পৃথিবীর আকার
ভূগণিত |
---|
মূল বিষয়বস্তু |
ধারণা |
প্রযুক্তি |
ভূগণিত অনুসারে পৃথিবীর আকার শব্দযুগলের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে এবং এই শব্দযুগল দিয়ে পৃথিবীর আয়তন এবং আকৃতিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যদিও গোলক পৃথিবীর সত্যিকার চিত্রের কাছাকাছি অনুমান করা এবং আরও কিছু উদ্দেশ্যসাধনের সন্তোষজনক, ভূগণিতবিদগণ অনেকগুলো মডেল তৈরি করেছেন যা আরও সূক্ষ্মভাবে পৃথিবীর আকৃতির আনুমান করতে সাহায্য করে। এই মডেলগুলোর সমন্বিত পদ্ধতিসমূহ ন্যাভিগেশন, জরিপ, ক্যাডাস্ট্রার, ভূমির ব্যবহার, এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়াদির সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনের ধারণা প্রদান করে।
পৃথিবীর আকারের মডেলের প্রয়োজনীয়তা
[সম্পাদনা]বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, ভূবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার ফলে পৃথিবীর আকারের নির্ভুলতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে। এই নির্ভুল উন্নতির প্রাথমিক কার্যকারিতা (তহবিলের জন্য প্রেরণা, বিশেষ করে সামরিক বাহিনী থেকে) ছিল বেলেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নিষ্ক্রিয় নির্দেশিকা পদ্ধতির জন্য ভৌগোলিক এবং মহাকর্ষীয় তথ্য সরবরাহ করা। এই তহবিলটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূবৈজ্ঞানিক শাখার সম্প্রসারণ এবং ভূবিজ্ঞান বিভাগের সৃষ্টি ও বৃদ্ধির অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখে।[১]
পৃথিবীর আকারের মডেল
[সম্পাদনা]গোল
[সম্পাদনা]সমগ্র পৃথিবীর আকারের সহজতম মডেল হল একটি গোলক। পৃথিবীর ব্যাসার্ধ হল পৃথিবীর মধ্যভাগ থেকে এর পৃষ্ঠের দূরত্ব, যা প্রায় ৬,৩৭১ কিলোমিটার (৩,৯৫৯ মাইল)। ব্যাসার্ধ হল পূর্ণাঙ্গ গোলকের সাধারণ বৈশিষ্ট। একটি গোলক থেকে পৃথিবীর পার্থক্য মাত্র এক শতাংশের এক তৃতীয়াংশ, ফলে একে "পৃথিবীর ব্যাসার্ধ" বলা যেতে পারে।
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে প্রথম গোলাকার পৃথিবীর ধারণা দেওয়া হয়,[২] কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী তা কাল্পনিক বিষয় রয়ে যায়। খ্রিস্টপূর্ব ২৪০ অব্দে এরাটোস্থেনিস পৃথিবীর ব্যসার্ধ বিষয়ক প্রথম বৈজ্ঞানিক ধারণা প্রদান করেন, এবং এরাটোস্থেনিসের গণনায় নির্ভুলতার ব্যবধান ছিল ২% থেকে ১৫%।
আয়তন
[সম্পাদনা]পৃথিবীর আয়তন আনুমানিক ১,০৮৩,২১০,০০০,০০০ কিমি৩ (২.৫৯৮৮ × ১০১১ কিউবিক মাইল)।[৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Cloud, John (২০০০)। "Crossing the Olentangy River: The Figure of the Earth and the Military-Industrial-Academic Complex, 1947–1972"। Studies in the History and Philosophy of Modern Physics (ইংরেজি ভাষায়)। 31 (3): 371–404। ডিওআই:10.1016/S1355-2198(00)00017-4। বিবকোড:2000SHPMP..31..371C।
- ↑ Dicks, D.R. (১৯৭০)। Early Greek Astronomy to Aristotle (ইংরেজি ভাষায়)। Ithaca, N.Y.: Cornell University Press। পৃষ্ঠা 72–198। আইএসবিএন 978-0-8014-0561-7।
- ↑ Williams, David R. (২০০৪-০৯-০১)। "Earth Fact Sheet" (ইংরেজি ভাষায়)। নাসা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।