বালু গুপ্তে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বালু গুপ্তে
১৯৬৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে বালু গুপ্তে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামবালকৃষ্ণ পণ্ঢহরিনাথ গুপ্তে
জন্ম(১৯৩৪-০৮-৩০)৩০ আগস্ট ১৯৩৪
বোম্বে (বর্তমানে মুম্বই), মহারাষ্ট্র, ভারত
মৃত্যু৫ জুলাই ২০০৫(2005-07-05) (বয়স ৭০)
মুম্বই, ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক গুগলি
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কসুভাষ গুপ্তে (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১০০)
১৩ জানুয়ারি ১৯৬১ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট৫ মার্চ ১৯৬৫ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৯৯
রানের সংখ্যা ২৮ ৫৮৭
ব্যাটিং গড় ২৮.০০ ৯.১৭
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ১৭* ৩৫
বল করেছে ৬৭৮ ১০৩৭৯
উইকেট ৪১৭
বোলিং গড় ১১৬.৩৩ ২৪.৮৮
ইনিংসে ৫ উইকেট - ২৬
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/৫৪ ৯/৫৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ২১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বালকৃষ্ণ পণ্ঢহরিনাথ গুপ্তে (উচ্চারণ; মারাঠি: बाळू गुप्ते; জন্ম: ৩০ আগস্ট, ১৯৩৪ - মৃত্যু: ৫ জুলাই, ২০০৫) মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩] ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ সময়কালে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই, বাংলা ও রেলওয়েজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ ব্রেক গুগলি বোলার ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন বালু গুপ্তে

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত বালু গুপ্তের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে বোম্বে, বাংলা ও রেলওয়েজ দলের পক্ষে খেলে আশাতীত সফলতা পেয়েছিলেন। তবে, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ও সতীর্থ লেগ স্পিনার সুভাষ গুপ্তের ক্রীড়াশৈলীর কাছে অনেকাংশেই ম্রিয়মাণ ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত অর্থোডক্স লেগ স্পিনার হলেও জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার ন্যায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফলতা পাননি।

১৯৬২-৬৩ মৌসুমে দিলীপ ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় পশ্চিম অঞ্চলের সদস্যরূপে ৯/৫৫ লাভ করেন। দক্ষিণ অঞ্চলের বিপক্ষে এ বোলিং পরিসংখ্যানটি অদ্যাবধি এ প্রতিযোগিতার সেরা বিবেচিত হয়ে আসছে। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪১৭টি উইকেট পেয়েছেন। রঞ্জী ট্রফিতে তিনি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন। ২৩.৪৭ গড়ে ২৫৫ উইকেট পেয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৩ জানুয়ারি, ১৯৬১ তারিখে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৫ মার্চ, ১৯৬৫ তারিখে কলকাতায় সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। চার বছরের অংশগ্রহণকৃত তিন টেস্টে সবকটিই নিজদেশে খেলেছিলেন।

১৯৬০-৬১ মৌসুমে ফজল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল ভারত সফরে আসে। নরি কন্ট্রাক্টরের অধিনায়কত্বে মাদ্রাজের কর্পোরেশন স্টেডিয়ামে খেলেন। মাদ্রাজ টেস্ট থেকে সুভাষ গুপ্তে বাদ পড়লে এ শূন্যতা পূরণে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, খেলায় তিনি কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। ব্যাটিং উপযোগী পিচে ৩৫ ওভার বোলিং করে ১১৬ রান খরচ করলেও উইকেটবিহীন অবস্থায় মাঠে ছাড়তে হয় তাকে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ পুনরায় জাতীয় দলে আহুত হন। তিন বছর বাদে বিস্ময়করভাবে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। এবারো তিনি ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখেন। পরের মৌসুমে কলকাতায় সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি টেস্ট খেলেন। অংশগ্রহণকৃত তিন টেস্টে তিনি মাত্র তিন উইকেট পেয়েছিলেন।

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৫ জুলাই, ২০০৫ তারিখে ৭০ বছর বয়সে মুম্বইয়ে বালু গুপ্তের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. List of India Test Cricketers
  2. "India – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. "India – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
জেফ নবলেট
পেশাদার
নেলসন ক্রিকেট ক্লাব

১৯৫৭–১৯৫৮
উত্তরসূরী
জনি ওয়ারডল