পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১১
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪টি আসন (২৯৫টি আসনের মধ্যে) সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৪৮টি আসন | ||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ||||||||||||||||||||||||||||
|
২০১১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার ২৯৪টি আসনে (মোট ২৯৫টি আসনের মধ্যে) বিধানসভা নির্বাচন আয়োজিত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি প্রথমবার এই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা জয় করে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতো ২০১১-র নির্বাচনও ছয় দফায় আয়োজিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটায়।
প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটায়। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল শ্লোগান ছিল ‘পরিবর্তন’। এই পরিবর্তনের অর্থ ছিল রাজ্যের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের পরিবর্তন।তৃণমূল কংগ্রেসর আগামী পাঁচ বছরের শাসনে প্রধানত রাজ্যের নগরাঞ্চলের অধিবাসীদের অনেকে সরকারের আনীত পরিবর্তনগুলি নিয়ে কিছু অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।[১] তাছাড়া কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শুধু সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ভোট একত্রিত করতে চাইছেন।[২]
ধর্মীয় পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]
পশ্চিমবঙ্গের ধর্মবিশ্বাস (২০১১)[৩]
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, হিন্দুধর্ম পশ্চিমবঙ্গের প্রধান ধর্মমত। এই রাজ্যের জনসংখ্যার ৭০.৫৪% হিন্দু।[৪][৫] ইসলাম পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় তথা বৃহত্তম সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী। রাজ্যের জনসংখ্যার ২৭.০১% মুসলমান।[৬] রাজ্যের অবশিষ্ট জনসংখ্যা প্রধানত শিখধর্ম, খ্রিস্টধর্ম ও বৌদ্ধধর্মের অনুগামী।[৭] পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকে হিমালয় পর্বতমালার অন্তর্গত দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে বৌদ্ধধর্ম অন্যতম প্রধান ধর্মমত। রাজ্যের প্রায় সম্পূর্ণ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী এই অঞ্চলের বাসিন্দা।
প্রধান ইস্যু[সম্পাদনা]
নির্বাচনসূচি[সম্পাদনা]
পশ্চিমবঙ্গের এই বিধানসভা নির্বাচনটি ১৮ই এপ্রিল থেকে ১০ই মে-র মধ্যে ছয় দফায় আয়োজিত হয়।[৮][৯]
প্রার্থী[সম্পাদনা]
১৮ই মার্চ, ২০১১ তারিখে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সমগ্র প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে।[১০] ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল ও সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক নিয়ে গঠিত বামফ্রন্টও নিজস্ব প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে৷ তৃণমূলের ২২৮টি সিটের পার্থী বাদে বাকি অন্যান্য ৬৫টি সিটের প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় শাসক দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও ভারতবর্ষের একমাত্র বিপ্লবী কমিউনিস্ট[১১] পার্টি সোশালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (কমিউনিস্ট) তাদের পার্থী তালিকা প্রকাশ করে।
অংশগ্রহণকারী দল ও জোট[সম্পাদনা]
সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ।।)[সম্পাদনা]
- সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)
- ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি)
- জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)
- গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএফ)
- সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (কমিউনিস্ট)(এসইউসিআই(সি))[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ জোট[সম্পাদনা]

- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআই (এম))
- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)
- বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল (আরএসপি)
- সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক (ফব)
- ভারতের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (আরসিপিআই)
- মার্ক্সবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক (মাফব)
- সমাজবাদী পার্টি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] (এসপি)
- ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট পার্টি (প্রবোধ চন্দ্র) (ডিএসপি (পিসি))
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুর নির্বাচনে জয়লাভ করেন ও অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ির মহানাগরিক হন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)[সম্পাদনা]
- ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)
- গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিজেএম)
ফল[সম্পাদনা]
২০১১ সালের ১৩ই মে ভারতের অন্য চারটি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ফল ঘোষিত হয়।[১২][১৩]
জোটভিত্তিক ফল[সম্পাদনা]
LF+ | SEATS | UPA+ | SEATS | NDA+ | SEATS | OTHERS | SEATS | |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
CPIM | 40-2 (by-polls) | AITC | 184+6 (by-polls) | BJP | 0+1 (by-polls) | IND | 0 | |
AIFB | 11-1 (by-polls) | INC | 42-3 (by-polls) | GJM | 3 | |||
RSP | 7-1 (by-polls) | SUCI(C) | 1 | |||||
CPI | 2 | GNLF | 0 | |||||
SP | 1 | NCP | 0 | |||||
DSP(PC) | 1 | JMM | 0 | |||||
MFB | 0 | PDS | 0 | |||||
RCPI | 0 | JKP(N) | 0 | |||||
RJD | 0 | |||||||
TOTAL (2011) | 62 | TOTAL (2011) | 227 | TOTAL (2011) | 3 | TOTAL (2011) | 0 | |
TOTAL (2006) | 233 | TOTAL (2006) | 24 | TOTAL (2006) | 31 | TOTAL (2006) | 6 |
দলভিত্তিক ফল[সম্পাদনা]
Party
Seats contested
Seats won
Seat change
Vote share
Swing
Trinamool Congress
184
154
Indian National Congress
65[template reference ১]
42
21
Communist Party of India (Marxist)
40
136
All India Forward Bloc
11
12
Revolutionary Socialist Party (India)
7
13
Gorkha Janmukti Morcha
3
3
Communist Party of India
2
6
Samajwadi Party
1
1
Socialist Unity Centre of India (Communist)
17
1
1
Democratic Socialist Party (Prabodh Chandra)
1
1
Independents
2
4
Bharatiya Janata Party
0
United Progressive Alliance
227
192
Left Front
62
168
Total
-
294
-
Turnout:
Source: Election Commission of India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Mahaprashasta, Ajoy Ashirwad (১৪ এপ্রিল ২০১৬)। "Critical Challenges Lie Ahead for Trinamool Congress to Retain West Bengal's Vote"। The Wire। ১৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৬।
- ↑ Gupta, Smita (২৬ এপ্রিল ২০১৬)। "Mamata, Muslims and paribartan"। The Hindu। ১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৬।
- ↑ "Population by religion community - 2011"। Census of India, 2011। The Registrar General & Census Commissioner, India। ২৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Census nails promoters of paranoia- Diversity shrinking"।
- ↑ "Assembly polls: Chasing the Muslim vote"। ৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Could it take two to tango with Mamata?"। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Data on Religion"। Census of India (2001)। Office of the Registrar General & Census Commissioner, India। ১২ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০০৬।
- ↑ "West Bengal Assembly Election Schedule 2016 - infoelections.com"।
- ↑ http://infoelections.com/infoelection/index.php/kolkata/6333-west-bengal-assembly-election-schedule.html
- ↑ "West Bengal Assembly Election TMC Candidate List 2011"। updateox। ২২ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ https://www.marxists.org/archive/shibdas-ghosh/1969/03/18.htm
- ↑ "indiatoday"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "template reference" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="template reference"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি