বিষয়বস্তুতে চলুন

ধ্রুপদী পরবর্তী যুগের ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ধ্রুপদী পরবর্তী যুগের ইতিহাস (এছাড়াও প্রাচীনকালের পরবর্তী যুগ, প্রাচীন পরবর্তী যুগ, অথবা, প্রাক-আধুনিক যুগ নামে পরিচিত)[][][] হলো এমন একটি সময়কাল, যেটি প্রাচীনকালের ইতিহাসের ঠিক পরবর্তী এবং আধুনিক ইতিহাসের পূর্ববর্তী সময়পঞ্জীকে নির্দেশ করে।[] মহাদেশের উপর নির্ভর করে এই যুগটি সাধারণত ২০০-৬০০ এবং ১২০০-১৫০০'এর বছরের মধ্যে পড়ে। এই যুগের প্রধান ধ্রুপদী সভ্যতাসমূহ হল হান চীন (২২০ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়), পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্য (৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে), গুপ্ত সাম্রাজ্য (৫৫০ এর দশকে), এবং সাসানীয় সাম্রাজ্য (৬৫১ খ্রিস্টাব্দে)। ধ্রুপদী পরবর্তী যুগের পরবর্তী যুগ হল প্রারম্ভিক আধুনিক যুগ, এবং বিশ্ব ইতিহাসের প্রধান তিনটি যুগের মধ্য যুগের হিসেবে স্বীকৃত হয়। বিশ্ব ইতিহাসের তিনটি যুগ যথাক্রমে প্রাচীন, ধ্রুপদী পরবর্তী যুগ, এবং আধুনিক ইতিহাস। ধ্রুপদী পরবর্তী যুগকে মধ্য এশিয়া থেকে আক্রমণ, বিশ্বের প্রধান তিন ধর্মের (ইসলাম, খ্রিস্টানবৌদ্ধ) বিকাশ, এবং বিভিন্ন সভ্যতার বাণিজ্য ও সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়।

ব্যুৎপত্তি

[সম্পাদনা]

ধ্রুপদী পরবর্তী যুগকে ইউরোপে মধ্য যুগ বলে চিহ্নিত করা হয়, যা বিশ্ব ইতিহাসের প্রধান তিনটি যুগের মধ্যবর্তী সময়। বিশ্ব ইতিহাসের যুগসমূহ বিশ্লেষণ করলে যে প্রধান তিনটি যুগ পাওয়া যায় তা যথাক্রমে প্রাচীন, ধ্রুপদী পরবর্তী যুগ, এবং আধুনিক ইতিহাস[] ইউরোপে এই সময়কে মধ্য যুগসমূহ বলার কারণ হল এই যুগ প্রাচীন ও আধুনিক যুগের মধ্যবর্তী সময়ে বিদ্যমান ছিল। মানব সভ্যতা বিষয়ক ইতিহাসবেত্তাগণ যুক্তি দেখান যে রেনেসাঁ সময়ের বই-পুস্তকে ধ্রুপদী যুগের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা মধ্যবর্তী যুগকে নির্দেশ করে। মধ্য যুগ শব্দটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৪৬৯ সালে লাতিন ভাষায় মিডিয়া টেম্পেস্তাস (মধ্য যুগ) হিসেবে।[] প্রারম্ভিক ব্যবহারে এর বিভিন্ন রকমফের দেখা যায়, যেমন - ১৬০৪ সালে প্রথম রেকর্ডকৃত মিডিয়াম অভাম (মধ্য যুগ)[] এবং ১৬২৫ সালে প্রথম রেকর্ডকৃত মিডিয়া সেকুলা (মধ্য যুগ)।[] ইংরেজি একমাত্র প্রধান ইউরোপীয় ভাষা যেখানে এর বহুবচন লক্ষ্য করা যায়।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Roger Allen, D. S. Richards. Arabic Literature in the Post-Classical Period. Cambridge University Press, Apr 13, 2006. Page 8.
  2. Peter Stearns. World History in Documents: A Comparative Reader. Reviews NYU Press, Apr 1, 2008. Page 79.
  3. Classical Pasts: The Classical Traditions Of Greece And Rome edited by James I. Porte. Page 17.
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৭ 
  5. Power, Daniel (2006).The central Middle Ages: Europe 950–1320. The short Oxford history of Europe (illustrated ed.). Oxford University Press. p. 304 আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৯২৫৩১২-৮.
  6. Albrow, Martin, The global age: state and society beyond modernity (1997), p. 205.
  7. Robinson, Fred C. (1984). "Medieval, the Middle Ages". Speculum. 59 (4). JSTOR 2846695. doi:10.2307/2846695.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
পূর্বসূরী
প্রাচীনকালের ইতিহাস
কাল অনুযায়ী ইতিহাস
৫ম শতাব্দী - ১৫শ শতাব্দী
উত্তরসূরী
প্রারম্ভিক আধুনিক যুগ