বিষয়বস্তুতে চলুন

ভিক্টোরিয়া ক্রস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভিক্টোরিয়া ক্রস
পুরস্কারদাতা দেশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য/কমনওয়েলথভূক্ত দেশ
ধরন সামরিক পদক
যোগ্যতা ব্রিটিশ সাম্রাজ্য/কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সামরিক সদস্য
পুরস্কৃত হওয়ার কারণ "... most conspicuous bravery, or some daring or pre-eminent act of valour or self-sacrifice, or extreme devotion to duty in the presence of the enemy."[]
মর্যাদা বর্তমান
বর্ণনা Bronze Cross pattée with Crown and Lion Superimposed, and motto: 'For Valour'
পরিসংখ্যান
প্রতিষ্ঠিত ২৯ জানুয়ারি, ১৮৫৬
প্রথম পুরস্কৃত ১৮৫৬
শেষ পুরস্কৃত ২০০৬
সর্বমোট পুরস্কৃত ১,৩৫৬
পদকপ্রাপ্ত ১,৩৫৩
পূর্ববর্তী
পরবর্তী (উর্ধতন) নেই
সমমান জর্জ ক্রস (for civil gallantry or military actions not in the face of the enemy)[]
পরবর্তী (অধীনস্থ) ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস অর্ডার, কন্সপিকুয়াস গ্যালান্ট্রি ক্রস, জর্জ মেডেল[]
ডারহাম লাইট ইনফ্যান্ট্রি-র ভিক্টোরিয়া ক্রস বিজয়ীদের স্মৃতিস্তম্ভ

ভিক্টোরিয়া ক্রস (ইংরেজি: Victoria Cross) সর্বোচ্চ সামরিক পদক যা শত্রুর সম্মুখ সমরে অংশ নেয়ার অসম সাহসিকতাবীরত্বের জন্য প্রদান করা হয়। কমনওয়েলথভূক্ত দেশ ও সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভূক্ত উপনিবেশসমূহের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরকে এ পদক দেয়া হয়। পদকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য পদক হিসেবে স্বীকৃত যা অন্য যে-কোন স্তরের পদকের তুলনায় সর্বোৎকৃষ্ট।[] ভিক্টোরিয়া ক্রসকে সংক্ষেপে ভিসি নামে অভিহিত করা হয়।

উৎপত্তি

[সম্পাদনা]

শান্তির ৪০ বছর পর ১৮৫৪ সালে ব্রিটেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বৃহৎ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ক্রিমিয়ার যুদ্ধটি ছিল প্রথমদিককার অন্যতম যুদ্ধ যা আধুনিক প্রতিবেদন নির্ভরশীল। উইলিয়াম হাওয়ার্ড রাসেল নামীয় যুদ্ধবিষয়ক সংবাদদাতা ব্রিটিশ সেনাদের সাহসিকতা ও নির্ভীকতার বিষয়ের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তারা পুরস্কারবিহীন অবস্থায় ছিলেন।[]

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পূর্বে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে সাহসিকতার প্রদর্শনের স্বীকৃতির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোন আদর্শ পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই কেবলমাত্র অধস্তন পদবীধারী সেনাদেরকে অর্ডার অব দ্য বাথ এবং ব্রেভেট পুরস্কার প্রদান করতেন। কিন্তু এ ধরনের পুরস্কার প্রদানের প্রথা খুবই সীমিত পর্যায়ে ছিল।

অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো স্তর কিংবা পদবীকে মূল্যায়িত না করেই পুরস্কার প্রবর্তিত করে। ফ্রান্স লিজিয়ন দোঁ’অনার (লিজিয়ন অব অনার) এবং নেদারল্যান্ড সরকার অর্ডার অব উইলিয়াম প্রদান করে। এরফলে জনগণ এবং রাজদরবারে নতুন পদক প্রবর্তনের কথা দাবী করে। ২৯ জানুয়ারি, ১৮৫৬ সালে (গেজেট আকারে প্রকাশ ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৬)[] মহারাণী ভিক্টোরিয়া ওয়ারেন্ট প্রদান করেন।[][] এভাবেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভিক্টোরিয়া ক্রস পদকের উৎপত্তি ঘটে। আদেশনামাটি ক্রিমিয়ার যুদ্ধকালীন ১৮৫৪ সাল থেকে কার্যকরী হবে।[]

রাণী ভিক্টোরিয়া তার নিয়ন্ত্রণাধীন যুদ্ধ দপ্তরকে নতুন পদক তৈরীর জন্য নির্দেশনা দেন। সাধারণ অঙ্গসজ্জ্বায় পদকটি অতি উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে এবং তা কেবলমাত্র সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্যেই বরাদ্দ থাকবে।[] প্রিন্স আলবার্টের পরামর্শক্রমে এর সাধারণত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়; কিন্তু তাতে তিনি ভেটো প্রয়োগ করে এ পদকের নামকরণ করেন দ্য মিলিটারী অর্ডার অব ভিক্টোরিয়া যা পরবর্তীতে ভিক্টোরিয়া ক্রসে রূপান্তরিত হয়। প্রকৃত আদেশনামায় বলা হয় যে, ভিক্টোরিয়া ক্রস কেবলমাত্র শত্রুর উপস্থিতিতে অসম সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্যে প্রদান করা হবে।[] ২৬ জুন, ১৮৫৭ সালে প্রথম পদক বিতরণী অনুষ্ঠান হাইড পার্কে উদযাপিত হয়। এতে রাণী ভিক্টোরিয়া ১১১জন ক্রিমিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণকৃত সৈনিকদের মধ্যে ৬২জনকে প্রদান করেন।[] চার্লস ডেভিস লুকাস ভিক্টোরিয়া ক্রস পদকের প্রথম গ্রহীতা ছিলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Military Honours and Awards"Defence Internet। UK Ministry of Defence। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৭ 
  2. "Defence Internet"। www.operations.mod.uk। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২২  অজানা প্যারামিটার |3= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |4= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  3. Ashcroft, Michael, Preface to Victoria Cross Heroes
  4. "নং. 21846"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়): 410–411। ৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০০৮  The Gazette publishing the original Royal Warrant
  5. Ashcroft, Michael, p.7-10
  6. "The Victoria Cross"Vietnam Veterans Of Australia। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০০৭ 
  7. Original Warrant, Clause 5:Fifthly. It is ordained that the Cross shall only be awarded to those officers and men who have served Us in the presence of the enemy, and shall have then performed some signal act of valour or devotion to their country.

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]