দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া শব্দটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই অঞ্চলটিকে দুটি উপঅঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া মূল ভূখণ্ড (অথবা ইন্দোচীন) যা গঠিত হয়েছে বর্তমান ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্বোজ, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার (বার্মা) এবং পশ্চিম মালয়েশিয়া নিয়ে এবং উপকূলবর্তী দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া (অথবা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া উপদ্বীপ) যা গঠিত হয়েছে বর্তমান ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন দ্বীপপূঞ্জ, পূর্ব টিমর, ব্রূনেই, কোকোস(কিলিং) দ্বীপপুঞ্জ ও ক্রিসমাস দ্বীপ নিয়ে।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া মূলভূখন্ডে আদিমানব হোমো সেপিয়েন্সের পা পড়েছিল আনুমানিক ৫০০০০ বছর আগে এবং উপকূলবর্তী দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আদিমানবের বসতির ইতিহাস অন্তত ৪০০০০ বছর প্রাচীন। আনুমানিক ১০০০০ বছর আগে হোয়াবিনিয়ান সম্প্রদায়ের মানবগোষ্ঠী এখানে নানান শিল্পদ্রব্য ও সামগ্রি তৈরীর সংস্ক্তি ও ঐতিহ্যের বিকাশ ঘটায়। নব্যপ্রস্তর যুগে স্থলপথে আসা অস্ট্রোএশিয় মানবগোষ্ঠী ইন্দোচীনে বসতি স্থাপন করে এবং জলপথে আসা অস্ট্রোএশিয় মানবগোষ্ঠী উপকূলবর্তী দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বসতি স্থাপন করে। আনুমানিক ১৭০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে কিছু কৃষিপ্রধান মানবগোষ্ঠী এখানকার বিভিন্ন নিম্নভূমি ও নদীর প্লাবনভূমিতে মিলেট ও ধান্যশস্যের চাষ শুরু করে ।
ফুং ঙগুয়েন সভ্যতা (আধুনিক উত্তর ভিয়েতনামের) ও বান চিয়াং -এর ইতিহাস থেকে জানা যায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় তামার ব্যবহার শুরু হয়েছিল প্রায় ২০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। এরপর আনুমানিক ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে দং সান সভ্যতার আমলে এখানে বেশ উন্নতমানের ব্রোঞ্জ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে উঠেছিল। এর প্রায় সমসাময়িক কালে এখানকার বিভিন্ন প্রাচুর্যপূর্ণ ও অনুকূল এলাকায়, যেমন নিম্ন মেকং -এর ফুনান প্রদেশ এবং লোহিত নদীর বদ্বীপের ভান লাং, প্রথম অনেকগুলি আগ্রনীয়ান রাজ্য গড়ে উঠেছিল। এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলি ক্রমবর্ধমান সমুদ্র বাণিজ্যে অংশ নিত ও নিজস্ব অবদান রাখত।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভূসংস্থানগত বৈচিত্র্য এই অঞ্চলের ইতিহাসকে ব্যপকভাবে প্রভাবিত করেছে। অষ্টম ও নবম শতকে বৌদ্ধধর্ম বিশেষত ইন্দোচীনের রাজনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। অষ্টম শতকের আশেপাশে ঐসলামিক ভাবধারা উপকূলবর্তী দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াএ প্রবেশ করে কিন্তু এই অঞ্চলে প্রথম মুসলিম সমাজের পত্তন হয় আরও পরে, খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে।
ইউরোপের ঔপনিবেশিকতার যুগে, আধুনিক যুগের প্রারম্ভে এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রের সীমিত রাজনৈতিক তাৎপর্যের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা ও প্রগতির জন্য একটি আধুনিক রাষ্ট্র ও একটি দৃঢ় জাতীয় সত্তার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |