ব্যবহারকারী আলাপ:Md Farhad Ahmed Mojumder

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দারুল উলূম আহসানিয়া কামিল মাদ্রাসা[সম্পাদনা]

দারুল উলূম আহসানিয়া কামিল মাদ্রাসা ৪৯/বি শাহ সাহেব লেন, নারিন্দা, ঢাকা-১১০০ হযরত কেবলা শাহ আহসানুল্লাহ (রহঃ) বাংলার মুসলমানগণের বহু দিনের দ্বীনি ইলমের অভাব মোচন করিবার উদ্দেশ্যে বাংলা ১২৭৮ সনে মোতাবেক ১৮৭১ সালে প্রথম মাদ্রাসা দারুল উলূম আহসানিয়া নাম দিয়ে ভিত্তি স্থাপন করিয়া ছিলেন। (তার আগে হযরত কেবলা মশুরীখোলায় গ্রামের বাড়ীর মসজিদে মকতবরূপে মাদ্রাসার বুনিয়াদ গড়ে ছিলেন) যা ঢাকায় বংশাল রোডে একটি ভাড়া বাড়ীতে মাদ্রাসা কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। এবং ১৮৮০ সালে কলিকাতা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে। এমনিভাবে মাদ্রাসার অগ্রগতি অব্যাহত থাকে। হযরত কেবলা (রহঃ) ১৯৬২ সালে ওফাত গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত (১৮৭১ সাল থেকে ১৯২৬ সাল) দীর্ঘ ৫৬ বছর যাবত তিনি মাদ্রাসা পরিচাালনা করে থাকেন। হযরত কেবলা (রহঃ) এর ওফাতের পর মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন হযরত কে¦বলা (রহঃ) এর বড় সাহেবজাদা হযরত শাহ আব্দুল আজিজ (রহঃ)। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমার এ সময় কিছুটা আর্থিক আনুকুল্য লাভের প্রয়োজন হয়, তখনকার সময় স্থানীয় জনৈক দানশীল ব্যক্তি মাদ্রাসার তহবিলে বিশেষ অর্থ সাহায্য করেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অনুমান করা যায় যে, তার নাম ছিল হাম্মাদ সাহেব । তখন তার নামানুসারে সাময়িকভাবে “দারুল উলূম হাম্মাদীয়া ” নামে অভিহিত হয়। ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত (২২ বছর) হযরত আব্দুল আজিজ (রহঃ) মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। হযরত আব্দুল আজিজ (রহঃ) এর ওফাতের পর মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন হযরত কেবলা (রহঃ) এর দ্বিতীয় সাহেবজাদা, ৩য় মোতাওয়াুলী ও বর্তমান পীর সাহেব হুজুর এর আব্বাজান হযরত শাহ আব্দুল লতিফ (রহঃ)। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ১৯৫২ সালে মাদ্রাসাটি দরবার শরীফের লাল দালানে স্থানান্তর করেন এবং ১৯৬৪ সালে পুনরায় “দারুল উলুম আহসানিয়া” নামে তা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। হযরত শাহ আব্দুল লতিফ (রহঃ) ১৯৭২ সালে ওফাতের আগ পর্যন্ত (১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭২ সাল) দীর্ঘ ২৪ বছর মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। হযরত আব্দুল লতিফ (রহঃ) এর ওফাতের পর বর্তমান পীর সাহেব হুজুর হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আহছানুজ্জামান (মা. জি. আ.) এর উপর মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম পরিচালনার গুরু দায়িত¦ অর্পিত হয়। কালের বিবর্তনের সাথে সাথে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তৎকালীন সরকার কোন কারনে হঠাৎ মাদ্রাসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তখন থেকে হযরত কেবলা (র.) এর প্রথম যুগের মক্তবরূপে দ্বীনি শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করেন পীর সাহেব হুজুর কেবলা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৮ বছর পরে ১৯৮০ সালে দেশের অবস্থা স্থিতিশীল হলে মাদ্রাসার শতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে বর্তমান পীর সাহেব হুজুর কেবলা আবার নতুন করে মাদ্রাসা কার্যক্রম শুরু করেন শিশু শ্রেণী থেকে দাখিল শ্রেণীতে পাঠদানের মাধ্যমে। এখান থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কলকাতা মাদরাসা বোর্ডের সরকারী স্বীকৃতি অনুযায়ী বর্তমান পীর সাহেব হুজুর কেবলা ১৯৮০ ইং সালে ৭ই ডিসেম্বর মাদরাসার শতবার্ষিকী পালন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মরহুম শাহ আজিজুর রহমান, খাদ্যমন্ত্রী মরহুম আব্দুল মোমেন খান, মাদরাসা বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম অধ্যাপক বাকীবিুলা খান ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা উবায়দুল হক সহ আরো অনেক ওলামায়ে কেরামগণ। মাদরাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালে প্রথম পীর সাহেব হুজুর কেবলা মাজার শরীফের পশ্চিম পাশে ৪৯/বি শাহ্ সাহেব লেনস্থ ১টি হিন্দুদের খালি জায়গা মাদরাসার জন্য ক্রয় করার মনস্থ করেন এবং সাড়ে ১২ কাঠা জমিন মাদরাসার জন্য ক্রয় করেন। পীর সাহেব হুজুর কেবলার নিজস্ব সম্পদ বিক্রয়ের অর্থের সাথে দরবার শরীফের মুরীদান ও ভক্তবৃন্দের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ৮,৮৮,৯১৮ টাকা দিয়ে জমিটি ক্রয় করেন। এবং পরে ২০০০ সালে হিন্দুদের খালি জায়গার বাকি অংশ দের কাঠা জমি প্রায় ১২ লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করে। এবং এতে ১৯৯৫ সালে মাদরাসা নয় তালা একাডেমীক ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মরহুম আব্দুর রহমান বিশ্বাস প্রমুখ। ১৯৯৯ সালে হযরত শাহ্ আহসানুুলাহ্ (রহঃ কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়নে মাদরাসার নয় তালা একাডেমী ভবন এর ২য় তলার কাজ সম্পূর্ণ করেন এবং মাদরাসা ভবন উদ্ভোধন করেন তৎকালীন বিচারপতি জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ। শিক্ষা কার্যক্রম অগ্রগতির সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটি ০১/০৭/১৯৮৪ সালে আলিম এবং ০১/০৭/১৯৮৬ সালে ফাযিল স্বীকৃতি লাভ করে। এবং ২০০৫ সালে মাদরাসার ১২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করা হয়। ২০১৭ সালে মাদরাসাটি কামিল (এম, এ) শ্রেণী (ফিকহ্) স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে পীর সাহেব হুজুর কেবলা আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মুহাম্মদ আহছানুজ্জামান (মা. জি. আ.) এর নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে হযরত শাহ্ আহ্সানুুলাহ (র.) কমপ্লেক্স-এর তত্ত্বাবধানে মাদরাসার নয় তালা বিশিষ্ট একাডেমীক ভবনের অর্ধাংশ নির্মাণ সম্পূর্ণ করা হয় এবং বাকি অর্ধাংশের কাজ চলমান। মাদরাসায় ইবতেদায়ী, জেডিসি, দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল এ অ+ সহ শতভাগ পাশের হার রয়েছে। বর্তমানে মাদরাসায় শিশু থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রী এবং শিশু শ্রেণী থেকে কামিল শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্ররা অধ্যায়ন করে থাকে বিজ্ঞান ও সাধারন বিভাগে। এতে প্রায় ছয়শত এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন। এদের শিক্ষাদানের জন্য ৪০ জন এর অধিক অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী রয়েছেন। পীর সাহেব হুজুর কেবলা ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেল এর জন্য ১৯৮৬ সালে ৩১ নং শাহ্ সাহেব লেন বাড়িটি সরকার থেকে নিয়ে ছাত্রদের জন্য আবাসিক হোষ্টেলের ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে এতে ১. হযরত শাহ্ আব্দুল লতিফ (র.) হল। ২. আলাহ আব্দুল আহাদ আল কাসেমী (র.) হল। ৩. আলহাজ্ব হযরত শাহ্ মুহাম্মদ আহছানুজ্জামান (মা. জি. আ.) হল। ৪. মরহুম আবদুর রফিক ও তরিকুন্নেসা হল নামে মোট চারটি হল বিদ্যমান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত ও হযরত শাহ্ আহসানল্লাহ্ (র.) কমপ্লেক্স এর অধীনে পরিচালিত। Md Farhad Ahmed Mojumder (আলাপ) ১৮:৩৯, ২৩ মার্চ ২০২০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

উইকিপিডিয়ার করোনা ভাইরাসের পূর্বে যুগে যুগে যত মহামারি ও মরণব্যাধি ভাইরাস পাতাটি দ্রুত অপসারণের জন্য একটি নোটিশ লাগানো হয়েছে। দ্রুত অপসারণের জন্য বিচারধারার উপর ভিত্তি করে এই নোটিশ সংযোজন করা হয়েছে, এই পাতায় পূর্বেও কখনো গঠনমূলক কোনো তথ্য সংযোজিত হয়নি, অথবা নিবন্ধের অধিকাংশ স্থানে স্পষ্টত অর্থহীন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি যদি পরীক্ষা করার জন্য এই নিবন্ধটি তৈরী করে থাকেন, তবে অনুগ্রহ করে খেলাঘর পাতায় আপনার এই ধরনের পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করুন। এই বিষয়ে কোনো তথ্য জানার থাকলে আমার আলাপ পাতার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনি যদি মনে করেন যে এই নোটিশটি এখানে ভুল করে প্রদান করা হয়েছে, তবে এই অপসারণের আপত্তি জানাতে নিবন্ধে যেয়ে দ্রুত অপসারণের আপত্তি করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন লেখার উপর ক্লিক করুন। এটি করার ফলে আপনি আগে থেকে বিন্যস্ত সংশ্লিষ্ট নিবন্ধের আলাপ পাতা পাবেন, সেখানে আপনি ব্যাখ্যা করুন, কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। অথবা আপনি নিবন্ধের আলাপ পাতায় সরাসরি আপনার কারণ ব্যক্ত করতে পারেন। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন, দ্রুত অপসারণ ট্যাগ কোনো নিবন্ধে করা হলে, কোনো দেরি না করে অপসারণ করা হয় যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ বিচারাধারার সাথে মিলে যায়। এটি যদি দ্রুত অপসারণের বিচারধারা অনুসারে না হয় তবে নিবন্ধ থেকে এই নোটিশটি সরিয়ে ফেলুন, কিন্তু অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এ নোটিশটি সরিয়ে ফেলবেন না আমরা আপনাকে নিবন্ধটিকে সম্প্রাসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, নিবন্ধের বিষয় অবশ্যই উল্লেখযোগ্য হতে হবে ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্রগুলো যাচাইযোগ্য হওয়া উচিত। যদি ইতিপূর্বে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে আপনি কোনো একজন সক্রিয় প্রশাসকের সহিত যোগাযোগ করুন।

অনুগ্রহপূর্বক আরও লক্ষ করুন যে, অপসারণের প্রস্তবনা কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। এটি শুধুমাত্র একটি নোটিশ যা উইকিপিডিয়ার নীতিমালা অনুসারে আপনাকে প্রদান করা হয়েছে। উইকিপিডিয়ায় অবদান রাখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে আপনি বিনা দ্বিধায় আমার আলাপের পাতায় বার্তা রাখতে পারেন। গোলাম মুকিত(আলাপ)০৭:৫০, ২৪ মার্চ ২০২০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]