জ্যাকি বটেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জ্যাকি বটেন
১৯৬৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জ্যাকি বটেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস টমাস বটেন
জন্ম(১৯৩৮-০৬-২১)২১ জুন ১৯৩৮
প্রিটোরিয়া, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু১৪ মে ২০০৬(2006-05-14) (বয়স ৬৭)
লিটিলটন, গটেং, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডাকনামজ্যাকি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২৬)
২২ জুলাই ১৯৬৫ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৬ আগস্ট ১৯৬৫ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৯৮
রানের সংখ্যা ৬৫ ১৭৭৫
ব্যাটিং গড় ১০.৮৩ ১৫.৮৪
১০০/৫০ ০/০ ০/৪
সর্বোচ্চ রান ৩৩ ৯০
বল করেছে ৮২৮ ১৯৩৫৯
উইকেট ৩৯৯
বোলিং গড় ৪২.১২ ২০.৩৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৪
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৫৬ ৯/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ৫২/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ জুলাই ২০১৯

জেমস টমাস জ্যাকি বটেন (ইংরেজি: Jackie Botten; জন্ম: ২১ জুন, ১৯৩৮ - মৃত্যু: ১৪ মে, ২০০৬) ট্রান্সভাল প্রদেশের প্রিটোরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[২][৩][৪] ১৯৬৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[৫]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল ও নর্দার্ন ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘জ্যাকি’ ডাকনামে পরিচিত জ্যাকি বটেন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

প্রিটোরিয়া বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৭১-৭২ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাকি বটেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভালের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জ্যাকি বটেনের। পরের মৌসুমে মাত্র সাত খেলায় ৬৩ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, ঐ দেশের অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন তিনি। ঐ মৌসুমের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে খেলায় ৪৯ রান খরচায় ১৫ উইকেট লাভ। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৯/২৩ গড়েন।

পরের মৌসুমে আবারো ভালো খেলা উপহার দেন। তবে, অল্পের জন্যে ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ড গমন করা থেকে বঞ্চিত হন। অবশ্য, ১৯৬১ সালে ফেজেলা দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১-৭২ মৌসুম পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেলেও নিজেকে আর কখনো শুরুরদিকের সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের দিকে নিয়ে যেতে পারেননি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাকি বটেন। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২২ জুলাই, ১৯৬৫ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ আগস্ট, ১৯৬৫ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার সদস্যরূপে পদার্পণ করেন। এ সিরিজের তিন টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। পিটার পোলকের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। ৪২.১২ গড়ে আট উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে কিঞ্চিৎ ভূমিকা রাখেন। সমগ্র সফরে ২৪.৭৮ গড়ে ৩৩ উইকেট পান। তবে কোন ইনিংসেই তিন উইকেটের বেশি পাননি।

জ্যাকি বটেন বৈচিত্র্যময় পেস সহযোগে ধূর্ততার সাথে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। স্লিপ অঞ্চলের দিকে বলকে ঠেলে দিতে ব্যাটসম্যানকে বাধ্য করাতেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২০.৩৬ গড়ে ৩৯৯ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও সিদ্ধহস্তের পরিচয় দিয়েছিলেন জ্যাকি বটেন। প্রিটোরিয়াভিত্তিক আর্কাডিয়া শেফার্ডসের পক্ষে ন্যাশনাল ফুটবল লীগে খেলেছেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৩ সাল থেকে নর্দার্নস ক্রিকেট ইউনিয়নের সম্মানিত সদস্যরূপে কাজ করেছেন।

বেশ কয়েকবার মলাশয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার। ১৪ মে, ২০০৬ তারিখে ৬৭ বছর বয়সে গটেংয়ের লিটিলটন এলাকায় জ্যাকি বটেনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Obituaries, 2007: Obituaries index: A-E
  2. "South Africa – Players by Test cap"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯ 
  3. "South Africa – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯ 
  4. "South Africa – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯ 
  5. "Jackie Botten"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-২৬ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]