নাসির খান (বাংলাদেশী অভিনেতা)
 |
নাসির খান | |
|---|---|
 | |
| জন্ম | নাসির খান ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ |
| মৃত্যু | জানুয়ারি ১২, ২০০৭ (বয়স ৪৭) মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
| নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী |
| পেশা | অভিনেতা |
| কর্মজীবন | ১৯৮০–২০০৭ |
| সঙ্গী | মেহেরুন্নেসা স্বপ্না |
| সন্তান | তিন কন্যা |
নাসির খান (১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ - ১২ জানুয়ারি ২০০৭)[১] একজন বাংলাদেশী অভিনেতা। তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। নাসির খান পাঁচশতাধিক বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্য রয়েছে বেদের মেয়ে জোৎস্না, অন্তরে অন্তরে, বিক্ষোভ, এই ঘর এই সংসার, পাগল মন প্রভৃতি।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
নাসির খান ১৯৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। নাসির খানের তিন মেয়ে নাছিমা খানম মমতা, ফাহিমা খানম শর্মিতা ও মহিমা খানম নিশিতা।[২]
চলচ্চিত্র জীবন[সম্পাদনা]
নাসির খান পাঁচশতাধিক বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। নাসির খান খলনায়ক হিসেবে বেশি পরিচিত। তার দেওয়া বিভিন্ন সংলাপ দর্শকদের মুখে মুখে এখনো শুনা যায়। "মামা বলতো ভাগ্নে বেশি লোভ করিসনে", "আমার দয়া আছে কিন্তু মায়া নাই", "কথা কম কাজ বেশি মানুষকে আমি বড় ভালোবাসি", "আমার দুঃখ আছে কিন্তু কষ্ট নাই", "মুরব্বি যা বলে বুদ্ধিমানরা সে মত চলে" এই সংলাপগুলো অন্যতম। নাসির খান অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে বেদের মেয়ে জোস্ন্যা, অন্তরে অন্তরে, বিক্ষোভ, এইঘার এই সংসার, ভন্ড উল্লেখযোগ্য।[২] আলিফ লায়লা, সুপারম্যান, রবিনহুড ইত্যাদি বেশ কিছু শিশুতোষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শিশুদের কাছেও জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে কোন রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় সম্মান দেওয়া হয়নি। নাসির খান ছাত্র জীবনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বাধিক ভোটে নির্বাচিত কার্যকারী সদস্য ছিলেন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত নাসির খান ভক্তদের মাঝে বেচেঁ আছেন, যার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি যে এলাকায় বসবাস করতেন তা আজ নাসির খানের গলি নামে পরিচিত।[১]
চলচ্চিত্র তালিকা[সম্পাদনা]
- শবনম (২০১৪)
- জিদ্দি বউ (২০১২)
- তুমি কি সেই (২০০৯)
- বুলেট (২০০৭)
- ময়দান (২০০৭)
- ক্যাপ্টেন মারুফ (২০০৭)
- উল্টা পাল্টা ৬৯ (২০০৭)
- দাপট (২০০৬)
- ভণ্ড নেতা (২০০৪)
- ভাইয়ের শত্রু ভাই (২০০৪)
- জীবনের গ্যারান্টি নাই (২০০৪)
- আজকের সমাজ (২০০৪)
- বিগ বস (২০০৩)
- ভাইয়া (২০০২)
- মাস্তানের উপর মাস্তান (২০০২)
- স্বপ্নের বাসর (২০০১)
- শিকারী (২০০১) - শফিক
- রংবাজ বাদশা (২০০১)
- ঠেকাও মাস্তান (২০০১) - পুলিশ অফিসার
- হীরা চুনি পান্না (২০০০)
- মরণ কামড় (১৯৯৯)
- অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯)
- ভন্ড (১৯৯৮)
- হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭)
- স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭) - (পরিচালক ছিল)
- মায়ের অধিকার (১৯৯৬)
- এই ঘর এই সংসার (১৯৯৬) - আক্কেল আলী
- দেনমোহর (১৯৯৫)
- স্নেহ (১৯৯৪) - নাসির খান
- বালিকা হলো বধূ (১৯৯৪)
- বিক্ষোভ (১৯৯৪)
- অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪)
- বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯) - মোবারক
- গারিয়াল ভাই
- রাক্ষস
- মাস্তান
- শীর্ষ সন্ত্রাসী
- গ্রেফতার
- সম্রাট
- ক্ষুদা
- চিরদিনের সাথী
- আকর্ষণ
- কুচবরণ কন্যা
- লুটরারজ
- তের পান্ডা এক গুন্ডা
- নয়া কসাই
মৃত্যু[সম্পাদনা]
২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারীতে ৪৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[২]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "পর্দায় যেমন দেখাতেন তেমন ছিলেন না"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২৪।
- ↑ ক খ গ আলম, মনজুরুল (২০২৩-০৯-১৭)। "কেমন আছে অভিনেতা নাসির খানের পরিবার"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৭।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে নাসির খান
