মির্জাপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ

স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৯′৩৬.০৩″ উত্তর ৯০°৩১′১৮.৯৯″ পূর্ব / ২৪.৬৬০০০৮৩° উত্তর ৯০.৫২১৯৪১৭° পূর্ব / 24.6600083; 90.5219417
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মির্জাপুর
গ্রাম
মির্জাপুর বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
মির্জাপুর
মির্জাপুর
বাংলাদেশের মানচিত্রে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৯′৩৬.০৩″ উত্তর ৯০°৩১′১৮.৯৯″ পূর্ব / ২৪.৬৬০০০৮৩° উত্তর ৯০.৫২১৯৪১৭° পূর্ব / 24.6600083; 90.5219417
দেশ বাংলাদেশ
জেলাময়মনসিংহ জেলা
আয়তন
 • মোট২.২১ বর্গকিমি (০.৮৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১৮)
 • মোট১,৩৮৭
 • জনঘনত্ব৬৩০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+০৬:০০)
পোস্ট কোড২২৮০

সোয়াইন নদীর অববাহিকায়, বিখ্যাত কৈলা/ কালিয়া বিলের তীরে অবস্থিত, ময়মনসিংহ বিভাগ এর ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়ন এর একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো মির্জাপুর। উত্তরে ইন্দ্রজিতখলা, পশ্চিমে বেগুন বাড়ি ও নগর যাত্রাপুর, দক্ষিণে তারুন্দিয়া ও মাটিখলা এবং পূর্বে তারুন্দিয়া ও ধোপাখলার মাঝে এই অঞ্চলের অবস্থান।

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

২৪° ৩৯' ৩৬.০৩" উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০° ৩১' ১৮.৯৯" পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এই গ্রামটি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ১০ কি.মি. পশ্চিমে উচাখিলা ইউনিয়ন থেকে ৪ কি.মি. উত্তরে এবং গৌরিপুর উপজেলা থেকে ১৩ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে ২২ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে এবং ফাতেমা নগর রেল স্টেশন থেকে ৮ ক.মি. পূর্বে এর অবস্থান। এই গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল। এটি ১০ নং তারুন্দিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর মৌজা হিসেবে পরিচিত। ডাকঘরঃ তারুন্দিয়া, উপজেলাঃ ঈশ্বরগঞ্জ, জেলাঃ ময়মনসিংহ, বিভাগঃ ময়মনসিংহ।

এই গ্রামটি স্পষ্টত দুইভাগে বিভক্ত। মির্জাপুর গোল চত্বর হচ্ছে এর কেন্দ্র, যার পূর্ব অংশ পূর্ব মির্জাপুর ও পশ্চিম অংশ পশ্চিম মির্জাপুর নামে পরিচিত। মির্জাপুর গোল চত্বরের পাশেই রয়েছে মির্জাপুর জামে মসজিদ ও মির্জাপুর ঈদগাহ ময়দান। কৈলা বিলের তীর ঘেষে রয়েছে আখড়া যা হিন্দুদের একটি তীর্থস্থান। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মালম্বি। এই গ্রামে রয়েছে ৩ টি মসজিদ ও ২ টি মন্দির। কোন হাট-বাজার নেই। পার্শ্ববর্তি তারুন্দিয়া বাজারে মানুষজন তাদের নিত্যদিনের বাজার-ঘাট করে থাকেন। এই গ্রামে ছিল বিখ্যাত ফুলুরি খাল যা বহূপূর্বেই বিলীন হয়ে কালের অতলে হারিয়ে গেছে। এখানে নেই কোন সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নেই কোন খেলা-ধুলার মাঠ।[১]

আবহাওয়া ও জলবায়ু[সম্পাদনা]

মির্জাপুরের রয়েছে অফিসিয়ালি ভৌগোলিক সীমানা। মির্জাপুরের জলবায়ু সাধারণভাবে ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু নামে পরিচিত। জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাপ, বায়ুচাপ, আর্দ্রতা, নাতিশীতোষ্ণতা এবং সুস্পষ্ট ঋতুগত বৈচিত্র্য। এখানের জলবায়ুর সর্বাপেক্ষা লক্ষণীয় দিকটি পরিলক্ষিত হয় গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমের স্ব স্ব বৈশিষ্ট্যমন্ডিত পরস্পর বিপরীতমুখী বায়ু প্রবাহ, যা দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশের বায়ুপ্রবাহ ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ষড়ঋতুর অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হলেও বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে মির্জাপুরে বছরে সুস্পষ্ট তিনটি ঋতুর উপস্থিতি চিহ্নিত করা যায় যথা শুষ্ক শীতকাল যা নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়; মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্থায়ী প্রাক-মৌসুমি বায়ূপূর্ব গ্রীষ্মকাল; এবং জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিস্তৃত বর্ষাকাল। এ ছাড়াও মার্চ মাসটিকে বসন্ত ঋতু এবং মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত সময়কে হেমন্ত ঋতু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন স্থানের আবহাওয়া ও জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, উপাত্ত সংগ্রহ, নথিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এ অঞ্চলের আবহাওয়া কেন্দ্র ময়মনসিংহ যেখান থেকে জলবায়ু সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি উপাত্ত পাওয়া যায়।[২]

শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

মির্জাপুরে স্বাক্ষরতার হার ক্রমবর্ধমান। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষার হার ছিল ৬৫ শতাংশ। ২০১৬ তে তা আরো বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয় যা সমগ্র দেশের সাথেই সমান্তরাল। [৩] মির্জাপুরে নেই কোন সরকারী কিংবা বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেখান থেকে অসহায় গরীব এতিম ছেলেমেয়েরা ধর্মিয় শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। পাশের গ্রামেই রয়েছে তারুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধোপাখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তারুন্দিয়া জগৎ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়। সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যন্ত এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য পার্শবর্তি উচাখিলা ইউনিয়নে বা ঈশ্বরগঞ্জ বা ময়মনসিংহ বা বাংলাদেশের সর্বত্রই সুযোগ গ্রহণ করে থাকে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের মানুষদের এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ ভারতের সময় এই গ্রামে ছিল একটি মাইনর স্কুল, তবে কোন অজানা কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর চালু হয়নি।[৪]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

মির্জাপুরের অর্থনীতি ৮৭.৫২% কৃষি নির্ভর। অবশিষ্ট অংশের মধ্যে রয়েছে অকৃষি ৩.৩৮%, ব্যবসায় ২.২২%, সেবা ১.৮৪% এবং অন্যান্য ৫.০৪%।কৃষি ভূমির পরিমাণ ৩০৮ একর, এর মধ্যে ৬৩ একর একফসলি জমি, ২১৫ একর দুফসলা, ২৫ একর তিন ফসলি জমি এবং ৫ একর ৪ ফসলি জমি। নেট কৃষি জমির পরিমাণ ৩৩৯ একর অন্যদিকে মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৩৫৪ একর।[৫]

শস্য[সম্পাদনা]

ধান ও গম হচ্ছে গ্রামবাসির প্রধান শস্য। এছাড়াও আমজুপি বেগুন, ডাঁটা, লাল শাক, লাউ, কচুঁ, কচুঁর লতি, কচুঁ শাক, সিম, মাসকলাই ডাল, ঢেড়স, শশা, জাম্বুরা, পান, সুপারি, বেল, আলু, হলুদ, পেয়াঁজ, রসুন, আদা, আখ, সরিষা, বক ফুল, চাল কুমড়া, কাকরুল, তিল, কালো জিরা, ধনিয়া, ধনে পাতা, মৌরি, রাধুনি, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ,পুদিনা, পুদিনা পাতা, তুলসী, বাঁধা কপি, তেজ পাতা, পুঁই শাক, পালং শাক্‌, মেথি শাক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

গবাদি পশু পাখি[সম্পাদনা]

প্রায় প্রতিটি পরিবারেরই রয়েছে মাছ চাষের জন্য একটি পুকুর যা তাদের নিত্যদিনের মাছের চাহিদা পূরণ করার পরও কিছু মাছ তারা বাজারে বিক্রয় করতে পারে। গবাদি পশুর লালন পালন করে থাকে তাদের কৃষি ভূমি চাষে সহায়তার জন্য এবং নিজেদের প্রয়োজনীয় দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য। এছড়াও প্রায় প্রতিটি ঘরেই হাঁস মুরগি ছাগল ইত্যাদি লালন পালন করে থাকে। এসব হাঁস মুরগি পালনের উদ্দেশ্য কেবল ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণই নয়, অতিথি আপ্যায়নও অন্যতম উদ্দেশ্য।[৫]

ফল[সম্পাদনা]

মির্জাপুরে যেসব ফল জন্মায় বা যেসব ফল-ফলাদি দেখতে পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে[৬] , আম, জাম, পেয়ারা, কলা, চালতা, ডেফল, ঢেউয়া, গাব, তেতুঁল, কামরাঙ্গা, লেবু, বাতাবি লেবু/জাম্বুরা, কাঁঠাল, পেপে, বেল, লিচু, বুভি/লটকন, কৎবেল, আতা, শরিফা, সফেদা, ডালিম, বেদানা, আনারস, জলপাই, করমচা, সুপারি, অরবরই, আমলকি, হরিতকি, খেজুর, বিলিম্বি, সজনে ডাঁটা, নারিকেল, কাঠলিচু, জামরুল, গোলাপজাম, বরই, তাল, তরমুজ, বাঙ্গি ইত্যাদি।

ফুল[সম্পাদনা]

বাণিজ্যিক ভাবে মির্জাপুরে কোন ফুলের চাষ হয়না। হিন্দু বা সনাতন ধর্মালম্বিদের পূজা অর্চনায় সাধারণত ফুলের ব্যবহার অতীব প্রয়োজনীয় বলেই তারা তাদের বাড়ির আঙ্গিণায় বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ফুলের মধ্যে রয়েছে ঘাস ফুল, কলকে ফুল, গোলাপ, জবা, কামিনী, চালতা, বকুল, রজনিগন্ধা, টগর, রঙ্গণ, কসমস, বেলি, কাঠ বেলি, বেল ফুল, নয়ন তারা, চাঁপা, কাঁঠালি চাঁপা, নাগেশ্বর/নাগকেশর চাঁপা, কনক চাঁপা/রামধন চাঁপা, দোলন চাঁপা, জহুরি চাঁপা, স্বর্ণ চাঁপা, গুলঞ্চ চাঁপা/কাঠ গোলাপ, হিম চাঁপা/উদয় পদ্ম, ডুলি চাঁপা, সুলতান চাঁপা/কন্ন্যাল, ভুঁই চাঁপা/পেয়াঁজ ফুল, মুচকুন্দ চাঁপা, কদম, কেয়া, জারুল, হিজল, রক্ত জবা, কৃষ্ণচূড়া, কনকচূড়া, রাধাচূড়া, শিমুল, পলাশ, শিউলি/শেফালি, মহুয়া, দুপুরমনি, সন্ধ্যামালতী, টিউলিপ, দাঁতরাঙ্গা, নীলকন্ঠ, নীলাম্বরী, হাসনা হেনা, গন্ধরাজ, চামেলী, বটফুল, জুুঁই, ভাঁটফুল, কাঞ্চন, শ্বেত কাঞ্চন, গাঁদা/গেন্দা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কুরচি/গিরিমল্লিকা, সুর্যমুখী, জিনিয়া, মোরগঝুঁটি, অপরাজিতা, আকন্দ, অশোক, কানারাজ, ক্যামেলিয়া, করবী, কুসুম, মাধবীলতা, উলটচণ্ডাল/অগ্নিশিখা, দোপাটি, মালতীলতা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিতবেগুন, তেলাকুচা, ধুতুরা, দাঁত রাঙ্গা, শেয়াল কাঁটা, নললতা, সর্পগন্ধা, কচু ফুল, সোনাইল/বানরলাঠি এবং বিলে-ঝিলে, খালে, ডোবায় বা পুকুরে শাপলা, পদ্ম ফুল, বড়নখা, কচুরিপানা ফুল ইত্যাদি অযত্নে অবহেলায় ফুটে থাকতে দেখা যায়।

বন-জঙ্গল[সম্পাদনা]

অরণ্য বা বন হল ঘন বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদের দ্বারা ঘেরা একটি এলাকা। সুতরাং বন বা অরণ্য বলতে যা বুঝানো হয় সে রকম না হলেও সেই প্রাচীন কাল থেকেই এ গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির পেছনে রয়েছে ছোট ছোট জঙ্গল। এই জঙ্গল অনেক প্রাণীর লালনক্ষেত্র হিসেবেও যেমন কাজ করে তেমনি মাটি সংরক্ষণের মতো কাজও করে। জীবমণ্ডলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই জঙ্গল। জঙ্গলে রয়েছে বহূ পাখ-পাখালি যেমন দোয়েল, ময়না, ডাহূক, শকুন, কাক, ঘুঘু, চীল, শালিক, টিয়া, বক, টুনটুনি, চরুই, বাবুই, ফিঙ্গে, শ্যামা প্রভৃতি ও বন্য প্রাণীর মধ্যে শিয়াল, মেছো বাঘ/বন বিড়াল/ওয়াপ, সাপ, ব্যাঙ ইত্যাদির বাস। গাছপালার মধ্যে রয়েছে বাঁশ বাগান, পিতরাজ, সুপারি, নারিকেল, আম, জাম, আমলকি, হরিতকি, লিচু, গোলাপজাম, বকুল, কৎবেল, জাম্বুরা, আতা, চালতা, ডেফল, ঢেউয়া, গাব, তেতুঁল, কামরাঙ্গা, কাঁঠাল, এছাড়াও নাম না জানা ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ। এই জঙ্গল থেকেই গ্রামের মানুষজন তাদের বাড়িঘর, আসবাবপত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বাঁশ ও কাঠ এবং রান্নার জন্য জালানী কাঠ, গাছের পাতা ও খরকুটু সংগ্রহ করে থাকে। এমনকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাঁশ ও কাঠ বিক্রি করে সামান্য অর্থের সংস্থানও করে থাকে গ্রামবাসি।

ব্যবসায় ও অন্যান্য[সম্পাদনা]

মির্জাপুরে সাম্প্রতিক সময়ে মাছ চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও গ্রামের মানুষজন কৃষির পাশাপাশি নানা ধরনের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। কেউ ফেরি করে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য, তৈজসপত্র, খেলনা ইত্যাদি, আবার কারও রয়েছে পার্শবর্তি তারুন্দিয়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের দোকান যার মাধ্যমে মানুষজন তাদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আবার কেউবা দিনমজুরির মাধ্যমেও তাদের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে।

ভাষা, ধর্ম, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

গ্রামের শতভাগ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।[৭]

সাধারণত ইসলাম ধর্মালম্বি ও সনাতন হিন্দু ধর্মের লোক বসবাস করে এই গ্রামে।সাম্প্রতিক সময়ে নাস্তিক্যবাদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।মসজিদ ৩ টি, মন্দির ২ টি, ঈদগাহ ময়দান ৩ টি, ক্লাব ৩ টি।

শীতকালে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল, আখড়া থেকে রথ যাত্রা, হিন্দু ধর্মালম্বি কেউ মারা গেলে শ্রাদ্ধ পরবর্তি কীর্তনের আয়োজন, মুসলমানদের ২ ঈদ, হিন্দু ধর্মালম্বিদের বিভিন্ন পূজা-পার্বন, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন ইত্যাদি এই এলাকার মানুষজন সাম্প্রদায়িকতামুক্ত পরিবেশে একে অপরের সাথে মিলেমিশে পালন ও উপভোগ করে থাকে।

এই গ্রামে বিভিন্ন ধরনের লোকশিল্প রয়েছে। তন্মধ্যে কুটিরশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, ওয়েল্ডিং কারখানা, বাঁশ ও কাঠের কাজ উল্লেখযোগ্য। জারিগান এ অঞ্চলের অতি কাছের যা দেশখ্যাত। এছাড়া বাউল ও যাত্রাগানও প্রচলিত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মির্জাপুর জামে মসজিদে রয়েছে এক সুবিশাল পাঠাগার। এছাড়াও সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এ গ্রামের মানুষজনের রয়েছে ব্যপক অংশগ্রহণ ও অবদান।

নারীদের প্রধান পোশাক শাড়ি। অল্পবয়স্ক মেয়েদের মধ্যে, বিশেষত শহরাঞ্চলে যারা বসবাস করেন তাদের মাঝে সালোয়ার কামিজেরও প্রচলন রয়েছে। পুরুষদের প্রধান পোশাক লুঙ্গি, তবে শহরাঞ্চলে যারা বসবাস করেন তাদের মাঝে পাশ্চাত্যের পোশাক শার্ট-প্যান্ট প্রচলিত। বিশেষ অনুষ্ঠানে পুরুষরা পাঞ্জাবী-পায়জামা পরিধান করে থাকেন।[৫]

রন্ধনপ্রণালী[সম্পাদনা]

রন্ধনপ্রণালী বা খাদ্যাভ্যাস বা রসনার মাধ্যমেও কোন অঞ্চলের মানুষের জীবনমান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। ভাত হচ্ছে প্রধান খাদ্য। এছাড়াও রকমারি খাবারের মাঝে রয়েছে রুটি, পরোটা, নান, বাকরখানি, লুচি, ডাল ইত্যাদি। মাছ হচ্ছে প্রধান, বিশেষত স্বাদুপানির মাছ।অন্যান্য খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, শাক, সবজি অন্যতম। চিংড়ি বা কুচোঁ চিংড়িও অন্যতম। ভোজন বিলাসি খাবার তথা গরু, খাসি, ভেড়া, হাঁস, মুরগির মাংস বা ইলিশের সাথে পোলাউ, বিভিন্ন ধরনের বিরিয়ানি, তেহারি, বিভিন্ন ধরনের খিচুরির চল রয়েছে। কাবাবের মধ্যে রয়েছে শিক কাবাব, রেশমি কাবাব, শাসলিক, টিক্কা, শামি।

পিঠে বা পিঠা বাংলার নিজস্ব আদিম আভিজাত্যপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য। এটি চালের গুঁড়ো, আটা, ময়দা, অথবা অন্য কোনও শস্যজাত গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়। অঞ্চলভেদে পিঠের ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্য দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান তোলার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের ও পৌষ পার্বণের সময় বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে পিঠে তৈরি করা হয়। পিঠে সাধারণত মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকলেও ঝাল, টক বা অন্য যে কোনও স্বাদ হতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলির মধ্যে রয়েছে পাটিসাপটা, চিতই, দুধ চিতই, মেরা/গোটা, চটা, কলার সেমাই, ভাঁপা, সবজি ঝাল পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা, চুটকি, চাপড়ি, চাঁদ পাকন, ছিট পিঠা, সুন্দরী পাকন, সরভাজা, পুলি, পাতা পিঠা, পাকান / তেলের / পোয়া পিঠা, পানতোয়া, পুডিং, মালপোয়া, মালাই, মুঠি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠে, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসফুল, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, ঝালপোয়া, ঝুরি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, সূর্যমুখী পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জেলাফি, তেজপাতা পিঠা, সন্দেশ পিঠা, দুধরাজ, ফুল ঝুরি পিঠা, ফুল পিঠা, বিবিয়ানা পিঠা, সেমাই পিঠা, চিড়ার মোয়া, কাউনের মোয়া, ঝাল মোয়া, ফিরনি, নারকেল নাড়ু, দুধ নাড়ু, কালাই পুড়ি, সরল পিঠা, তেউর পিঠা, সিরিস পিঠা, মোয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।।[৮]

খেলাধুলা ও বিনোদন[সম্পাদনা]

খেলাধুলা হচ্ছে বিনোদন ও শরীর গঠনের অন্যতম মাধ্যম। মির্জাপুর গ্রামের ছেলে মেয়েরাও এর বাইরে নয়। যদিও গ্রামে কোন মাঠ নেই তথাপি গ্রামের ছেলে মেয়েরা তাদের বাড়ির আঙ্গিণায় বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার মধ্যে রয়েছে গোল্লাছুট, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, হা-ডু-ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, বউচিঁ, কুঁতকুঁত, ডাংগুলি, সাত চারা, সাঁতার, মোরগ লড়াই, ষাড়ের লড়াই, মার্বেল, তাস, বুম্বাস্টিং, এক্কা-দোক্কা, কানামাছি, ভলিবল, ষোলঘুটি, পুতুল খেলা, কড়ি খেলা, পলান্টুক, ইচিং-বিচিং, পাশা খেলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এ গ্রামের মানুষজনের বিনোদনের আর একটি উপলক্ষ্য হচ্ছে ঋতুভিত্তিক উৎসব। এর মধ্যে অন্যতম নবান্ন উৎসব। ঋতুবৈচিত্র্যে হেমন্ত আসে শীতের আগেই। কার্তিক আর অগ্রহায়ণ মাস নিয়ে হেমন্ত ঋতু। অগ্রহায়ণের নবান্ন নিয়ে আসে খুশির বার্তা। নতুন ধান ঘরে উঠানোর কাজে ব্যস্ত থাকে কৃষাণ কৃষাণীরা। আর ধান ঘরে উঠলে পিঠে পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। পাড়ায় পাড়ায় চলে নবান্ন উৎসব। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি ধর্ম বর্ণকে উপেক্ষা করে নবান্নকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠে। একে অন্যের মধ্যে তৈরি হয় এক সামাজিক মেলবন্ধনের।[৯]

বাংলাদেশে মোট প্রায় ২০০টি দৈনিক সংবাদপত্র ও ১৮০০রও বেশি সাপ্তাহিক বা মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়, তন্মধ্যে ৪-৫ টি দৈনিক ও ৩-৪ টি মাসিক পত্রিকা নিয়মিতভাবে হকাররা পৌছে দেয়। তবে নিয়মিতভাবে পত্রিকা পড়েন এরকম লোকের সংখ্যা কম, মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫%। গণমাধ্যমের মধ্যে রেডিও অঙ্গনে বাংলাদেশ বেতারবিবিসি বাংলা জনপ্রিয়। সরকারি টেলিভিশন সংস্থা বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ২০টির বেশি উপগ্রহভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ও ৩টির বেশি রেডিও সম্প্রচারিত হয় যার সবই এই গ্রামের মানুষজনদের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। ঢাকা-কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র শিল্প হতে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হতে ১০০টি বাংলা চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়, যা এই গ্রামের মানুষজন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শহরের সিনেমা হল সোনালি টকিজ বা অন্যসব মাধ্যমে দেখে থাকে। তবে কোন সিনেমা হল বা নাট্যমঞ্চ বা থিয়েটার এই গ্রামে নেই।

ডাক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

  • পোস্ট অফিস: নেই (তারুন্দিয়া পোস্ট অফিসে মানুষের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকে)
  • পাকা রাস্তা: প্রায় ১০ কি.মি.
  • অর্ধপাকা রাস্তা: প্রায় ৮ কি.মি.
  • কাঁচা রাস্তা: ১৮ কি.মি.
  • ব্রিজ/কালভার্ট: প্রায় ২০ টি
  • বাস/লেগুনা/সিএনজি স্টপেজ : ১ টি[৬]

নদী ও খাল-বিল[সম্পাদনা]

নদি

সোয়াইন নদীর অববাহিকায় এ গ্রামের অবস্থান। সোয়াইন মাঝারি নদী। তার কূলজোড়া জল, বুকভরা ঢেউ, প্রাণভরা উচ্ছ্বাস। স্বপ্নের ছন্দে সে বহিয়া যায়। ভোরের হাওয়ায় তার তন্দ্রা ভাঙ্গে, দিনের সূর্য তাকে তাতায়; রাতে চাঁদ ও তারারা তাকে নিয়া ঘুম পাড়াইতে বসে, কিন্তু পারে না। দুষ্ট পল্লীবালক তাকে সাঁতরাইয়া পার হইতে পারে না। আবার ছোট নৌকায় ছোট বৌ নিয়া মাঝি কোনোদিন ওপারে যাইতে ভয় পায় না। তিতাস নদীর মতোই সোয়াইন নদী সম্পর্কে একসময় এভাবে বলা যেত। তবে এক সময়ের খরস্রোতা সোয়াইন নদী এখন মৃতপ্রায়। বর্তমানে সোয়াইন নদীতে বর্ষাকাল ছাড়া জল প্রায় থাকে না।

খাল-বিল

বিস্তীর্ণ আবদ্ধ স্বাদুপানির জলাশয়কে বিল বলা হয়। বিল মূলত নিম্নভূমি যেখানে অতিরিক্ত পানি এসে জমা হয়। শুকনো মৌসুমে অধিকাংশ বিলে কোন পানি থাকে না। তখন সেই এলাকা চাষাবাদ ও গবাদিপশুর চারণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটু বৃষ্টি হলে বা বর্ষা মৌসুমে এসব নিম্নভূমি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সাধারণত বিলের গভীরতা বেশি হয় না। বেশিরভাগ বিলই জলাভূমির মত। তবে বড় বড় বিলের গভীরতা অনেক বেশি এবং প্রায় সারা বছর এসব বিলের কোথাও না কোথাও পানি থাকে। বিল কোন কোন ক্ষেত্রে বাঁওড়ের সমার্থক, যদিও দু'টির মধ্য অল্পবিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। কৈলা বা কালিয়া বিল তেমনই একটি বিল। সম্প্রতি বিলের অধিকাংশ অংশে কিছু অসাধু মানুষ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় বিলের মৌলিকত্ত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। অনুরূপ ভাবে এই গ্রাম থেকে হারিয়ে গেছে এক সময়ের বিখ্যাত ফুলুরি খাল।[১০]

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ৯ই ডিসেম্বর এই গ্রাম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাথেই শত্রুমুক্ত হয়। শ্রী বানু চক্রবর্তি এই গ্রামেরই একজন মুক্তিযোদ্ধা। এই গ্রামেই আব্দুল্লাহ মন্ডল সাহেবের বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্প করে বিভিন্ন অপারেশনে অংশ গ্রহণ করত বলে জানা যায়। তবে এই গ্রামে কোন রাজাকার ছিল বা আছে এমন ইতিহাস শোনা যায় না।[১১]

পরিশেষ[সম্পাদনা]

প্রাচীন যুগে মির্জাপুর ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। ব্যাপারটা এমন ছিল যে, এ গ্রামে প্রয়োজনীয় সব পেশার লোক বাস করত, প্রয়োজনীয় সব পণ্য এখানেই পাওয়া যেত। কোনো কিছুর জন্য কাউকে অন্য গ্রামে যেতে হতো না। ছয় ঋতুর এ দেশের গ্রামগুলো সে বৈচিত্র্য ধারণ করে। ফুলে-ফলে-ফসলে-গাছের পাতায় নতুন রং লাগে প্রতি ঋতুতে। বাংলা ভাষায় গ্রাম এর অনেকগুলো প্রতিশব্দ রয়েছে, গ্রাম, গাঁও, গাঁ, পাড়া গাঁ, পল্লি ইত্যাদি। গ্রামে মুসলমানদের নামাজের আজান এবং হিন্দুদের কীর্তন বা পাঁচালী গানের সুর অনেক দূর হতে শোনা যায়। সে শব্দে গ্রামের নীরবতা ভাঙে। তবে সময়ের বিবর্তনে আজ গ্রামগুলো আর প্রাচীন যুগের সে গ্রাম নেই। কবি আহসান হাবীব ‘একটি ঐতিহাসিক ভ্রমণ’ কবিতায় সে বর্ণনা দিয়েছেন এভাবেঃ "এই সেই গ্রাম/ এখানে নয়ন মেলে/ পা রেখে এখানে/ আজ শুধু ভয় করে ওঠে।/ অনেক মানুষ ছিলো মরেছে অনেক/ সেই সাথে মরে গেছে তারো চেয়ে বেশি/ শতাব্দীর গড়ে ওঠা এই সব গ্রাম।" সময়ের সাথে সাথে গ্রামগুলি বদলে গেছে অনেক। তবে গ্রামীণ বাংলার যা কিছু চিরন্তন, তাতো আর বদলায়নি। মসজিদ থেকে ভেসে আসে মুয়াজ্জিনের সুমধুর আযানের ধ্বনি, পাখির কলতান, মঙ্গলশঙ্খের আনন্দধ্বনি সময়ে সময়ে গ্রামগুলোতে বেজে ওঠে আজও, রূপসী বধূদের পদচিহ্ন এখনো খানিক্ষণের জন্যে আঁকা হয়ে মুছে যায়। মির্জাপুরের মানুষগুলো বড়ই সহজ-সরল, মনটা তাদের বড়ই উদার, কোন গড়লতা নেই। অপরুপ সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি যেন এই মির্জাপুর।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bangladesh - Census, Standards & Statistics"Foreign Law Guide। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৭ 
  2. Rashid, MU; Eakram, MS (২০১০-০৭-২২)। "Identification, Prevalence and Use of Medicinal Plants in Fulbaria Upazila of Mymensingh District"The Agriculturists: 90–95। আইএসএসএন 2304-7321ডিওআই:10.3329/agric.v7i1.5259 
  3. "Congressional support for Graduate Psychology Education Program reaches all-time high"PsycEXTRA Dataset। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৭ 
  4. Mayer, Bela or Peter Bela। Benezit Dictionary of Artists। Oxford University Press। ২০১১-১০-৩১। 
  5. Bangladesh. Parisaṃkhyāna Byuro.। Statistical yearbook of Bangladesh.ওসিএলসি 908031705 
  6. Islam, MS; Shamsad, SZKM (১৯৭০-০১-০১)। "Assessment of irrigation water quality of Bogra District in Bangladesh"Bangladesh Journal of Agricultural Research34 (4): 507–608। আইএসএসএন 2408-8293ডিওআই:10.3329/bjar.v34i4.5836 
  7. Grundy, Peter (২০০২)। Language in Language Teacher Education। Amsterdam: John Benjamins Publishing Company। পৃষ্ঠা 83–94। আইএসবিএন 9789027216977 
  8. Ferdouse, Jannatul (২০১৫-০১-০৩)। "Group Work: A Way towards Enhancing Quality Learning"International Journal of English Language Teaching2 (1)। আইএসএসএন 2329-7921ডিওআই:10.5430/ijelt.v2n1p56 
  9. Soron, Tanjir Rashid (২০১৭)। "Bangla Montgomery Asberg Depression Rating Scale"PsycTESTS Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৭ 
  10. "MĪRZĀPUR"Encyclopédie de l’Islam। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৭ 
  11. "MĪRZĀPUR"Encyclopédie de l’Islam। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৯