মদিনাতুল উলুম বাগবাড়ি
অন্যান্য নামসমূহ | দারুল উলুম বাগবাড়ি |
|---|---|
| ধরন | মাদ্রাসা |
| স্থাপিত | ১ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৩ |
| প্রতিষ্ঠাতা | নাজিব আলী চৌধুরী |
ধর্মীয় অধিভুক্তি | ইসলাম |
| অধ্যক্ষ | মাওলানা আব্দুল মান্নান[১] |
| অবস্থান | , , |
 | |
মদিনাতুল উলুম নাজিবিয়া বাগবাড়ি আলিয়া মাদ্রাসা (আরবি: مدينة العلوم باغباري النجيبية العالية) বা মদিনাতুল উলুম বাগবাড়ি (দারুল উলুম বাগবাড়ি নামেও পরিচিত[২]) হল ভারতের আসামে অবস্থিত একটি মাদ্রাসা। এটি দক্ষিণ আসাম-বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের প্রাচীনতম ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এটি ১৮৭৩ সালে প্রখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত নাজিব আলী চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন। বলা হয়ে থাকে যে, মক্কায় অবস্থানকালে নাজিব আলী চৌধুরী নবি মুহাম্মদকে স্বপ্নে দেখেন। তিনি তাকে তার মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে এবং ধর্মীয় শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেন। মাদ্রাসাটি করিমগঞ্জের কাছে বাগবাড়ি গ্রামে তার নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তার সম্মানে নামকরণ করা হয়। এটি প্রায় এক শতাব্দী ধরে এই অবস্থানে ছিল, ১৯৬৯ সালে তৎকালীন মুহতামিম (প্রিন্সিপাল) মাওলানা আসহাব উদ্দিনের আমলে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়।[৩]
বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের আদলে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মদিনাতুল উলুম বাগবাড়ি ছিল এই অঞ্চলের প্রথম মাদ্রাসা, যা পূর্বে বিদ্যমান অনানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাধারা চালু করে।[২] এটি প্রাথমিকভাবে "শরহে জামি" পর্যন্ত হয়। ১৯৯২ সালে এটি দাওরায়ে হাদিস (সমমান মাস্টার্স) পর্যন্ত উন্নীত হয়। [৪][ক]
মদিনাতুল উলুম বাগবাড়ি আরবি ভাষার পণ্ডিত তৈরির জন্য বিখ্যাত।[৩]
পাদটীকা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "মদিনাতুল উলুম বাগবাড়ি মাদ্রাসার ১৪৬ তম বার্ষিক অনুষ্ঠান আগামী ১ফেব্রুয়ারি"। Taranga Barta (Bangla ভাষায়)। ২০১৯-০১-২৯। ২০২০-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৬।
- ↑ ক খ "Madrasa Education System in South Assam"। The Milli Gazette — Indian Muslims Leading News Source (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২০।
- ↑ ক খ Rahman, Md. Matiur; Bhuiya, Abdul Musabbir (২০০৯)। Teaching of Arabic language in Barak Valley: a historical study (14th to 20th century) (পিডিএফ)। Silchar: Assam University। পৃষ্ঠা 59–60, 101।
- ↑ Rahman & Bhuiya (2009, pp. 60, 74)
- ↑ Riaz, Ali (২০০৮)। Faithful Education: Madrassahs in South Asia। Rutgers University Press। পৃষ্ঠা 122, 245। আইএসবিএন 978-0-8135-4562-2।