টাইরেল জনসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টাইরেল জনসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামটাইরেল ফ্যাবিয়ান জনসন
জন্ম(১৯১৭-০১-১০)১০ জানুয়ারি ১৯১৭
তুনাপুনা, ত্রিনিদাদ
মৃত্যু৫ এপ্রিল ১৯৮৫(1985-04-05) (বয়স ৬৮)
কোভা, ত্রিনিদাদ
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৫১)
১৯ আগস্ট ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৩৫/৩৬ - ১৯৩৮/৩৯ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৮
রানের সংখ্যা ৯০
ব্যাটিং গড় - ৯.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৯* ২৭
বল করেছে ২৪০ ২,৮৪৬
উইকেট ৫০
বোলিং গড় ৪৩.০০ ২১.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৫৩ ৬/৪১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ৮/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ জুন ২০১৯

টাইরেল ফ্যাবিয়ান জনসন (ইংরেজি: Tyrell Johnson; জন্ম: ১০ জানুয়ারি, ১৯১৭ - মৃত্যু: ৫ এপ্রিল, ১৯৮৫) ত্রিনিদাদের তুনাপুনা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন টাইরেল জনসন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

দীর্ঘদেহী ও শীর্ণাকৃতি গড়নের অধিকারী ছিলেন টাইরেল জনসন। ইন-সুইঙ্গারে দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত টাইরেল জনসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৯ তারিখে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় ৪১ রান খরচায় ছয় উইকেট দখল করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড গমনের লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন টাইরেল জনসন। ১৯ আগস্ট, ১৯৩৯ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। ঐ টেস্টে দলীয় সঙ্গী ভিক স্টলমেয়ার ও প্রতিপক্ষীয় নরম্যান ওল্ডফিল্ডের সাথে একযোগে অভিষেক ঘটে তার।[১]

ইংল্যান্ডে অবস্থান করেই ওরচেস্টারে সফরের প্রথম প্রস্তুতিমূলক খেলায় প্রথম বলেই উইকেট লাভের অধিকারী হন। কিন্তু, পরবর্তী প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র আট উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, তিন-টেস্টে গড়া সিরিজের ওভাল টেস্টে অভিষেকের প্রথম বলেই ওয়াল্টার কিটনকে বোল্ড করে তাৎক্ষণিক সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।[২] এরপর লেন হাটনকে বোল্ড করে ২/৫৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। দ্বিতীয় ইনিংসে নরম্যান ওল্ডফিল্ডকে ডেরেক সিলি’র কটে পরিণত করে বিদেয় করে ১/৭৬ পান। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৯ রান তুলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল ও স্বাগতিক দল ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।

এই একমাত্র টেস্ট খেলাটিই টাইরেল জনসনের সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ ছিল। সামগ্রীকভাবে এ সফরে ৩২ গড়ে মাত্র ১৬ উইকেট পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটায় তার আর খেলার সুযোগ হয়নি। ৫ এপ্রিল, ১৯৮৫ তারিখে ৬৮ বছর বয়সে ত্রিনিদাদের কোভা এলাকায় টাইরেল জনসনের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]