ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ

স্থানাঙ্ক: ২৩°০১′ উত্তর ৯১°২৩′ পূর্ব / ২৩.০১° উত্তর ৯১.৩৯° পূর্ব / 23.01; 91.39
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ
অবস্থান
মানচিত্র
পুরাতন বিমানবন্দর সড়ক, ফেনী
তথ্য
নীতিবাক্যNoble Education Decent Life
প্রতিষ্ঠাকালটেমপ্লেট:জন্ম তারিখ ও
ফেনীতে
প্রথম অধ্যক্ষজনাব হাফিজুল হাসান
আয়তন৪৯.৫ একর (২,০০,০০০ মি)
ডাকনামFGCC
Demonymফেনীআন্স
হাউস

ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশের ফেনী জেলায় অবস্থিত একটি গার্লস ক্যাডেট কলেজ এটি বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অধীনে সরকারী অনুদানে পরিচালিত বিশেষ ধরনের স্বায়ত্তশাসিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজটি ছিল মেয়েদের জন্য দেশের একমাত্র ক্যাডেট কলেজ। বাংলাদেশের বাদবাকি নয়টি ক্যাডেট কলেজে ছেলেদের শিক্ষাদান করা হত। নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করার জন্য গার্লস ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়েছিল। ২০০২ সালে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারীদের নিয়োগ দানের ফলে এই প্রয়োজনীয়তা আরো গুরুত্ব লাভ করে।  অবশেষে সরকার ফেনী এবং জয়পুরহাটে দুটি গার্লস ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পুঙ্খানপুঙ্খভাবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর পরিত্যাক্ত একই ইংরেজ বিমান ঘাঁটির (১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত) একটি অংশকে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য বেছে নেয়া হয়। ২০০৪ সালের ২৯ শে জুন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস (এমইএস) প্রকল্পের কাজ আরম্ভ করে। দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ক্যাডেট কলেজের জন্য ছাত্রী (যাদের ক্যাডেট বলা হয়ে থাকে) নির্বাচনের প্রক্রিয়া আরম্ভ হয় এবং সবচেয়ে ভালো ফল অর্জনকারীদের ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়।

ক্যাডেট কলেজের যাত্রার শুরুতে অতি প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা, ফ্যাকাল্টি মেম্বার এবং কর্মচারীদের অন্যান্য ক্যাডেট কলেজ থেকে এখানে নিয়োগ দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। ২০০৬ সালের এপ্রিলে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রথম ব্যাচ যোগদান করে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন ছাত্রী (ক্যাডেট) নিয়ে ২০০৬ সালের ১৫ই এপ্রিল ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ যাত্রা আরম্ভ করে। ২০০৬ সালের ৭ই জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কলেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগন, উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, বিশিষ্টজনেরা, কলেজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং ক্যাডেটরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রয়োজনীয় কয়েকটি স্থাপনা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

অবস্থান[সম্পাদনা]

কলেজ পতাকা
কলেজ প্রঙ্গনে বৃক্ষরোপন করছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া

ফেণী গার্লস ক্যাডেট কলেজ ফেনী শহরের পাশে পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত। ফেনী-ছাগলনাইয়া মহাসড়ক কলেজ ক্যাম্পাসকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। বাংলাদেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি ফেনী ক্যাডেটের ঠিক সামনেই অবস্থিত। সড়কপথে ঢাকা থেকে সাধারণত ৩-৪ ঘণ্টা এবং চট্টগ্রাম থেকে ২-২.৫ ঘণ্টা সময় লাগে।[৩]

কলেজ ভবন সমূহ[সম্পাদনা]

ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্ৰধান গেইট
  • প্রশাসনিক ভবন
  • শিক্ষা ভবন
  • কলেজ ক্যান্টিন
  • কলেজ ডাইনিং হল
  • হাউস ভবন
  • কলেজ হসপিটাল

তিনটি হাউসের নাম :

  • ১। খাদিজা হাউস
  • ২। আয়েশা হাউস
  • ৩। ফাতিমা হাউস

বর্তমান অধ্যক্ষ জনাব মোখলেছুর রহমান বর্তমান উপাধ্যক্ষ জনাব নজরুল ইসলাম

সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম[সম্পাদনা]

সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে বেশ কিছু ক্লাব রয়েছে যার কোন একটিতে একজন ক্যাডেট অংশগ্রহণ করতে বাধ্য।

সাহিত্য ও সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

অন্যান্য[সম্পাদনা]

  • বাগান ইত্যাদি।

ভর্তির নিয়মাবলী[সম্পাদনা]

আবেদন[সম্পাদনা]

অন্যান্য ক্যাডেট কলেজগুলোর মতই বছরে মাত্র একবার এবং শুধুমাত্র সপ্তম শ্রেণীতে ছাত্রী ভর্তি করা হয়। সাধারণত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধাণ প্রধাণ সংবাদপত্রগুলোতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্ধারিত ফর্মে আবেদন পত্র আহবান করা হয়।

যোগ্যতা[সম্পাদনা]

  • ভর্তির বছরের পহেলা জানুয়ারীতে বয়স এগার থেকে সাড়ে বারো বছরের মাঝে হতে হবে।
  • প্রার্থীকে ষষ্ঠ শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে এমন।
  • জন্মসূত্রে অথবা অধিবাসন আইনে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন।
  • উচ্চতা ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি হতে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চির মধ্যে হতে হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

ত্রুটিহীন আবেদন পত্র সম্পন্ন প্রার্থীগণকে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক এবং সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক চারটি লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয়। উত্তীর্ণ নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকে মৌখিক ও ডাক্তারী পরীক্ষায় ডাকা হয়। সমস্ত পরীক্ষায় উপযুক্ত বিবেচিতদের মধ্য থেকে সাধারণত প্রথম পঞ্চাশ জন চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BanglaNews24.com। "ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে পুনর্মিলনী"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-৩০ 
  2. Starline, The Daily। "ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার"The Daily Starline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-৩০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Map

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]