মো. খসরুজ্জামান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মো. খসরুজ্জামান
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1968-10-28) ২৮ অক্টোবর ১৯৬৮ (বয়স ৫৫)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

মো. খসরুজ্জামান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।[১]

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

খসরুজ্জামান ১৯৬৮ সালের ২৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

খসরুজ্জামান ১৯৯৪ সালের ১৬ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসাবে যোগদান করেন।[৩]

১৯৯৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, খসরুজ্জামান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[৩]

প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে খসরুজ্জামান ও মোঃ রুহুল কুদ্দুসকে শপথ পড়াতে অস্বীকৃতি জানান।[৪] খসরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ভাংচুর এবং প্রধান বিচারপতি জে আর মুদাসির হোসেনের দরজায় লাথি মারার অভিযোগ ছিল।[৪][৫][৬] খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অধ্যুষিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি তার নিয়োগের বিরোধিতা করে।[৬][৩]

২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর, খসরুজ্জামানকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি করা হয়।[৭][৩]

২০১৫ সালের ২৬ মে, খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক সাতটি পৃথক ফৌজদারি মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ রফিকুল ইসলাম মিয়াকে জামিন দেন।[৮]

২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারী, খসরুজ্জামান ও বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ফারুক আহমেদকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন দেন।[৯]

২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর, খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার সরকারকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের জন্য কনক সারওয়ারের মালিকানাধীন সমস্ত অনলাইন পোর্টাল অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন।[১০]

খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মোঃ মাহমুদ হাসান ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা ও একটি সিংহ ও বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।[১১]

২০২৪ সালের ১ এপ্রিল, বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির একটি রিট পিটিশনের দ্বারা প্রভাবিত এই সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর আগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আবরার ফাহাদ হত্যার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "High Court issue rule on flashy and untrue advertisements"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৯-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  2. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  3. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  4. "15 new High Court judges take oath"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  5. Islam, Syful। "Bangladesh, Where the Judiciary Can Be an Obstacle to Justice" (পিডিএফ)globalintegrity.org। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. Staff Correspondent (২০১০-০৪-১৮)। "Controversial 2 left out of oath"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  7. Staff Correspondent (২০১২-১০-১৪)। "Four addl HC judges' appointment confirmed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  8. "HC bail for BNP's Rafiqul in 7 cases"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৫-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  9. "HC issues rule on bail for Rana"jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  10. "'Anti-state content': HC asks to block online portals of journalist Kanak Sarwar"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  11. "HC wants safari park probe report"New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  12. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৪-০১)। "বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিতে আর কোনো বাধা নেই: রিটকারীর আইনজীবী"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৩