মাইক ম্যাকাউলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাইক ম্যাকাউলি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমাইকেল জন ম্যাকাউলি
জন্ম (1939-04-19) ১৯ এপ্রিল ১৯৩৯ (বয়স ৮৪)
ডারবান, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
বামহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২২৪)
১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৭/৫৮ - ১৯৫৯/৬০, ১৯৬১/৬২ - ১৯৬২/৬৩, ১৯৬৫/৬৬ট্রান্সভাল
১৯৬০/৬১ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৬৩/৬৪ - ১৯৬৪/৬৫অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট
১৯৬৬/৬৭ - ১৯৬৮/৬৯নর্থ-ইস্টার্ন ট্রান্সভাল
১৯৭৭/৭৮ - ১৯৭৮/৭৯ইস্টার্ন প্রভিন্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬৯
রানের সংখ্যা ৩৩ ৮৮৮
ব্যাটিং গড় ১৬.৫০ ১৩.০৫
১০০/৫০ ০/০ ০/২
সর্বোচ্চ রান ২১ ৫৯
বল করেছে ২৭৬ ১৩৫৬৬
উইকেট ২৩৪
বোলিং গড় ৩৬.৫০ ২২.৮৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/১০ ৭/৪৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ৪৫/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাইকেল জন ম্যাকাউলি বা মাইক ম্যাকাউলে (ইংরেজি: Mike Macaulay; জন্ম: ১৯ এপ্রিল, ১৯৩৯) নাটাল প্রদেশের ডারবান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স, নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল, অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট, ট্রান্সভাল ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। পাশাপাশি, স্পিন বোলিংও করতেন তিনি। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন মাইক ম্যাকাউলি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত মাইক ম্যাকাউলি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মূলতঃ বামহাতি সিমার হিসেবে খেলতেন মাইক ম্যাকাউলি। কোন দলেই তার মন টিকতো না।

হিল্টন কলেজে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে বর্ডারের বিপক্ষে ট্রান্সভালের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তবে, ১৯৫৯-৬০ মৌসুম থেকে দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে কারি কাপের বি গ্রুপে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের পক্ষে খেলেন। ১৩.৩৫ গড়ে ৩৭ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, ব্লুমফন্তেইনে রোডেশিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৭/৪৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। খেলায় তিনি ৯৭ রান খরচায় ১১ উইকেট পেয়েছিলেন।[১]

১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে এমসিসি দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আসে। সাউথ আফ্রিকান কোল্টস একাদশের সদস্যরূপে এমসিসি’র বিপক্ষে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এ সংগ্রহটি তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল। তন্মধ্যে, শেষ উইকেট জুটিতে জ্যাকি বটেনের সাথে এক ঘণ্টারও কম সময় নিয়ে ১১২ রানের ইনিংস খেলেন।[২] কয়েক সপ্তাহ পর এমসিসি দল অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে খেলে। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা ১৯৯/৭ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। তিনি ৭/৫৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।[৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ম্যাকাউলি। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ড্র হওয়া ঐ টেস্টে তিনি দুই উইকেট লাভ করেছিলেন।[৪] এ পর্যায়ে তিনি অধিকাংশ সময়ই গোড়ালীর আঘাতে ব্যথা নিয়ে বোলিং করেছিলেন।[৫] একমাত্র টেস্টে অংশ নিয়ে ২/৭৩ বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে নিয়ে ২১ ও ১২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৬৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। কিন্তু, পেসত্রয় - পিটার পোলক, রিচার্ড ডামব্রিল ও জ্যাকি বটেনকে তিন টেস্টেই খেলানো হলেও তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়।[৬]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও ঘরোয়া পর্যায়ের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। তবে, ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে হাঁটুর আঘাতের কারণে অবসর নিতে বাধ্য হন। কিন্তু, ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে ৩৮ বছর বয়সী মাইক ম্যাকাউলি পুনরায় খেলার জগতে ফিরে আসেন। ইস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে ২৩.১৪ গড়ে ৪২ উইকেট পান। এ পর্যায়ে ঐ দলের যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় অধিক বোলিং করেন।[৭] পরবর্তী মৌসুমে দুই খেলায় অংশগ্রহণের পর চূড়ান্তভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কারি কাপে পাঁচটি প্রদেশের পক্ষে খেলেছেন। ঐ সময় নয়টি দল অংশ নিতো।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Orange Free State v Rhodesia 1963-64"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৬ 
  2. Wisden 1966, p. 799.
  3. Wisden 1966, p. 811.
  4. Wisden 1966, p. 816.
  5. Peter van der Merwe, quoted in J. McGlew & T. Chesterfield, South Africa's Cricket Captains, Southern, Halfway House, 1994, p. 130.
  6. "South Africans in England, 1965", Wisden 1966, pp. 298-323.
  7. Wisden 1979, p. 1011.
  8. Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, Adelaide, 1983, p. 295.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]