বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মনোগ্রাম
গঠিত১৯৮৪
ধরনশিল্পী সংগঠন
আইনি অবস্থাবেসরকারি সংগঠন
উদ্দেশ্যচলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করা
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
অবস্থান
সভাপতি
মিশা সওদাগর
সাধারণ সম্পাদক
মনোয়ার হোসেন ডিপজল

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পীদের বিএফডিসি কেন্দ্রিক একটি সংগঠন। এটি চলচ্চিত্র শিল্পীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী ও দাবি পূরণে অবদান রাখে। মিশা সওদাগর সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্র শিল্পীদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষার্থে গঠিত এই সমিতি বা সংগঠন। ভারতীয় উপমহাদেশে এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারত চলচ্চিত্র সমিতির মাধ্যমে। ১৯৩৮ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় চিত্র ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি। এরপর ১৯৩৯ সালে কলকাতায় নিখিল বঙ্গ চলচ্চিত্র সংঘ নামে আরেকটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ বিভাগের পর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গ চলচ্চিত্র সমিতি নামে আরেকটি সংগঠন গঠিত হয়।

এভাবেই পর্যায়ক্রমে ১৯৮৪ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।[৩]

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

সমিতির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের স্বার্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা।[৪]

বর্তমান নির্বাচিত কমিটি[সম্পাদনা]

পদবী নাম
সভাপতি মিশা সওদাগর
সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব
সহ-সভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল
সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল
সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান
সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী
দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর
আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো
সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন
কোষাধ্যক্ষ কমল
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য রত্না কবির
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য রিয়ানা পারভিন পলি
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য চুন্নু
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সুব্রত
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য শাহনূর
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নানা শাহ
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য দিলারা ইয়াসমিন
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য আলীরাজ
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সুচরিতা
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সনি রহমান
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য রোজিনা

সাবেক নেতৃবৃন্দের তালিকা[সম্পাদনা]

সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কার্যকাল
রাজ্জাক আহমেদ শরীফ ১১.০৫.১৯৮৪ হতে ১১.০৮.১৯৮৪ পর্যন্ত
খলিল উল্লাহ খান আহমেদ শরীফ ১১.০৮.১৯৮৪ হতে ০৩.০৭.১৯৮৭ পর্যন্ত
খলিল উল্লাহ খান আহমেদ শরীফ ০৩.০৭.১৯৮৭ হতে ১৮.০৮.১৯৮৯ পর্যন্ত
আহমেদ শরীফ ইলিয়াস কাঞ্চন ১৮.০৮.১৯৮৯ হতে ৩০.০৮.১৯৯১ পর্যন্ত
আহমেদ শরীফ মাহমুদ কলি ৩০.০৮.১৯৯১ হতে ১৯.০৯.১৯৯৩ পর্যন্ত
আলমগীর মাহবুব খান গুই ১৯.০৯.১৯৯৩ হতে ১৩.১০.১৯৯৫ পর্যন্ত
আহমেদ শরীফ মাহমুদ কলি ১৩.১০.১৯৯৫ হতে ১৪.১২.১৯৯৭ পর্যন্ত
মাহমুদ কলি মিজু আহমেদ ১৪.১২.১৯৯৭ হতে ০৯.১২.১৯৯৯ পর্যন্ত
মাহমুদ কলি মিজু আহমেদ ০৯.১২.১৯৯৯ হতে ০৫.০৫.২০০২ পর্যন্ত
আহমেদ শরীফ মনোয়ার হোসেন ডিপজল ০৫.০৫.২০০২ হতে ২২.১২.২০০৪ পর্যন্ত
মিজু আহমেদ মান্না ২২.১২.২০০৪ হতে ১০.১২.২০০৯ পর্যন্ত
মিজু আহমেদ রুবেল ১০.১২.২০০৯ হতে ২৫.০৫.২০১১ পর্যন্ত
শাকিব খান মিশা সওদাগর ২৫.০৫.২০১১ হতে ০৬.০২.২০১৫ পর্যন্ত
শাকিব খান অমিত হাসান ০৬.০২.২০১৫ হতে ২৫.০৫.২০১৭ পর্যন্ত
মিশা সওদাগর জায়েদ খান ২৫.০৫.২০১৭ হতে ২৬.১০.২০১৯ পর্যন্ত
মিশা সওদাগর জায়েদ খান ২৬.১০.২০১৯ হতে ২৫.০১.২০২২ পর্যন্ত
ইলিয়াস কাঞ্চন নিপুণ আক্তার ২৯.০১.২০২২ হতে ১৯.০৪.২০২৪ পর্যন্ত
মিশা সওদাগর মনোয়ার হোসেন ডিপজল ১৯.০৪.২০২৪ - বর্তমান

নির্বাচন বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০১৭[সম্পাদনা]

২০১৭ সালে শিল্পী সমিতি নির্বাচনে ফলাফল গণনার মধ্যরাতে শাকিব খান ভোটকেন্দ্রে গেলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন তিনি। উল্লেখ্য ঐ নির্বাচনে শাকিব খান সমর্থিত ওমর সানি-অমিত হাসান প্যানেলের প্রার্থীরা বেশিরভাগই পরাজিত হয়েছেন।[৫][৬]

২০২২[সম্পাদনা]

২০২২ সালে শিল্পী সমিতি নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার, অপর সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ এর পরিপ্রক্ষিতে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপিল বোর্ডকে বিষটি সুরাহ করতে নির্দেশ প্রধান করে। নির্দেশনা মোতাবেক অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ আপিল বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আকতারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করেন।[৭]

৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ নির্বাচনে ভোটে বিজয়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও আপিল বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক নিপুন আকতারসহ নব নির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জায়েদ খান তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করলে এক সপ্তাহের জন্য তা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি রুল জারি করে হাই কোর্ট নিপুন আকতারের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করে। হাইকোর্টের ওই নির্দেশের কারণে শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপীল বোর্ডের জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং নিপুন আকতারের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত হয়ে যায়।[৮] স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজের আদালতে আবেদন করেন নিপুণ আক্তার সর্বশেষ, সাধারন সাম্পাদক পদটি আদালতে বিচারধীন।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজলের জয়জয়কার"banglanews24.com। ২০২৪-০৪-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২০ 
  2. "হেরে গেলেন নিপুন, মিশা-ডিপজলের জয়জয়কার"www.kalerkantho.com। ২০২৪-০৪-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২০ 
  3. "চলচ্চিত্র সংগঠন"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  4. "চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  5. "মধ্যরাতে শাকিবের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে গণ্ডগোল!"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২২ 
  6. ডটকম, গ্লিটজ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা সওদাগর, জায়েদ খানের জয়"bangla.bdnews24.com। ১০ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২২ 
  7. "শিল্পী সমিতি নির্বাচনের ফলাফলে নাটকীয় মোড়, কী ব্যাখ্যা দিচ্ছে আপিল বোর্ড"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২২ 
  8. "জায়েদ খান বা নিপুন কেউই সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২২ 
  9. Welle (www.dw.com), Deutsche। "সাধারণ সম্পাদক নিপুণ না জায়েদ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে | DW | 14.02.2022"DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২২