আটচালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎তথ্যসূত্র: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
+image#WPWP
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[File:Bhukailash Shiv Temple 06.jpg|thumb|right|ভূকৈলাস শিব মন্দির, কলকাতা। এটি আটচালা মন্দির স্থাপত্যের নিদর্শন।]]
[[File:Bhukailash Shiv Temple 06.jpg|thumb|right|ভূকৈলাস শিব মন্দির, কলকাতা। এটি আটচালা মন্দির স্থাপত্যের নিদর্শন।]]
[[File:'Aatchala' (Village Community Stage).jpg|thumb|right|পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার চাকুর গ্রামে বিচালি খড়ের ছাউনি আটচালা যাত্রামঞ্চ]]
'''আটচালা''' হল [[বঙ্গ|বঙ্গের]] মন্দির স্থাপত্যের একটি শৈলী। এটি চতুর্মুখী [[চারচালা]] মন্দির স্থাপত্যশৈলীর অনুরূপ। তবে এক্ষেত্রে মূল মন্দিরের উপরিভাগে মূল মন্দিরের একটি ক্ষুদ্রায়তন অণুকৃতি থাকে।<ref name=aishee>{{citation |url=http://www.aishee.org/essays/classification.php |title=Classification of Terracotta Temples |author=Amit Guha |accessdate=20 January 2016}}</ref>
'''আটচালা''' হল [[বঙ্গ|বঙ্গের]] মন্দির স্থাপত্যের একটি শৈলী। এটি চতুর্মুখী [[চারচালা]] মন্দির স্থাপত্যশৈলীর অনুরূপ। তবে এক্ষেত্রে মূল মন্দিরের উপরিভাগে মূল মন্দিরের একটি ক্ষুদ্রায়তন অণুকৃতি থাকে।<ref name=aishee>{{citation |url=http://www.aishee.org/essays/classification.php |title=Classification of Terracotta Temples |author=Amit Guha |accessdate=20 January 2016}}</ref>


==গঠনশৈলী==
==গঠনশৈলী==
আটচালা স্থাপত্যশৈলীটির একাধিক রূপান্তর লক্ষ্য করা যায়।<ref name=aishee/>
আটচালা স্থাপত্যশৈলীটির একাধিক রূপান্তর লক্ষ্য করা যায়।<ref name=aishee/>
আটচালা মন্দির আঠারো ও উনিশ শতকে বাংলায়, বিশেষ করে হুগলী ও হাওড়া জেলার নির্মাণশিল্পি ও পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ধারার মন্দির চারচালা মন্দিরেরই অনুরূপ, তবে তার সঙ্গে একটি অতিরিক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির ছাদের গঠন জোড়া দিয়ে মন্দিরের উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়। বৃহত্তর আট চালা মন্দিরে সাধারণত তিনটি প্রবেশদ্বার থাকে।
আটচালা মন্দির আঠারো ও উনিশ শতকে বাংলায়, বিশেষ করে হুগলি ও হাওড়া জেলার নির্মাণশিল্পী ও পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই ধারার মন্দির চারচালা মন্দিরেরই অনুরূপ, তবে তার সঙ্গে একটি অতিরিক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির ছাদের গঠন জোড়া দিয়ে মন্দিরের উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়। বৃহত্তর আটচালা মন্দিরে সাধারণত তিনটি প্রবেশদ্বার থাকে।
==আটচালা মন্দির==
==আটচালা মন্দির==
আঠারো শতকে নির্মিত নালন্দায় অবস্থিত রামেশ্বরী মন্দিরের বাইরের দু’পাশের দেয়াল পোড়ামাটির ফলক দ্বারা অলংকৃত এবং এতে রয়েছে পাঁচটি প্রবেশদ্বার। এ ছাড়াও আটচালা মন্দিরের অন্যান্য উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত রয়েছে যশোরের গুঞ্জনাথ শিব মন্দির (১৭৪০), বাগেরহাটের জোড় শিব মন্দির (১৮ শতক) কুমিল্লার চান্দিনার শিব মন্দির (১৯ শতক) প্রভৃতি।
আঠারো শতকে নির্মিত নালন্দায় অবস্থিত রামেশ্বরী মন্দিরের বাইরের দু-পাশের দেওয়াল পোড়ামাটির ফলক দ্বারা অলংকৃত এবং এতে রয়েছে পাঁচটি প্রবেশদ্বার। এছাড়াও আটচালা মন্দিরের অন্যান্য উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত রয়েছে যশোরের গুঞ্জনাথ শিব মন্দির (১৭৪০), বাগেরহাটের জোড় শিব মন্দির (১৮ শতক) কুমিল্লার চান্দিনার শিব মন্দির (১৯ শতক) প্রভৃতি।
==আরও দেখুন==
==আরো দেখুন==
* [[জোড় বাংলা স্থাপত্য রীতি|জোড়বাংলা]]
* [[জোড় বাংলা স্থাপত্য রীতি|জোড়বাংলা]]
* [[চারচালা]]
* [[চারচালা]]

১৩:০৩, ২২ জুলাই ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ভূকৈলাস শিব মন্দির, কলকাতা। এটি আটচালা মন্দির স্থাপত্যের নিদর্শন।
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার চাকুর গ্রামে বিচালি খড়ের ছাউনি আটচালা যাত্রামঞ্চ

আটচালা হল বঙ্গের মন্দির স্থাপত্যের একটি শৈলী। এটি চতুর্মুখী চারচালা মন্দির স্থাপত্যশৈলীর অনুরূপ। তবে এক্ষেত্রে মূল মন্দিরের উপরিভাগে মূল মন্দিরের একটি ক্ষুদ্রায়তন অণুকৃতি থাকে।[১]

গঠনশৈলী

আটচালা স্থাপত্যশৈলীটির একাধিক রূপান্তর লক্ষ্য করা যায়।[১] আটচালা মন্দির আঠারো ও উনিশ শতকে বাংলায়, বিশেষ করে হুগলি ও হাওড়া জেলার নির্মাণশিল্পী ও পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই ধারার মন্দির চারচালা মন্দিরেরই অনুরূপ, তবে তার সঙ্গে একটি অতিরিক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির ছাদের গঠন জোড়া দিয়ে মন্দিরের উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়। বৃহত্তর আটচালা মন্দিরে সাধারণত তিনটি প্রবেশদ্বার থাকে।

আটচালা মন্দির

আঠারো শতকে নির্মিত নালন্দায় অবস্থিত রামেশ্বরী মন্দিরের বাইরের দু-পাশের দেওয়াল পোড়ামাটির ফলক দ্বারা অলংকৃত এবং এতে রয়েছে পাঁচটি প্রবেশদ্বার। এছাড়াও আটচালা মন্দিরের অন্যান্য উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত রয়েছে যশোরের গুঞ্জনাথ শিব মন্দির (১৭৪০), বাগেরহাটের জোড় শিব মন্দির (১৮ শতক) কুমিল্লার চান্দিনার শিব মন্দির (১৯ শতক) প্রভৃতি।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Amit Guha, Classification of Terracotta Temples, সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৬