বিতীয় টেস্টে আম্পায়ারের বিষয়টি তুলনামূলকভাবে কম বিতর্কময় ছিল। ১৯৯৩ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে খেলা পরিচালনা করেন। তিনি ও অপর আম্পায়ার বেরি মেয়ার ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েডের কাছে তৃতীয় দিন শেষে আবেদনের তীব্রতা নিয়ে অভিযোগ করেন।[] অস্ট্রেলীয়রা বেশ কয়েকবার লয়েডের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয় ও ইংল্যান্ডের কাছে দীর্ঘ পরাজয়ের বিরতি নেয় অস্ট্রেলিয়া দল।

পরবর্তী দুই মৌসুম একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলা পরিচালনা করেন রয় পালমার। কিন্তু তাকে আর টেস্টের জন্য মনোনীত করা হয়নি। তবে, ১৯৯৪ সালে লর্ডসে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, ২০০৬ সালে মহিলাদের টেস্টে ভারতের বিপক্ষে আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করেছিলেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

রয় পালমারের ভাই কেন পালমারও সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করাসহ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও টেস্ট খেলায় আম্পায়ারিত্ব করেছেন। তার ভাইপো গ্যারি পালমার সমারসেটের পক্ষে অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. CricketArchive. https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/28/28876.html. Accessed 28 October 2007.
  2. "Roy Palmer"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১০ 
  3. "Roy Palmer"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৪ 
  4. CricketArchive. https://cricketarchive.com/Archive/Players/3/3744/Umpire_in_First-Class_Matches.html. Accessed 28 October 2007.
  5. "The Pakistanis in England, 1992"। Wisden Cricketers' Almanack (1993 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 291 
  6. "The Australians in England, 1993"। Wisden Cricketers' Almanack (1994 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 354 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]