বিষয়বস্তুতে চলুন

খন্দকার মাহবুব হোসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খন্দকার মাহবুব হোসেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়াপারসন
কাজের মেয়াদ
৬ আগস্ট ২০১৬ – ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান
কাজের মেয়াদ
২০০৬ – ২০০৭
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩৮-০৩-২০)২০ মার্চ ১৯৩৮
বামনা উপজেলা, বরগুনা
মৃত্যু৩১ ডিসেম্বর ২০২২(2022-12-31) (বয়স ৮৪)
ঢাকা
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশি
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
পেশাআইনজীবী

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (২০ মার্চ ১৯৩৮ – ৩১ ডিসেম্বর ২০২২)[] ছিলেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জন্যে গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[] তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।[]

প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর তিনি ঢাকা নটরডেম কলেজে এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়ন করেন

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

খন্দকার মাহবুব ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ওই বছরের ২০ অক্টোবর তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।[] আইন পেশায় বাংলাদেশের প্রথম সারির সব রাজনীতিবিদের মামলা পরিচালনা করেন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি চারবার ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে একবার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন । ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাা ও ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন।[] ওই আসন থেকে আগেও অন্য দল থেকে একাধিকবার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মামলা ও গ্রেফতার

[সম্পাদনা]

মাহবুব হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যোগদানের জন্য গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানি শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়।[] এছাড়া পুলিশের কর্তব্যে বাধার অভিযোগে খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় মামলা দায়ের হয়। ৭ জানুয়ারি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।[] একই বছরের ২৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।  []

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

খন্দকার মাহবুব হোসেন তিনি করোনা থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকায় মারা যান।[১০][১১] [১২][১৩] তাকে ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। [১৪]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব আর নেই | রাজনীতি"সময় সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২৩ আগস্ট ২০১৪)। "বিচারকদের ওপর চাপ বাড়বে"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-১৭ 
  3. "খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  4. "খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"যমুনা টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৩ 
  5. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  6. "বরগুনা-২: ধানের শীষে লড়বেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী"www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  7. "বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব আর নেই"bdnews24.com। ২০২৩-০১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৫ 
  8. "খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্ত্রীর ক্ষোভ"banglanews24.com। ২০১৪-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১১ 
  9. "খন্দকার মাহবুবের জামিন"risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১১ 
  10. ফারাবি, সুফিয়ান (২০২২-১২-৩১)। "প্রবীন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"SATV। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  11. "অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই"Barta24। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  12. "করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে খন্দকার মাহবুব"Newsbangla24। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  13. "লাইফ সাপোর্টে বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন"dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩১ 
  14. https://www.facebook.com/rtvonline। "খন্দকার মাহবুবের দাফন আজিমপুরে"RTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৩