নিখিল ভারত মুসলিম মজলিসে মুশাওয়ারাত
সংক্ষেপে | এআইএমএম |
---|---|
গঠিত | ৮ আগস্ট ১৯৬৪ |
প্রতিষ্ঠাতা | সৈয়দ মাহমুদ, আতিকুর রহমান উসমানি, মুহাম্মদ ইসমাইলি, আব্দুল লাইস ইসলাহি, মানজুর নোমানী, মুল্লা জান মুহাম্মদ, মুহাম্মদ মুসলিম, আবুল হাসান আলী নদভী, ইব্রাহিম সুলাইমান শেঠ |
প্রতিষ্ঠাস্থান | লখনউ |
ধরন | বেসরকারি সংগঠন |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
সদরদপ্তর | দিল্লি, ভারত |
অবস্থান |
|
স্থানাঙ্ক | ২৮°৩৩′২৭″ উত্তর ৭৭°১৭′৩৫″ পূর্ব / ২৮.৫৫৭৩৬৯২° উত্তর ৭৭.২৯২৯৮৯৯° পূর্ব |
এলাকাগত সেবা | ভারত |
সভাপতি | প্রফেসর ড. বশির আহমদ খান |
সাধারণ সম্পাদক | মুজতবা ফারুকী |
ওয়েবসাইট | mushawarat |
নিখিল ভারত মুসলিম মজলিসে মুশাওয়ারাত (এআইএমএমএম বা এমএমএম) ভারতের বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের একটি ঐক্যজোট। ১৯৬৪ সালে লখনউয়ের ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামাতে দুই দিনের (৮-৯ আগস্ট) এক সভায় মজলিসে মুশাওয়ারাত আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় মুসলিম পণ্ডিত ও আলেম এই বৈঠকে অংশ নেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং জওহরলাল নেহেরুর মন্ত্রিসভার একজন সদস্য সৈয়দ মাহমুদ এর প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি পক্ষসমর্থক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১] [২] [৩]
উৎপত্তি ও ইতিহাস
[সম্পাদনা]মুসলিম সংগঠন ও জাতীয় খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ ফোরাম নিখিল ভারত মুসলিম মজলিসে মুশাওয়ারাত (এআইএমএমএম) ১৯৬৪ সালের ৮-৯ আগস্ট লখনউয়ের দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামাতে অনুষ্ঠিত কমিউনিটি নেতাদের একটি প্রতিনিধি সভায় প্রতিষ্ঠিত হয়, যার উদ্বোধন করেন আবুল হাসান আলী নদভি এবং সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মাহমুদ।তাদের ছাড়াও আতিকুর রহমান উসমানী, আবুল লাইস ইসলাহী, ক্বারী মুহাম্মদ তৈয়ব, কালব-ই-আবিদ, সৈয়দ মিনাতুল্লাহ রহমানি, মুহাম্মদ মুসলিম, মাওলানা জান মূহাম্মদ এবং ইব্রাহিম সুলাইমান শেঠ মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। [১] [২]
এটি বিহার ও ওড়িশায় ঘটিত বৃহৎ আকারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছিল, প্রতিনিধি দলটি তখন ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দিতে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিল। [৪]মুশাওয়ারাত শব্দের অর্থ আরবি, যার অর্থ পরামর্শ।এআইএমএমএম এর উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের জন্য একটি সমন্বিত কর্মস্থল প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করা যাতে তারা সম্মিলিতভাবে চিন্তা করতে পারে, কথা বলতে পারে, যেকোন পরিকল্পনা যেন সকলের সম্মতিক্রমে হয়। [৫] [১]
এআইএমএমএম ৩১ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি মহম্মদ হামিদ আনসারি।
কাঠামো
[সম্পাদনা]এআইএমএমএম-এর চার স্তরের কাঠামো রয়েছে, জাতীয় মাজালিসে মুশাওয়ারাত (কেন্দ্রীয় সংস্থা), রাজ্য, জেলা এবং শহর পর্যায়ে এবং সমস্ত স্তরগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার সাথে সাংগঠনিকভাবে সংযুক্ত।জাতীয় পর্যায়ে এআইএমএমএম-এর প্রধান অঙ্গগুলি হল সুপ্রিম গাইডেন্স কাউন্সিল, মারকাজি মজলিসে মুশাওয়ারাত, মারকাজি মজলিসে আমলা এবং পদাধিকারীরা। [৬]
এআইএমএমএম- এর সভাপতি
- সৈয়দ মাহমুদ
- আতিকুর রহমান উসমানি
- শেখ জুলফিকারুল্লাহ
- মুহাম্মদ সালেম কাসেমি
- সৈয়দ শাহাবুদ্দিন (২০০০-২০০৭)
- জাফরুল-ইসলাম খান (২০০২-২০০৯)
- সৈয়দ শাহাবুদ্দিন (২০১০-২০১১)
- জাফরুল ইসলাম খান (২০১৪-২০১৫)
- নাভাইদ হামিদ (২০১৫-২০২১)
- প্রফেসর ড. বশির আহমদ খান (২০২১-বর্তমান)
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]- মুসলিম পেশাজীবী সংগঠন
- সর্বভারতীয় শিক্ষা আন্দোলন
- ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ
- ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ
- অল ইন্ডিয়া মজলিস তামির-ই-মিল্লাত
- জামায়াতে ইসলামি হিন্দ
- মারকাযী জমিয়ত আহলে হাদীস হিন্দ
- মারকাযী জমিয়াতুল উলামায়ে হিন্দ
- সর্বভারতীয় জমিয়াতুল কুরেশ
- সর্বভারতীয় মুমিন সম্মেলন
- অল ইন্ডিয়া মুসলিম ওবিসি অর্গানাইজেশন
- মুসলিম ভারতীয় ক্ষমতায়ন আন্দোলন
- সর্বভারতীয় শিয়া সম্মেলন
- দক্ষিণ এশীয় সংখ্যালঘু আইনজীবী সমিতি
- ছাত্র ইসলামী সংগঠন
- ইউপি রবিতা কমিটি
সমাজসেবা ও সংস্কার
[সম্পাদনা]নিখিল ভারত মুসলিম মজলিসে মুশাওয়ারাত তিন তালাক ইস্যু শোনার জন্য গঠিত ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ-বেঞ্চ কমিটিতে জমা দেওয়া হলফনামায় আহলে হাদিস এবং জাফরি (শিয়া) সম্প্রদায়, যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দুটি প্রধান দন্দ্ব গঠন করে, তাদের দ্বারা প্রচলিত তালাকপদ্ধতির উল্লেখ না করার জন্য অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সমালোচনা করেছে।[৭]
মুশাওয়ারতের সভাপতি নাভাইদ হামিদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন যাতে গোহত্যা নিষেধাজ্ঞা এবং আরএসএস সহ বিভিন্ন সংগঠিত গোষ্ঠীর দ্বারা সৃষ্ট ভয়ের প্রেক্ষাপটে দেশের উন্নয়নে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। [৮]
এআইএমএম ভারতে মুসলমানদের শিক্ষার জন্য সরকারের সুপারিশকেও সাধুবাদ জানায় এবং এ ব্যাপারে আশাবাদী ছিল। [৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "Will revival of a faded Muslim outfit provide panacea to the community? - Times of India"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ ক খ "Muslim Majlis-e-Mushawarat | The only confederation of Indian Muslim Institutions"। mushawarat.com। ২০১৭-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ "A Short History of Mushawarat"। www.milligazette.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-০৮।
- ↑ "All India Muslim Majlis-E-Mushawarat"। mushawarat.com। ৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ TwoCircles.net। "As Mushawarat celebrated 'golden jubilee' concerns over riots, exclusion remain | TwoCircles.net"। twocircles.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ "Muslim Majlis-e-Mushawarat | Constitution"। mushawarat.com (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ "Muslim law board hiding talaq facts, says umbrella outfit of 14 bodies - Times of India"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ TwoCircles.net। "Navaid Hamid writes to Modi to bring his attention to violent incidents happening in the country"। twocircles.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ "Govt welcomes new recommendations for Muslims' education. But will it implement?"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- মকসুদ আহমদ, পীর (১৯৯২)। কন্ট্রিবিউশান অব আবুল হাসান আলী নদভী টু এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেচার (গবেষণাপত্র) (আরবি ভাষায়)। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ। ভারত: কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১০৮–১১২।