প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এখানে ফুটবল প্রবেশদ্বারের নির্বাচিত ফুটবলার বিভাগে স্থান পাওয়া নিবন্ধগুলো উল্লেখ করা হয়েছে:

টেমপ্লেট[সম্পাদনা]

নোট অ-স্ক্রলিং প্যানোরামার জন্য ব্যবহার করুন ডিফল্ট "size=" (size=150px)। ব্যাপক আকারগুলো একটি অনুভূমিক স্ক্রল বার অন্তর্ভুক্ত করবে।

{{প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/বিন্যাস
  | image = 
  | size = 
  | caption = 
  | text = 
  | link = 
}}<noinclude>
[[বিষয়শ্রেণী:ফুটবল প্রবেশদ্বার]]
</noinclude>

নির্বাচিত ফুটবলারের তালিকা[সম্পাদনা]

প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/১

লিওনেল মেসি

লিওনেল আন্দ্রেস “লিও” মেসি কুচ্চিত্তিনি (জন্ম: ২৪ জুন ১৯৮৭) একজন আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় যিনি স্পেনের সর্বোচ্চ স্তরের পেশাদার ফুটবল লীগ প্রতিযোগিতা লা লিগা তে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এবং বার্সেলোনার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক ধারাভাষ্যকার, ফুটবল বিশেষজ্ঞ, কোচ এবং খেলোয়াড় মেসিকে বর্তমান সময়ের ও সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করে থাকেন। লিওনেল মেসি রেকর্ড সংখ্যক, অর্থাৎ ছয়বার ব্যালন ডি অর জয় করেছেন, যার মধ্যে চারটি জিতেছেন টানা চার বছরে। পাশাপাশি তিনি রেকর্ড ছয়বার ইউরোপীয় সোনালী জুতো-ও জয়লাভ করেছেন।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/২

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো দস সান্তুস আভেইরা (জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫) একজন পর্তুগিজ ফুটবলার যিনি জুভেন্টাস এবং পর্তুগাল জাতীয় দলে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলে থাকেন। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে রোনালদোকে বর্তমান সময়ের অন্যতম ফুটবলার হিসাবে গণ্য করে থাকেন। ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে £৮০ মিলিয়ন(€৯৪ মিলিয়ন/$১৩১.৬ মিলিয়ন) এর বিনিময়ে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে তাদের দলে নিয়ে আসে যার ফলে রোনালদো সেইসময় ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়ের সম্মান পান। রোনালদো এডরিনহার হয়ে তার যুব ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ন্যাশিওনালে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেখানে তিনি ২ বছর খেলেন। ১৯৯৭ সালে রোনালদো পর্তুগীজ ক্লাব স্পোর্টিং সিপিতে আসেন।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/৩

পেলে

পেলে ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়। তার পূর্ণ নাম এদসোঁ আরাঁচ দু নাসিমেঁতুব্রাজিলের হয়ে তিনি ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি ব্রাজিলের জাতীয় দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও তিনবার বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলার। পেলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে সর্বজনীন ভাবে স্বীকৃত। পেলে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই মারাকানায়, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ২-১ ব্যবধানে হারা সেই ম্যাচে ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম গোল করে পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার স্থান দখল করেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে পেলে তার প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেন। ১৯৫৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের সেই ম্যাচটা ছিল প্রতিযোগিতার তৃতীয় খেলা।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/৪

দিয়েগো মারাদোনা

দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা (জন্ম ৩০ অক্টোবর ১৯৬০) একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবল কোচ সেইসাথে একজন ম্যানেজার এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়। অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, প্রাক্তন ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গন্য করেন। তিনি ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ে পেলের সাথে যৌথভাবে ছিলেন। মারাদোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফি এর ক্ষেত্র বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো। নিজের পেশাদার ক্যারিয়ারে মারাদোনা আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন। ক্লাব পর্যায়ে তিনি তার নাপোলিতে খেলার জন্য বিখ্যাত।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/৫

রোমারিও

রোমারিও ডি ফারিয়া সুজা (জন্ম ২৯ জানুয়ারী,১৯৬৬) বিশ্ব ফুটবল মঞ্চে সবচেয়ে পরিচিত খেলোয়াড়দের একজন। তার অসাধারণ নৈপুণ্য ব্রাজিলকে ১৯৯৪ সালে চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্রাজিল জাতীয় দল ছাড়াও ক্লাব ফুটবলে রোমারিও সর্বকালের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গোলদাতাদের একজন। ১৯৯৪ সালে ফিফা তাকে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত করে। একই বছর তিনি গোল্ডেন বল বিজয়ীর সম্মান অর্জন করেন। এছাড়াও ফিফার শততম বর্ষপূর্তিতে ঘোষিত সেরা ১২৫ বেঁচে থাকা ফুটবলার-এর তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। নিজের দাবী অনুযায়ী পেশাদারী জীবনে তিনি ১০০০-এর বেশি গোল করেছেন, যদিও প্রকৃত পরিসংখ্যানে অনেকে এই সংখ্যাটি ৯০০-এর অধিক বলে মনে করেন। গোলসংখ্যার হিসেবে পেলের পরেই তার অবস্থান।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/৬

গের্ড ম্যুলার

গেরহার্ড গের্ড ম্যুলার (জন্ম নভেম্বর ৩, ১৯৪৫) একজন প্রাক্তন পশ্চিম জার্মান ফুটবলার। তিনি ৬২ আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে ৬৮ গোলের জাতীয় রেকর্ডসহ ৭৪টি ইউরোপিয়ান ক্লাব খেলায় ৬৬ গোল, ৪২৭ বুন্দেসলিগা খেলায় ৩৬৫ গোলের আন্তর্জাতিক রেকর্ডের অধিকারী। তিনি ছিলেন তার সময়ের অন্যতম সেরা ও সফল স্ট্রাইকার। তিনি ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৪২৭ ম্যাচে ৩৬৫টি গোল করেন। ১৯৭২ সালে ম্যুলার এক মৌসুমে ৮৫টি গোল করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এ বিশ্বরেকর্ডটি দীর্ঘ ৪০ বছর অক্ষত ছিল। কিন্তু বার্সেলোনাআর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ২০১২ সালে তা ভেঙ্গে দেন। পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত ৬২ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৬৮। তিনি ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ১০টি গোল করেছিলেন।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/৭

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (জন্ম ৩ অক্টোবর ১৯৮১) হলেন একজন সুইডিশ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় যিনি স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন লীগ ১ ক্লাব পারি সাঁ-জের্‌মাঁর হয়ে এবং সুইডেনের হয়ে যেই দলের তিনি হলেন দলনেতা। ইভ্রাহিমোভিচ তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৯০ সালের পরবর্তী সময়ে মালমো এফ এফ ক্লাবের হয়ে রোনাল্ড অ্যান্ডারসনের তত্ত্বাবধানে। আয়াক্স তাকে সই করায় এবং রোনাল্ড কোইম্যানের তত্ত্বাবধানে তার অনেক খ্যাতি হয়। পরে তিনি জুভেন্টাসে সই করেন ১৬ মিলিয়ন ইউরোর বদলে। ইভ্রাহিমোভিচ খ্যাতি অর্জন করেন সিরি এ তে খেলে, দাভিদ ত্রেজেগের সাথে তার স্ট্রাইক পার্টনারশিপের মাধ্যমে। ২০০৬ সালে তিনি ইন্টার মিলানে সই করেন খেলবার জন্য এবং সেখানে থাকতে থাকতেই তিনি অর্জন করেছেন অনেক খেতাব। তার খেলার ধরনকে বিখ্যাত ডাচ প্লেয়ার মার্কো ফন বাস্তেনের সাথে তুলনা করা হয়।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/৮

আলফ্রেদো দি স্তেফানো

আলফ্রেদো দি স্তেফানো (৪ জুলাই ১৯২৬ - ৭ জুলাই ২০১৪) একজন প্রাক্তন আর্জেন্টিনীয়-স্পেনীয় ফুটবলার এবং কোচ। তাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার গণ্য করা হয়। তবে আর্জেন্টাইন হলেও তার মূল পরিচিতি স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হিসেবে। ডি স্টিফানো সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতেন। ১৯৪৩ আর্জেন্টিনার রিভারপ্লেট ক্লাবে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তী এক দশক তিনি আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন। ১৯৫৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর ফেরেঙ্ক পুসকাসের সাথে তার ফরোয়ার্ড লাইনে অনবদ্য জুটি গড়ে উঠে, যা ক্লাবটিকে অনেক সাফল্য এনে দেয়। ১৯৬৪ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে তিনি ২৮২টি ম্যাচ খেলে ২১৯টি গোল করেন, যা ক্লাবটির ইতিহাসে তাকে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত করে।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/৯

কার্লোস আলবার্তো তোরেস

কার্লোস আলবার্তো ‘কাপিতা’ তোরেস (জন্ম: ১৭ জুলাই, ১৯৪৪ - মৃত্যু: ২৫ অক্টোবর, ২০১৬) প্রথিতযশা ব্রাজিলীয় ফুটবলার। তাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রূপে বৈশ্বিকভাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করেন। চূড়ান্ত খেলায় দলের চতুর্থ গোলটি করেছিলেন কার্লোস আলবার্তো তোরেস যা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কার্লোস আলবার্তো ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাজিলের রিও দি জেনেরিওতে জন্মগ্রহণ করেন। তার সন্তান কার্লোস আলেজান্দ্রে তোরেসও ফুটবলার হিসেবে খেলছেন। ১৯ বছর বয়সে ফ্লুমেনিজে যোগদান করেন। প্রথম মৌসুমেই নিজের সহজাত ক্রীড়াপ্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরেন। ১৯৬৬ সালে সান্তোসে চলে যান।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত ফুটবলার/১০

রিভালদো

রিভালদো ভিতর বোরবা ফেরেইরা (জন্ম ১৯ এপ্রিল ১৯৭২), রিভালদো নামে পরিচিত (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ʁiˈvawdu]), সাবেক ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার। তিনি প্রধানত একজন আক্রমণকারী মধ্যমাঠের খেলোয়াড় কিন্তু দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলতেন। যদিও তিনি প্রধানত বাম পায়ে খেলতেন তবে অন্য পায়েও খেলার ক্ষমতা ছিল এবং প্রয়োজনে পার্শ্বীয় মধ্যমাঠ (ইংরেজিতে ওয়াইড মিডফিল্ডার) বা উইঙ্গার হিসেবেও খেলতেন। তিনি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় পাঁচ বছর খেলেন, সেখানে তিনি প্যাট্রিক ক্লুইভার্টের সাথে সফল জুটি গড়ে তুলেন এবং ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে স্প্যানিশ লা লিগা চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৯৯৮ কোপা দেল রে জয় করেন। বার্সেলোনার হয়ে ১৩০ গোল করে তিনি ক্লাবের নবম সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন দখল করে আছেন।