শেখ আবদুল আউয়াল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শেখ আবদুল আউয়াল
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৩ আগস্ট, ২০০৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

শেখ আবদুল আউয়াল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।[১]

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

আবদুল আউয়াল ১৯৬০ সালের ৪ জুন শেখ ইউসুফ আলী ও সালেহা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি এমএ, এমএসএস ও আইন ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আবদুল আউয়াল ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর জেলা আদালতের আইনজীবী হন।[২]

১০৮৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, আবদুল আউয়াল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[২]

আবদুল আউয়াল ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।[২]

২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট, আবদুল আউয়াল হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন।[২]

২০০৮ সালের ২৬শে আগস্ট, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি তারিক উল হাকিম চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে জামিন দেন।[৩] আউয়াল ও বিচারপতি একেএম ফজলুর রহমান ২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর সাইফুর রহমানকে হয়রানি না করতে সরকারকে নির্দেশনা দেন।[৪] ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি তারিকুল হাকিম সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে জামিন দেন, যাকে বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর অবৈধ অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন।[৫]

২০১৫ সালের ৮ মার্চ, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ইসলামিক স্টেটের একজন রিক্রুট এবং হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুনের ছেলেকে জামিন দেন।[৬]

২০১০ সালের ৩ মার্চ, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মোঃ ইমান আলী বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপন্থী উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (বিশেষ) আইন, ১৯৯৫-এর অধীনে মৃত্যুদণ্ডকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন, কারণ এই আইনে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিকল্প কোন শাস্তি নেই।[৭] বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট এবং এই আইনের অধীনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সুকুর আলীর দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেওয়া হয়।[৭]

২০১৮ সালের ২১ জুলাই, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী একটি রায়ে জামিন আদেশ জালিয়াতির সাথে আদালতের সাতজন কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পান।[৮] আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী শহিদুল আলমকে জামিন দিয়েছিলেন।[৯][১০]

২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার মামলায় পুলিশের দুই প্রাক্তন মহাপরিদর্শক আশরাফুল হুদা এবং শাহুদুল হকের জামিনের আবেদন গ্রহণ করেন।[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "High Court to resume regular benches from Wednesday"Dhaka Tribune। ২০২০-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  2. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  3. Staff Correspondent (২০০৮-০৮-২৬)। "12 more bigwigs get HC bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  4. "Saifur asked to go to lower court"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  5. Staff Correspondent (২০০৮-১০-১৭)। "Babar granted ad-interim bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  6. Report, Star Online (২০১৪-১২-২৩)। "Suspected IS recruit: Shuvo free to walk out of jail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  7. "Death penalty declared illegal"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  8. "7 employees of HC involved in forging bail order"New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  9. "Bangladeshi photojournalist Shahidul Alam granted bail by high court; lensman spent over 100 days in jail-World News, Firstpost"Firstpost (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  10. "HC finally grants bail to Shahidul Alam"HC finally grants bail to Shahidul Alam | theindependentbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  11. Staff Correspondent; bdnews24.com। "Aug 21 case: Two former IGPs sentenced to jail receive bail"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫