টেড আর্নল্ড
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এডওয়ার্ড জর্জ আর্নল্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | উইথাইকম্ব র্যালেই, ডেভন, ইংল্যান্ড | ৭ নভেম্বর ১৮৭৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ অক্টোবর ১৯৪২ ওরচেস্টার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৬৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জন প্রাইস (ভ্রাতৃষ্পুত্র) ও উইলিয়াম প্রাইস (ভ্রাতৃষ্পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩৬) | ১১ ডিসেম্বর ১৯০৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৯ জুলাই ১৯০৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ মার্চ ২০১৯ |
এডওয়ার্ড জর্জ আর্নল্ড (ইংরেজি: Ted Arnold; জন্ম: ৭ নভেম্বর, ১৮৭৬ - মৃত্যু: ২৫ অক্টোবর, ১৯৪২) ডেভনের উইথাইকম্ব র্যালেই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৩ থেকে ১৯০৭ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ার ও লন্ডন কাউন্টি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন টেড আর্নল্ড।
কাউন্টি ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৮৯৯ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে অধিকাংশ খেলায় অংশ নেন। এ সময়ে তিনি ৩৪৩টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ক্রিকইনফোয় তাকে ওরচেস্টারশায়ারের প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা লাভ থেকে বঞ্চিত হওয়া অন্য যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় তিনি অধিকতর ব্যথিত হয়েছিলেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। গৃহীত কাউন্টি দলের চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় আঠারোটি শতরানের ইনিংসের পাশাপাশি সহস্রাধিক উইকেট পেয়েছেন তিনি। ১৯০০ সালে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে দল ৪৩ রানে গুটিয়ে গেলেও একমাত্র তিনিই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।
টেস্ট ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১০ টেস্টে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয় তার। ১১ ডিসেম্বর, ১৯০৩ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে টেড আর্নল্ডের অভিষেক ঘটে।
তিন টেস্ট সিরিজ বিজয়ী ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯০৩-০৪ মৌসুমে প্লাম ওয়ার্নারের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া সফরে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ সফরেই তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। ঐ সিরিজে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান - রেজি ডাফ ও ভিক্টর ট্রাম্পারকে দলীয় সংগ্রহ দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শের পূর্বেই ৯ রানে তাদের বিদায় করেন। এছাড়াও, সিরিজের চতুর্থ টেস্ট বিজয়ে তার বেশ অবদান ছিল। যদিও ব্যাট হাতে জোড়া শূন্য পেয়েছেন; তাসত্ত্বেও, প্রথম ইনিংসে চার উইকেট পান ও ভিক্টর ট্রাম্পারকে দুইবার আউট করেছিলেন।
খেলার ধরন
[সম্পাদনা]বলে বৈচিত্র্যতা এনে উঁচুতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। বলগুলো দেখতে একই ধরনের ছিল। নিজস্ব শারীরিক কাঠামোর পূর্ণাঙ্গ সুযোগ কাজে লাগান। লাফিয়ে বোলিং করার ভঙ্গীমায় বিল বোসের ন্যায় তিনিও উইকেটে বলকে পর্যাপ্ত উত্তোলন ঘটাতে পারতেন। বৃষ্টি আক্রান্ত উইকেটে এ ধরনের পদক্ষেপ সবিশেষ কাজে লাগতো। পর্যাপ্ত পরিমাণে বলকে সুইং করতেন। ব্যাটের বেশ দূর থেকে এ সুইং করতেন তিনি। ব্যাটসম্যান হিসেবে টেড আর্নল্ড প্রায় সবধরনের স্ট্রোক মারতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শক্তিমত্তা নিয়ে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, দর্শনীয়ভাবে রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় বল রুখে দিতেন। স্লিপ ফিল্ডার হিসেবেও সুনাম ছিল তার।
উইজডেন কর্তৃপক্ষ তার স্মরণে মন্তব্য করে যে, খাঁটিমানের অল-রাউন্ডার ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। শুরুর দিককার সুইং বোলিংয়ের অন্যতম ব্যবহারকারী ছিলেন। জর্জ হার্স্টকে আদর্শ মেনে চমকপ্রদ আউট সুইংগার করতেন। তবে, টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট হাতে তেমন কোন ভূমিকাই রাখতে পারেননি।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]তার ভাইপো জন প্রাইস ও উইলিয়াম প্রাইস - উভয়েই ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ২৫ অক্টোবর, ১৯৪২ তারিখে ওরচেস্টারে ৬৫ বছর বয়সে টেড আর্নল্ডের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- ফ্রাঙ্ক ওলি
- আর্থার ফিল্ডার
- ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেটলাভকারী বোলারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টেড আর্নল্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টেড আর্নল্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ১৮৭৬-এ জন্ম
- ১৯৪২-এ মৃত্যু
- ১৮৯০ থেকে ১৯১৮ সময়কালীন ইংরেজ ক্রিকেটার
- ইংরেজ ক্রিকেটার
- ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার
- ওরচেস্টারশায়ারের ক্রিকেটার
- নর্থ ভার্সাস সাউথের ক্রিকেটার
- প্লেয়ার্সের ক্রিকেটার
- মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার
- লন্ডন কাউন্টির ক্রিকেটার
- মিডল্যান্ড কাউন্টিজের ক্রিকেটার
- প্লেয়ার্স অব দ্য সাউথের ক্রিকেটার
- ডব্লিউ. জি. গ্রেস একাদশের ক্রিকেটার