ব্যবহারকারী:মামুন ইকবাল/বেড়েলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বেড়েলা / ‌ sida cordifola
বাংলাদেশী উদ্ভিদ বেড়েলা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: plantae
শ্রেণীবিহীন: Tracheophytes
বিভাগ: Angiosperms
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Malvales
পরিবার: Malvaceae
গণ: sida
প্রজাতি: s.cordifolia
দ্বিপদী নাম
বেড়েলা/sida cordifolia
L.

বেড়েলা , সাধারণ ওয়্যারউইড , হল ম্যালো পরিবার, মালভাসিতে ফুলের উদ্ভিদের একটি প্রজাতি। হারবাল চিকিৎসায় বেড়ালার প্রচুর প্রভাব রয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ উদ্ভিদটি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করে যাচ্ছেন। এটি মধ্য আমেরিকায় উদ্ভূত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, তবে বর্তমানে একটি প্যানট্রপিকাল বিতরণ রয়েছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এটি আগাছা হিসাবে বিবেচিত হয়। [১] [২]বেড়েলা পরিচিতি নিন্মে

বেড়ালের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

বেড়েলা বর্ষজীবী উদ্ভিদ ২/৩ ফুট পর্যন্ত হয় বর্ষার শুরুতে গাছের ফুল ফল হতে শুরু করে ফাল্গুন-চৈত্র বীজ পেকে যায় বেড়েলা সাদা পীতবর্ণের হয়। , হৃদপিন্ডের মত আগার দিক শরু হয়। দুই প্রজাতির বেড়েলা দেখতে পাওয়া যায় সাদা এবং হলুদ হতে পারে পাতা অল্প লম্বা হয় সাদা প্রজাতির বেড়েলা যেখানে সেখানে পাওয়া যায় না এই গাছের পাতার কিনারা করাতের মতো কাটা কাটা থাকে সাদা প্রজাতির বেড়েলা যত্ন করে মানুষ লাগিয়ে থাকে। শ্বেত বেড়েলার বৈশিষ্ট্য

শ্বেত বেড়েলা     গাছ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায় বাংলাদেশ  -ভারত   ফিলিপাইন থাইল্যান্ড   ব্রাজিল   আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া    ইন্দোনেশিয়া   মালয়েশিয়া বিভিন্ন দেশে এই গাছটির জন্মে থাকে এরপরে ঔষধি গুনাগুন আছে যা নিন্মে বর্ননা করা হবে পথে-ঘাটে বিভিন্ন স্থানে এই    ঔষধি গাছটি      দেখতে পাওয়া যায় তিন থেকে চার ফুট উঁচু হয় লাল বেড়ালার মতোই একই সময়ে ফুল ফল ফোটে এটি অনেক উপকারী উদ্ভিদ অনেকে শখ করে বাড়িতে লাগিয়ে থাকে।

বেড়েলার ওষুধি গুনাগুনের সারাংশ[সম্পাদনা]

বেড়েলা উদ্ভিদে   এফিড্রিন      নামে এক প্রকার পদার্থ রয়েছে যাকে      আ্যমফিটামিন       বলে এই বিষাক্ত পদার্থ টি মানব শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।।
বেড়েলা    ঔষধ সেবনে কিছুটা উদ্বেগ ও ভয়-ভীতি থাকলেও থাকলেও বিভিন্ন রোগে যেমন সর্দি- কাশি   প্রদাহ  মাথাব্যথা মূত্রনালীর সংক্রমণ ফোলা প্রদাহ হৃদরোগে স্ট্রোক পক্ষাঘাত   :রিউমেটিক আর্থ্রাইটিস       শ্বাসকষ্ট যক্ষা  সমস্যা, অ্যালার্জি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং দুর্বল হাড় (অস্টিওপোরোসিস) এর জন্য ব্যবহৃত হয়।

বেড়েলা আদার সাথে সেবনে ওজন হ্রাস করে এবং দুর্বল হাড় (অস্টিওপোরোসিস) এলার্জি পালা জ্বর ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ইবি) এলার্জিহাঁপানি ব্রঙ্কাইটিস প্রভৃতি রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়।

বেড়েলার মূল মূলসহ    সমস্ত গাজটি ঔষুধে ব্যবহার করা হয়
  • 1। রক্তার্শে -১০ অথবা ১২ গ্রাম পিত বেড়েলার মূল একটু থেঁতো করে চার কাপ পানি সিদ্ধ করে আধ কাপ পানি অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে রাখুন। তারপর সে কাথের সাথে এক কাপ দুধ মিশিয়ে একটু গরম করে খাবেন রক্তপিত্তে উপকার পাবেন।
  • 2। প্রদর রোগে-যে ধরনের প্রদর হোক না কেন ১০ গ্রাম বেড়েলার মূল একটু খেতে করে চার কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে তার সাথে আধা কাপ দুধ মিশিয়ে সকালে অর্ধেক বিকালেঅর্ধেক খাবে প্রদর আরোগ্য হবে।
  • 3। হৃদযন্ত্র বৃদ্ধি হলে-বেড়েলার মূলের ছাল চূর্ণ আধা গ্রাম পরিমাণ নিয়ে গরব দুধের সাথে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত খাবেন তিন থেকে চার দিন খেলে উপকার পাবেন।
  • 4। মূত্র রোগে-বেড়েলার মূল ১০ গ্রাম নিয়ে একটু থেত করে চার কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এককাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে সে ক্কাথ দুবেলা নিয়মিতভাবে কয়েকদিন খাবেন মূত্ররোগ আরোগ্য হবে।
  • 6। কণ্ঠস্বরের সমস্যা- স্বরভঙ্গে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে এ অবস্থায় বেড়েলা ছাল আধা গ্রাম মধূসহ মিসিয়ে রেখে দিন সারাদিন এ মিশ্রণ ছয় সাতবার একটু একটু করে চেটে খাবেন স্বরভঙ্গ থাকবে না।

[৩]

  • 7। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হলে-

বেড়েলা গাছের কচি পাতা বেটে ১১০মিলিলিটার খেলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা সেরে যায়।

 *8। বিকৃত শুক্রে-বেড়েলা গাছের টাটকা পাতা ও কচি ডাল বেটে রস /২৫০ মিলিমিটার এবং ঠান্ডা পানি ১০০ মিলিমিটারে একসাথে মিশিয়ে সকালে একবার খেলে বিকৃত শুক্র সাম্যাবস্থায় পরিনিত হয় এভাবে কিছুদিন নিয়ম করে খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
  • 9। বাতের যাবতীয় সমস্যা-

বাতরোগ একটি মারক্তক রোগ শরীর কি দুর্বল এবং ব্যাথা বেদনায় বিকল করে দিতে পারে রোগী একেবারে বিমস্ত্র হয়ে পড়ে তার চলার শক্তি রহিত হয়ে যায় এই ধরনের সমস্যা হলে বেড়েলার মূল ২০/২২গ্ৰাম নিয়ে তিন থেকে চার কাপ পানিতে সেদ্ধ করতে হবে এক কাপ পানি থাকতে নামাতে হবে এবং ভালো করে ছেকে দিয়ে সেই ক্কাথ খেতে হবে এবং তৈরি করা ক্কাথ সমস্ত শরীরের মাখতে হবে এটা করেও রোগের উপকার হবে [৪]

  • 10। পেট কামড়ালে-বেড়েলা গাছের শুকনো বীজের গুড়া বয়স অনুপাতে তিন থেকে পাঁচ গ্রাম ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খেলে খুব তাড়াতাড়ি রোগীর আরাম হয়
  • 11। বিষাক্ত ক্ষতে-পোকা পোকা কামড়ালে যদি ঘা হয় অথবা ফোড়ার কারনে ঘা বিষিয়ে গেলে বেড়েলা মূলের টাটকা রস দিয়ে সকালে একবার করে ঘা ধুয়ে দিলে বিষাক্ত খত খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়
*12। হস্ত বেদনা

পূর্বেই বলা হয়েছে দুই বেড়েলা দুই প্রকারের সাদা এবং হলুদ। হাত বেদনার সমস্যা হলে হাত উঁচু করা যায়না নিচু করাও যায় না ঘুরানো যায় না এ ধরনের সমস্যা হলে দু প্রকারের যেকোনো এক প্রকার বেড়েলার,মূল১৮ থেকে ২২ গ্ৰাম নিয়ে 4 থেকে 5 কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এককাপ থাকতে নামিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিয়ে প্রতিদিন একবার করে খাবেন উপকার হবে।

  • 13।ফোড়া জনিত সমস্যা
 শ্বেত বেড়েলা গাছের মূল বেঠে শরীরের যেখানে ফোড়া হয়েছে তার উপর প্রলেপ দিলে যাবতীয় ফোড়ার সমস্যা দূর হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বিষয়শ্রেণীসমূহ[সম্পাদনা]

  1. "Sida cordifolia Linn. accelerates wound healing process in type 2 diabetic rats"science direct.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭ 
  2. "বেড়েলা"voreraloi.xyz। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭ 
  3. "বলা‌ বা বেড়েলা গাছ"freeherbalguide.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭ 
  4. "ভেষজগুণে অনন্য বেড়েলা"samakak.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭