ঠেকাও মাস্তান
ঠেকাও মাস্তান | |
---|---|
![]() ঠেকাও মাস্তান চলচ্চিত্রের পোস্টার | |
পরিচালক | মালেক আফসারী |
প্রযোজক | পান্না মুভিজ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
চিত্রগ্রাহক | এম এ বোখারী |
সম্পাদক | চিশতী জামাল |
পরিবেশক | পান্না মুভিজ |
মুক্তি | মে ১৮, ২০০১ |
দৈর্ঘ্য | ২ ঘণ্টা ২৮ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ঠেকাও মাস্তান হচ্ছে ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী একশনধর্মী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, সিমলা, আমিন খান ও ডিপজল প্রমূখ। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন মালেক আফসারী। এবং এই চলচ্চিত্রটি হিট হয়। [১]
কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]
বিপ্লব (শাকিব খান) একজন দেশপ্রেমিক এবং সৎ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু বিপ্লব সিমলা নামের এক মেয়েকে ভালোবাসে। সিমলা পেশায় একজন সাংবাদিক।
এদিকে ঢাকার নামকরা সন্ত্রাসী দিপু সরদার (ডিপজল) অতীতে ১৪ বছর জেলে থাকাকালীন যে কষ্ট ভোগ করেছিলেন সেই কষ্টকে মনে রাখার জন্য তিনি প্রত্যেক শুক্রবারে ভাঙ্গা বালতিতে গোসল ও ভাঙ্গা বাসনে ভাত খায় এবং রাত্রে মাথার নিচে ইট দিয়ে ঘুমায়। কিন্তু দিপু সরদার সোনালীর (মুনমুন) বাবা ও রাঙ্গামাটির এক সৎ মন্ত্রীকে হত্যা করেন, এবং কল্যাণী নামের এক সাংবাদিককে ধর্ষণ ও হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে দেয়! এই অপরাধে বিপ্লব দিপু সরদারকে গ্রেফতার করতে গেলে দিপু সরদারের কাছে শত্রু হয়ে ওঠে বিপ্লব, ফলে বিপ্লব ও তার প্রেমিকাকে পিটিয়ে আহত করে দিপু সরদার। অন্যদিকে কলেজ ছাত্রী সোনালীর (মুনমুন) প্রেম হয় সিনেমার ব্ল্যাকার দুর্জয়ের (আমিন খান) সাথে।
এরপর সোনালী কলেজের নির্বাচন নিয়ে দিপু সরদারের ভাই নান্না সরদারের (মাফিয়া) সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লে সোনালীকে জনসম্মুখে উলঙ্গ করার হুমকি দেয় নান্না সরদার। তারপর নান্নার হাত থেকে বাঁচতে দুর্জয়ের আশ্রয় নেয় সোনালী। কিন্তু দুর্জয়কে চক্রান্ত করে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়ে দুর্জয়ের মাকে হত্যা করেন নান্না। তারপর নান্না সোনালীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলে জুমকা নামের এক প্রতিবেশী মেয়ে যিনি দুর্জয়কে পছন্দ করতেন তিনি নিজের জিবন দিয়ে সোনালীকে রক্ষা করেন। পরবর্তীতে দুর্জয় ক্ষিপ্ত হয়ে নান্নাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। তারপর বিপ্লব ও দুর্জয় একত্র হয়ে দিপু সরদারের সমস্ত খারাপ কাজ ও দুই নাম্বারি ব্যবসা ধ্বংস করে দেয়। এরপর দিপু সরদার ও তার সব সন্ত্রাসীকে হত্যা করে জেলে যায় দুর্জয়, বিপ্লব, শিমলা ও সোনালী। কয়েক বছর পর তারা জেল থেকে বেরিয়ে আসে। এতেই সমাপ্ত হয় চলচ্চিত্রটি।
অভিনয়ে[সম্পাদনা]
- শাকিব খান - বিপ্লব
- সিমলা - সাংবাদিক
- আমিন খান - দুর্জয়
- আফজাল শরীফ -
- দিলদার - কুতুব
- নাসির খান - পুলিশ অফিসার
- ডিপজল - দিপু সরদার
- মুনমুন - সোনালী
- রোজী আফসারী - দুর্জয়ের মা
- ডন - দিপু সরদারের লোক
- মাফিয়া - দিপু সরদারের ছোট ভাই
- ঝুমকা -
সংগীত[সম্পাদনা]
এই চলচ্চিত্রে ৬ টি গান ব্যবহার করা হয়।
নিম্নে গানের তালিকাঃ
১) জানুরে জানুরে - বিপ্লব, সাবিনা ইয়াসমিন
২) কেউ বলে বলতে বলতে - এন্ড্রু কিশোর, রিজিয়া পারভীন
৩) ঘুসুর ঘুসুর প্রেম হলো রে হলো - এন্ড্রু কিশোর, সাবিনা ইয়াসমিন
৪) ঢাল তোরা ঢাল বোতল খুইলা মাল - আগুন
৫) অঙ্গে মিঠা আঙ্গুর রসে আছে ভরপুর - এন্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লা
৬) এখন হয় তখন হয় কখন জানি বিয়ে হয় - এন্ড্রু কিশোর, সাবিনা ইয়াসমিন
বিতর্ক[সম্পাদনা]
চলচ্চিত্রটি কিছু অমার্জিত ও অশ্লীল দৃশ্যের জন্য সমালোচিত হয়। তবে অভিনেতারা অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান। কিন্তু চলচ্চিত্রটি সাফল্য থাকা সত্ত্বেও মালেক আফসারী ও শাকিব খান আর একসঙ্গে কাজ করেননি।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ প্রথম কথা হচ্ছে মৌলিক ছবি করা বন্ধ করতে হবে : মালেক আফসারী। Priyo। ১১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ শাকিব খানের ১৮ নায়িকা। ২৭ মে ২০১৭। ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৮।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ঠেকাও মাস্তান (ইংরেজি)