প্রবেশদ্বার:যুক্তরাজ্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

যুক্তরাজ্য প্রবেশদ্বারসম্পাদনা
Flag of the United Kingdom
Flag of the United Kingdom
Coat of Arms for the United Kingdom
Coat of Arms for the United Kingdom
Map of the United Kingdom in the British Isles.

যুক্তরাজ্য হল ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের সন্নিকটে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রটির সরকারি নাম হল গ্রেইট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের যুক্তরাজ্য। রাষ্ট্রটি চারটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র: ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েল্‌স্‌ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত।

যুক্তরাজ্য অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলোকে একত্রে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত করা হয়। এদের মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বীপটির নাম বৃহৎ ব্রিটেন বা গ্রেট ব্রিটেন। গ্রেট ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল ভাগটির নাম ইংল্যান্ড, যা দ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশ গঠন করেছে। পশ্চিম অংশে আছে ওয়েলস এবং উত্তরে স্কটল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড দ্বীপের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে উত্তর আয়ারল্যান্ড অবস্থিত। আয়ারল্যান্ড দ্বীপ ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের ২য় বৃহত্তম দ্বীপ। এই দ্বীপের সিংহভাগ জুড়ে অবস্থিত আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের সাথে যুক্তরাজ্যের একমাত্র স্থল সীমান্ত রয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাকী অংশকে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর সাগর, ইংলিশ চ্যানেল এবং আইরিশ সাগর ঘিরে রেখেছে। গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটি চ্যানেল টানেলের মাধ্যমে ফ্রান্সের সাথে যুক্ত। এছাড়াও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকালীন সময়ে হস্তগত ১৪টি বহিঃস্থ এলাকা এখনও যুক্তরাজ্যের অধীনে রয়েছে।

ব্রিটেন একটি সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্রতৃতীয় চার্লস রাষ্ট্রপ্রধান। এখানে একটি সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা বিদ্যমান। লন্ডন শহর যুক্তরাজ্যের রাজধানী; এটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। সমগ্র যুক্তরাজ্যকে ব্রিটেন নামেও ডাকা হয়। তবে গ্রেট ব্রিটেন নামটি আর সমগ্র দেশটিকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয় না; এটি কেবল গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। ইংল্যান্ড দিয়েও সমগ্র যুক্তরাজ্যকে বোঝানো হয় না। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের অধিবাসীরা সবাই ব্রিটিশ। আবার ইংল্যান্ডের অধিবাসীরা ইংরেজ, ওয়েলসের অধিবাসীরা ওয়েলশ,আয়ারল্যান্ডের অধিবাসীরা আইরিশ এবং স্কটল্যান্ডের অধিবাসীরা স্কটিশ হিসেবে পরিচিত।

দুইটি বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি এবং বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাজ্যের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ক্ষুণ্ণ হয়। তা সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে যুক্তরাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকারী দেশ। যুক্তরাজ্য একটি উন্নত দেশ; এর অর্থনীতি বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম। দেশটির নিউক্লীয় অস্ত্রক্ষমতা রয়েছে; প্রতিরক্ষা খাতে এর ব্যয় বিশ্বে ৩য় সর্বোচ্চ। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং জি-৮, ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কমনওয়েলথ অব নেশন্সে‌র সদস্য।

নতুন নির্বাচিত বিষয়বস্তু দেখান
নির্বাচিত নিবন্ধসম্পাদনা
The title page of the 1859 edition of On the Origin of Species

অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস হল ১৮৫৯ সালের ২৪শে নভেম্বর লন্ডন থেকে প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ যার লেখক চার্লস ডারউইন। বইটির পুরো নাম On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life যার বাংলা করলে দাঁড়ায় "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবন সংগ্রামে আনুকূল্য প্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে"। ১৮৭২ সালের ষষ্ঠ সংস্করণে বড় শিরোনামটি পরিবর্তন করে কেবল "দি অরিজিন অব স্পিসিস" রাখা হয়েছিল। বইটির মাধ্যমে ডারউইন বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের সাথে "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন" তত্ত্বের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এতে একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে সকল প্রজাতির উদ্ভবের পক্ষে প্রচুর প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। ডারউইন ১৮৩০-এর দশকে বিগ্‌ল জাহাজে করে বিশ্ব ভ্রমণের মাধ্যমে অর্জিত সকল অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন জীব প্রজাতির নমুনা এবং পরবর্তী গবেষণা, অন্যদের সাথে যোগাযোগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল ফলাফল এই বইয়ে একত্র করেন।

বইটি বিজ্ঞান, দর্শন ও সাধারণভাবে জীবকূলের উৎপত্তির ইতিহাস বিষয়ে পূর্বতন সকল চিন্তাধারাকে পিছনে ফেলে নতুন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার গোড়াপত্তন করলেও, লক্ষ্যণীয় যে বইটির লেখক এতে প্রচণ্ড বিনয় ও সদালাপের পরিচয় দিয়েছেন। কারণ ডারউইন নিজে অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি মানুষের উপর কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভার চাপিয়ে না দিয়ে তাদেরকে খুব সাধারণ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। (বাকি অংশ পড়ুন...)

নির্বাচিত জীবনীসম্পাদনা

দ্বিতীয় এলিজাবেথ (২১শ এপ্রিল, ১৯২৬) হচ্ছেন বিশ্বের ১৬টি সার্বভৌম রাষ্ট্র, অর্থাৎ কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহের বর্তমান রাণী ও রাষ্ট্র প্রধান। কমনওয়েলথ রাষ্টসমূহ হচ্ছে: যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, নিউজিল্যান্ড, জামাইকা, বারবাডোস, বাহামাস, গ্রেনাডা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টুভালু, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন, বেলিজ, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা এবং সেন্ট কিট্‌স ও নেভিসকমনওয়েলথ প্রধান ছাড়াও তিনি ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট কমনওয়েলথ অফ নেশনসেরও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্যের শাসনকর্তা এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ডেরও প্রধান। (বাকি অংশ পড়ুন...)

আপনি জানেন কিসম্পাদনা

"প্রবেশদ্বার:যুক্তরাজ্য/আজাকি/৭" নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই।

উপ-প্রবেশদ্বারসম্পাদনা
সম্পর্কিত প্রবেশদ্বারসম্পাদনা
আপনি যা করতে পারেনসম্পাদনা
সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহে প্রবেশদ্বার যুক্ত করতে পারেন।
নির্বাচিত চিত্রসম্পাদনা
ছবি কৃতজ্ঞতা: দিলিফ

লিডেনহল মার্কেট লন্ডন শহরের গ্রেসচার্চ স্ট্রিটে অবস্থিত চারপাশ থেকে আবৃত বাজার। এটি ১৪শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন চলচ্চিত্রে লন্ডনের নিকটবর্তী লিকি কল্ড্রন ও ডায়াগন অ্যালি দেখাতে এই স্থান ব্যবহৃত হয়েছিল।

বিষয়শ্রেণীসম্পাদনা

উইকিপ্রকল্পসম্পাদনা
অন্যান্য যুক্তরাজ্য সম্পর্কিত উইকিপিডিয়াসম্পাদনা
উইকিমিডিয়াসম্পাদনা


উইকিসংবাদে যুক্তরাজ্য
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে যুক্তরাজ্য
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে যুক্তরাজ্য
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে যুক্তরাজ্য
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্তরাজ্য
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে যুক্তরাজ্য
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে যুক্তরাজ্য
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে যুক্তরাজ্য
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে যুক্তরাজ্য
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন