লেন মাডকস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারিত রূপ!
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬৬ নং লাইন: ৬৬ নং লাইন:


== খেলোয়াড়ী জীবন ==
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
[[গিল ল্যাংলি|গিল ল্যাংলি’র]] সাথে গ্লাভস ভাগাভাগি করে নিতেন লেন মাডকস। ল্যাংলি আহত হলে তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতেন। কিন্তু, [[ডন টলন]] এবং [[ওয়ালি গ্রাউট|ওয়ালি গ্রাউটের]] কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হতে হতো তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম [[অস্ট্রেলীয় টেস্ট উইকেট-রক্ষকদের তালিকা|সেরা গ্লাভসম্যান]] হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি মাত্র সাতটি টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন।
[[গিল ল্যাংলি|গিল ল্যাংলি’র]] সাথে গ্লাভস ভাগাভাগি করে নিতেন লেন মাডকস। ল্যাংলি আহত হলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হতেন। কিন্তু, [[ডন টলন]] এবং [[ওয়ালি গ্রাউট|ওয়ালি গ্রাউটের]] কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হতে হতো তাকে। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম [[অস্ট্রেলীয় টেস্ট উইকেট-রক্ষকদের তালিকা|সেরা গ্লাভসম্যান]] হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি মাত্র সাতটি টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন।


১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টারের [[ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ড|ওল্ড ট্রাফোর্ডে]] অনুষ্ঠিত স্বাগতিক [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] প্রথিতযশা [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলার]] জিম লেকারের টেস্টে এক [[ইনিংস|ইনিংসের]] সবকটি [[উইকেট]] লাভের দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে [[লেগ বিফোর উইকেট|এলবিডব্লিউতে]] আউট হলে তাঁকে মাঠ ছেড়ে চলে আসতে হয়। ‘লেকারের খেলা’ নামে পরিচিত ঐ টেস্টে ১৯ উইকেট দখল করেছিলেন [[জিম লেকার]]। বলাবাহুল্য, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কাছে তাঁর দল ঐ টেস্টে পরাজিত হয়েছিল।
১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টারের [[ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ড|ওল্ড ট্রাফোর্ডে]] অনুষ্ঠিত স্বাগতিক [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] প্রথিতযশা [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলার]] জিম লেকারের টেস্টে এক [[ইনিংস|ইনিংসের]] সবকটি [[উইকেট]] লাভের দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে [[লেগ বিফোর উইকেট|এলবিডব্লিউতে]] আউট হলে তাকে মাঠ ছেড়ে চলে আসতে হয়। ‘লেকারের খেলা’ নামে পরিচিত ঐ টেস্টে ১৯ উইকেট দখল করেছিলেন [[জিম লেকার]]। বলাবাহুল্য, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কাছে তার দল ঐ টেস্টে পরাজিত হয়েছিল।


== অবসর ==
== অবসর ==
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর ক্রিকেট প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। কিন্তু, [[দি অ্যাশেজ#1950 to 1980|১৯৭৭]] সালের [[অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা|অ্যাশেজ]] সফরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ পরাজিত হয় অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও, তাঁর ব্যবস্থাপকীয় কর্মপন্থা নির্ধারণের ফলে [[বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট|বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে]] দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে তাঁর নিজ দল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/562558.html| শিরোনাম = Len Maddocks counts his blessings| প্রথমাংশ = Brydon | শেষাংশ= Coverdale| লেখক-সংযোগ = Brydon Coverdale| তারিখ=26 April 2012}}</ref>
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর ক্রিকেট প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। কিন্তু, [[দি অ্যাশেজ#1950 to 1980|১৯৭৭]] সালের [[অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা|অ্যাশেজ]] সফরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ পরাজিত হয় অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও, তার ব্যবস্থাপকীয় কর্মপন্থা নির্ধারণের ফলে [[বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট|বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে]] দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে তার নিজ দল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/562558.html| শিরোনাম = Len Maddocks counts his blessings| প্রথমাংশ = Brydon | শেষাংশ= Coverdale| লেখক-সংযোগ = Brydon Coverdale| তারিখ=26 April 2012}}</ref>


রিচার্ড মাডকস নামে তাঁর এক ভাই রয়েছে। তাঁর পুত্র ইয়ান মাডকসও রিচার্ডের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। ২২ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে তৎকালীন উদ্বোধনী বামহাতি ব্যাটসম্যান [[আর্থার মরিস|আর্থার মরিসের]] দেহাবসানের পর তিনিই সর্বাপেক্ষা বয়ষ্ক অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283742.html |শিরোনাম=List of oldest living Test players |প্রকাশক=Stats.espncricinfo.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=22 August 2015}}</ref> পরের মাসে হ্যারল্ড স্ট্যাপলটনের মৃত্যুর পর ও স্বীয় মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত তিনিই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জীবিত ব্যক্তি।<ref>(24 September 2015). [http://www.cricket.com.au/news/harold-stapleton-passes-away-australia-oldest-first-class-cricketer-cricket-nsw/2015-09-24 "Australia's oldest cricketer dies, aged 100"] – cricket.com.au. Retrieved 29 February 2016.</ref>
রিচার্ড মাডকস নামে তার এক ভাই রয়েছে। তার পুত্র ইয়ান মাডকসও রিচার্ডের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। ২২ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে তৎকালীন উদ্বোধনী বামহাতি ব্যাটসম্যান [[আর্থার মরিস|আর্থার মরিসের]] দেহাবসানের পর তিনিই সর্বাপেক্ষা বয়ষ্ক অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283742.html |শিরোনাম=List of oldest living Test players |প্রকাশক=Stats.espncricinfo.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=22 August 2015}}</ref> পরের মাসে হ্যারল্ড স্ট্যাপলটনের মৃত্যুর পর ও স্বীয় মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত তিনিই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জীবিত ব্যক্তি।<ref>(24 September 2015). [http://www.cricket.com.au/news/harold-stapleton-passes-away-australia-oldest-first-class-cricketer-cricket-nsw/2015-09-24 "Australia's oldest cricketer dies, aged 100"] – cricket.com.au. Retrieved 29 February 2016.</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

০৯:০৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

লেন মাডকস
১৯৫৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে লেন মাডকস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলিওনার্ড ভিক্টর মাডকস
জন্ম(১৯২৬-০৫-২৪)২৪ মে ১৯২৬
বিকন্সফিল্ড, মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১ সেপ্টেম্বর ২০১৬(2016-09-01) (বয়স ৯০)
ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামলেন
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
সম্পর্করিচার্ড মাডকস (ভ্রাতা) ও ইয়ান মাডকস (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯৯)
৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৪ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৬ অক্টোবর ১৯৫৬ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১২
রানের সংখ্যা ১৭৭ ৪১০৬
ব্যাটিং গড় ১৭.৭০ ৩২.৮৪
১০০/৫০ ০/১ ৬/২০
সর্বোচ্চ রান ৬৯ ১২২*
বল করেছে ১৮
উইকেট -
বোলিং গড় - ৪.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ১/৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৮/১ ২১০/৬৭
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ আগস্ট ২০১৭

লিওনার্ড ভিক্টর "লেন" মাডকস (ইংরেজি: Len Maddocks; জন্ম: ২৪ মে, ১৯২৬ - মৃত্যু: ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬) ভিক্টোরিয়ার বিকন্সফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] এছাড়াও, ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন লেন মাডকস। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে সাতটি টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া বুশর‌্যাঞ্জার্স[২]তাসমানিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।[৩] দলে তিনি মূলত উইকেট-রক্ষকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

গিল ল্যাংলি’র সাথে গ্লাভস ভাগাভাগি করে নিতেন লেন মাডকস। ল্যাংলি আহত হলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হতেন। কিন্তু, ডন টলন এবং ওয়ালি গ্রাউটের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হতে হতো তাকে। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা গ্লাভসম্যান হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি মাত্র সাতটি টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন।

১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রথিতযশা বোলার জিম লেকারের টেস্টে এক ইনিংসের সবকটি উইকেট লাভের দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে এলবিডব্লিউতে আউট হলে তাকে মাঠ ছেড়ে চলে আসতে হয়। ‘লেকারের খেলা’ নামে পরিচিত ঐ টেস্টে ১৯ উইকেট দখল করেছিলেন জিম লেকার। বলাবাহুল্য, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কাছে তার দল ঐ টেস্টে পরাজিত হয়েছিল।

অবসর

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর ক্রিকেট প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। কিন্তু, ১৯৭৭ সালের অ্যাশেজ সফরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ পরাজিত হয় অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও, তার ব্যবস্থাপকীয় কর্মপন্থা নির্ধারণের ফলে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে তার নিজ দল।[৪]

রিচার্ড মাডকস নামে তার এক ভাই রয়েছে। তার পুত্র ইয়ান মাডকসও রিচার্ডের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। ২২ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে তৎকালীন উদ্বোধনী বামহাতি ব্যাটসম্যান আর্থার মরিসের দেহাবসানের পর তিনিই সর্বাপেক্ষা বয়ষ্ক অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন।[৫] পরের মাসে হ্যারল্ড স্ট্যাপলটনের মৃত্যুর পর ও স্বীয় মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত তিনিই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জীবিত ব্যক্তি।[৬]

তথ্যসূত্র

  1. "Former Australia wicketkeeper Len Maddocks dies at 90"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. CricketArchive Player Oracle, Retrieved 12 August, 2017
  3. "Cricinfo Tasmanian Players, Retrieved 1 May, 2017"। ২৬ মার্চ ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৭ 
  4. Coverdale, Brydon (২৬ এপ্রিল ২০১২)। "Len Maddocks counts his blessings" 
  5. "List of oldest living Test players"। Stats.espncricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৫ 
  6. (24 September 2015). "Australia's oldest cricketer dies, aged 100" – cricket.com.au. Retrieved 29 February 2016.

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ