প্রথমাষ্টমী
প্রথমাষ্টমী | |
---|---|
অন্য নাম | ভৈরব অষ্টমী, সৌভাগিনী অষ্টমী, পাপ-নাশিনী অষ্টমী,পুড়া পরব, |
তাৎপর্য | পরিবারের প্রথম সন্তানের জন্য উৎসব |
পালন | পূজা, আচার, এন্ডুরি পিঠা |
তারিখ | মার্গশিরা কৃষ্ণ অষ্টমী, ৮ম মার্গশিরা ওড়িয়া ক্যালেন্ডার] |
সংঘটন | বার্ষিক |
প্রথমাষ্টমী বা প্রৌঢ়াষ্টমী হলো মূলত ওড়িশায় অনুষ্ঠিত একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠান যা একটি পরিবারের বড় বা প্রথম সন্তানের জীবন ও সমৃদ্ধির জন্য করা হয়। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী উৎকল ব্রাহ্মণ পরিবারের মধ্যেও এই অনুষ্ঠান দেখা যায়। এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর পরিবারের প্রথম সন্তানকে(পুত্র,কন্যা) নতুন জামাকাপড় পরিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রবীণ নারী আত্মীয়রা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এবং সেই সময় মন্ত্র পাঠ করা হয়। উদযাপনটি ওড়িয়া পঞ্জিকা অনুসারে মার্গশিরা মাসের অষ্টমী - চাঁদের অস্তমিত পর্বের অষ্টম দিনে পড়ে, কার্তিক পূর্ণিমার পরে অষ্টম দিনে ঘটে। অর্থাৎ রাস উৎসবের ঠিক পরে কৃষ্ণা অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় এই পারিবারিক সামাজিক লৌকিক উৎসবটি।[১]
আচারের মধ্যে মা এবং আত্মীয়দের দ্বারা জ্যেষ্ঠ সন্তানের আরতি জড়িত যেখানে মামা আচারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠান যেমন নতুন জামাকাপড়, নারকেল, গুড়, সদ্য কাটা ধান, কালো ছোলা, হলুদ পাতা, নারকেল ইত্যাদি। গণেশ, ষষ্ঠী দেবী এবং পারিবারিক দেবতার পূজা করা হয়। দিনের প্রধান উপাদেয় থাকে এন্দুরি পিঠা।[২] এই দিনটি সৌভাগিনী অষ্টমী, কাল ভৈরব অষ্টমী এবং পাপ-নাশিনী অষ্টমী নামেও পরিচিত।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ কৃষ্টি কিরণ: সম্পাদক- তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী,পঞ্চদশ সংখ্যা, ২০২৩ পৃঃ ১৭
- ↑ (ଏଣ୍ଡୁରି ପିଠା)Orissa profile ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে orissadiary.com
- ↑ J Mohapatra (ডিসেম্বর ২০১৩)। Wellness In Indian Festivals & Rituals। Partridge Pub। পৃষ্ঠা 166–167। আইএসবিএন 978-1-4828-1690-7।