মুনমুন (অভিনেত্রী)
![]() | এই জীবিত ব্যক্তির জীবনীমূলক নিবন্ধটির তথ্য যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত সূত্র থেকে উদ্ধৃতিদান করা প্রয়োজন। (জুলাই ২০২০) |
মুনমুন | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৯৭–বর্তমান |
সন্তান | ২ |
মুনমুন হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।[১] তিনি প্রায় ৮৫টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[২][৩] সরকার অশ্লীলতার বিপক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ২০০৩ সালের পর তার চলচ্চিত্রে উপস্থিতি কমে যায়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে মিজানুর রহমান মিজান পরিচালিত রাগী চলচ্চিত্রে খলচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।[৪] চলচ্চিত্রে নগ্নতা ও অশ্লীলতার জন্য তিনি খুব সমালোচিত।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
মুনমুন ইরাকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। তিনি উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
মুনমুন ২০০৩ সালে সিলেটের একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হলে, যুক্তরাজ্যে চলে যান। ২০০৬ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে, ২০১০ সালে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০২০ সালে এই বিয়েও বিচ্ছেদ হয়।[৫][৬]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
মুনমুন ১৯৯৭ সালে বিখ্যাত পরিচালক এহতেশামের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন।[৭] তিনি এহতেসামের সহকারী হিসেবে কাজ করতে এসেছিলেন, কিন্তু তিনি তার অভিনয়ের দক্ষতা দেখে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দেন। এহতেসাম পরিচালিত মৌমাছি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। কিন্তু চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হওয়ায়, কর্মজীবনের শুরুতেই থেমে যেতে হয় তাকে। এরপর মুনমুনের নৃত্যপরিচালক মাসুম বাবুলের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠলে, তিনি তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন।[৬] দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত শক্তির লড়াই চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেন মুনমুন। তার অভিনীত মালেক আফসারী পরিচালিত মৃত্যুর মুখে চলচ্চিত্রটি দারুন ব্যবসা সফল হয়। এছাড়াও তিনি রানী কেন ডাকাত, লঙ্কাকাণ্ড, জানের জান, শত্রু সাবধান, জল্লাদ, রক্তের অধিকার প্রমুখ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি শাকিব খানের বিপরীতে ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৮]
চলচ্চিত্র থেকে অবসরের পর তিনি বিভিন্ন জেলা শহরে আয়োজিত মেলাতে আসা সার্কাস অনুষ্ঠানে দ্বৈত নৃত্য পরিবেশনা শুরু করেন।[৯]
চলচ্চিত্রের তালিকা[সম্পাদনা]
- মৌমাছি (১৯৯৬)
- নিষিদ্ধ নারী
- ঠেকাও মাস্তান (২০০১) - সোনালী
- মৃত্যুর মুখে
- রানী কেনো ডাকাত
- লংকাকাণ্ড
- শত্রু সাবধান
- জল্লাদ
- রক্তের অধিকার
- জানের জান (২০০০)
- কসম বাংলার মাটি (২০০০)
- বিষে ভরা নাগিন (২০০০)
- পাল্টা হামলা (২০০০)
- গণ দুশমন (২০০১)
- হিম্মত (২০০১) - শিউলী
- দুই নাগিন (২০০১)
- বিষাক্ত নাগিন (২০০১)
- পাগলা বাবা (২০০২)
- বোবা খুনি (২০০২)
- স্ত্রীর মর্যাদা (২০০২)
- গুরুদেব (২০০৩)
- খলনায়িকা (২০০৩)
- নাটের গুরু (২০০৪)
- ভন্ড ওঝা (২০০৬) - লুসি
- যুদ্ধে যাবো
- লাট্টু কসাই (২০১৪) - কেয়া
- কুমারী মা (২০১৪)
- পদ্মার প্রেম (২০১৯) - কুসুম
সমালোচনা[সম্পাদনা]
মুনমুন বাংলা চলচ্চিত্রে অন্যতম বিতর্কিত নায়িকা। তাকে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে নগ্নভাবে দেখা যায়। চলচ্চিত্রে নগ্নতা, অর্ধনগ্ন ও অশ্লীলতার জন্য তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।[৪]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "মুনমুন (Munmun) - বাংলা মুভি ডেটাবেজ"। বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ২০১৮-০১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- ↑ "আবারো চলচ্চিত্রে ফিরছেন মুনমুন | বিনোদন | ABnews24"। abnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- ↑ "বাজে পোশাকের কারণে অভিনয় ছেড়েছিলাম : মুনমুন"। NTV Online। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- ↑ ক খ "নায়িকা মুনমুন এখন লেডি ভিলেন | বিনোদন | The Daily Ittefaq"। ২০১৬-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- ↑ https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2020/09/13/954941
- ↑ ক খ "অশ্লীল যৌনাবেদনময়ী নায়িকা মুনমুন, ময়ূরী এবং পলি এখন কোথায়? - Bdkhobor24.com"। ২০১৮-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- ↑ "কখনো যাত্রায় নাচিনি : মুনমুন"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- ↑ Kantho, Kaler। "মুনমুন-শাকিব জুটি বেঁধে করেছেন ১৪টি ছবি | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।
- ↑ "কেমন আছেন নায়িকা মুনমুন ও ময়ূরী?"। কেমন আছেন নায়িকা মুনমুন ও ময়ূরী?। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে মুনমুন (অভিনেত্রী) সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |