মধ্য বাংলা সাহিত্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মধ্য বাংলা সাহিত্য হল বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ১৫ থেকে ১৮ শতকের একটি সময়কাল। ১৩ শতকে বাংলায় তুর্কি মুসলমানদের বিজয়ের পর, স্থানীয় ভাষায় বাংলা সাহিত্যের আকার নিতে শুরু করে। মধ্য বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম উদাহরণ চণ্ডীদাস চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন বলে মনে করা হয়।

মধ্য বাংলা সাহিত্যকে তিনটি যুগে বিভক্ত করা হয়েছে, যার নাম প্রাক-চৈতন্য যুগ, চৈতন্য যুগ এবং পরবর্তী মধ্যযুগ।

প্রাক-চৈতন্য যুগে (১৫ শতকে), চণ্ডীদাস এবং বিদ্যাপতির প্রাথমিক বৈষ্ণব কাব্য বা বৈষ্ণব পদাবলী রচিত হয়েছিল, বাংলায় রামায়ণ এবং ভাগবতের প্রথম অনুবাদ করা হয়েছিল এবং মঙ্গলকাব্যের ঐতিহ্য মনসামঙ্গল এবং চণ্ডীমঙ্গলের সাথে বিকাশ লাভ করেছিল।

চৈতন্য যুগে (১৬-১৭ শতক), পরবর্তী বৈষ্ণব কাব্য এবং শ্রীচৈতন্যের হাজিওগ্রাফি বিকাশ লাভ করে। এই সময়ে, বাংলায় মহাভারতের অনুবাদ বৃদ্ধি পায়, এবং মঙ্গলকাব্য ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ দেখা যায়।

পরবর্তী মধ্যযুগে, শাক্ত কাব্য বা শাক্ত পদাবলীর ঐতিহ্য বৃদ্ধি পায়। ভারতচন্দ্র রায়ের অন্নদামঙ্গল রচনার মাধ্যমে মঙ্গলকাব্যের যুগ শেষ হয়। বাউল ঐতিহ্য লালন ফকিরের সাথে একজন বুদ্ধিজীবী আইকন হিসাবে আবির্ভূত হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ হল ইস্টার্ন বেঙ্গল ব্যালাডের দ্রুত বৃদ্ধি এবং মুসলিম গজলগুলি এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে আলাওল এবং দৌলত কাজীর মতো কবিদের কাজ।