পাকিস্তানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাকিস্তানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী
মোট জনসংখ্যা
আনু. 400,000[১][২]
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
করাচি
ভাষা
রোহিঙ্গা ভাষা · বর্মী · চাটগাঁইয়া · উর্দু · ইংরেজি ভাষা এবং মায়ানমারের অন্যান্য ভাষা।
ধর্ম
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
Burmese diaspora

পাকিস্তানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী (উর্দু: پاکستانی برمی‎‎) পাকিস্তানের সিন্ধু, করাচিতে অবস্থিত একটি সম্প্রদায়। এরা হল, রোহিঙ্গা মুসলিম (উর্দু: روہنگیا مسلمان‎‎) ও মায়ানমারের (আরাকান, বার্মা নামেও পরিচিত) রাখাইন রাজ্যের আদিবাসী গোষ্ঠী, যারা বার্মিজ সরকার এবং বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা মুসলমানদের উপর নিপীড়নের কারণে দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছে।[৩] বিভিন্ন পাকিস্তানি সরকারী সূত্র এবং আরাকান ঐতিহাসিক সোসাইটির মতে, পাকিস্তানে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছেন।[১][২][৪] এরা সকলেই বাংলাদেশভারত পেড়িয়ে বিপদজনক ভ্রমণ শেষে করাচিতে স্থায়ী। মানব পাচার সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে করাচির অনিবন্ধিত অভিবাসীদের চৌদ্দ শতাংশ বার্মিজ মানুষ।[৫] করাচিতে বড় আকারের রোহিঙ্গা অভিবাসন বাংলাদেশের পরে করাচিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রস্থল করে তুলেছে।[৬] সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, কর্মসংস্থান খুঁজতে বেশ কয়েকজন বার্মিজ এদেশে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন সংস্থা এই মহিলাদের সংখ্যার প্রতিবেদন অনুসারে অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছে।[৭]

করাচিতে রোহিঙ্গা ও বাঙালি[সম্পাদনা]

কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, করাচিতে ১ মিলিয়ন বাঙালি এবং ৪,০০,০০০ রোহিঙ্গা বাস করছেন।[৮] এমন অনেক বার্মিজ আবাসন কলোনি পুরো করাচি জুড়ে পাওয়া যায়। ঐতিহ্যগতভাবে, বাঙালিদের সাথে রোহিঙ্গা মানুষের সাংস্কৃতিক মিল বাঙালি সম্প্রদায়ের সাথে করাচিতে বার্মিজের আরও সহজ যোগাযোগ এবং মিথস্ক্রিয়াকে সক্ষম করেছে। তাদের স্থানীয় রোহিঙ্গা ভাষার পাশাপাশি বিশেষত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের সাথে মিল রয়েছে, যারা কিছুটা স্পষ্টতই চাঁটগাঁইয়া ভাষাতে কথা বলে। পাকিস্তানে রোহিঙ্গা বার্মিজের সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হ্রাস পাচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Mahmud, Arshad; Owais Tohid (২৯ নভেম্বর ১৯৯৫)। "Homeless in Karachi"Outlook India। ১২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. Sajjad, Tazreena (১৭ জুলাই ২০০৩)। "SRI On-Site Action Alert: Rohingya Refugees of Burma and UNHCR's repatriation program"। burmalibrary.org। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. Flood, Derek Henry (১২ মে ২০০৮)। "From South to South: Refugees as Migrants: The Rohingya in Pakistan"The Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. "Five million illegal immigrants residing in Pakistan"tribune.com.pk। ১৬ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  5. Hughes, Donna M.; Laura Joy Sporcic (১৯৯৯)। "Factbook on Global Sexual Exploitation: Pakistan: Trafficking"। University of Rhode Island, Coalition Against Trafficking in Women। ২৩ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. Rehman, Zia Ur (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Identity issue haunts Karachi's Rohingya population"Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬Their large-scale migration had made Karachi one of the largest Rohingya population centres outside Myanmar but afterwards the situation started turning against them. 
  7. Latif, Aamir (২৪ জুন ২০০৭)। "Immigrant Dream Shattered in Karachi"। Islam Online। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  8. Rehman, Zia Ur (৯ আগস্ট ২০১৫)। "Bengali and Rohingya leaders gearing up for LG polls"thenews.com.pk। Karachi। ১৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  9. Saleem, Samia (৭ জুলাই ২০১১)। "You wouldn't want to pick a fight with 'Grand Master' Ashraf Tai's family"Tribune.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬