জিম সিমস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিম সিমস
আনুমানিক ১৯৪৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জিম সিমস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস মর্টন সিমস
জন্ম(১৯০৩-০৫-১৩)১৩ মে ১৯০৩
লেটন, এসেক্স, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৭ এপ্রিল ১৯৭৩(1973-04-27) (বয়স ৬৯)
ক্যান্টারবারি, কেন্ট, ইংল্যান্ড
ডাকনামসিমো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৮৬)
১৩ জুলাই ১৯৩৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট১ জানুয়ারি ১৯৩৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৬২
রানের সংখ্যা ১৬ ৮৯৮৩
ব্যাটিং গড় ৪.০০ ১৭.৩০
১০০/৫০ -/- ৪/২১
সর্বোচ্চ রান ১২ ১২৩
বল করেছে ৮৮৭ ৭৭০৩৫
উইকেট ১১ ১৫৮১
বোলিং গড় ৪৩.৬৩ ২৪.৯২
ইনিংসে ৫ উইকেট ৯৮
ম্যাচে ১০ উইকেট - ২১
সেরা বোলিং ৫/৭৩ ১০/৯০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬/- ২৫২/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ আগস্ট ২০১৯

জেমস মর্টন সিমস (ইংরেজি: Jim Sims; জন্ম: ১৩ মে, ১৯০৩ - মৃত্যু: ২৭ এপ্রিল, ১৯৭৩) এসেক্সের লেটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৭ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। লেগ ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন ‘সিমো’ ডাকনামে পরিচিত জিম সিমস

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯২৯ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত জিম সিমসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তন্মধ্যে, ১৯২৯ থেকে ১৯৫২ সময়কালে মিডলসেক্সের পক্ষে ৩৮১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন জিম সিমস। ১৯২৯ সালে ক্লাবটির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এ পর্যায়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭১৭৩ রান ও অফ ব্রেক বোলার হিসেবে ১২৫৭ উইকেট পেয়েছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ১২১ ও ইনিংসে সেরা বোলিং করেন ১০/৯০।

ইস্টের সদস্যরূপে ওয়েস্টের বিপক্ষে কিংস্টন-আপোন-টেমসের খেলায় ৯০ রান খরচায় সমূদয় উইকেট পান। এর ১৫ বছর পূর্বে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ৯/৯২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে লর্ডসে এ. মেলভিলের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে মিডলসেক্সের সদস্যরূপে হ্যাট্রিক করেছিলেন। ১৯৩৩ সালে চেস্টারফিল্ডে চার বলের ব্যবধানে তিনজন ডার্বিশায়ার ব্যাটসম্যানকে বিদেয় করেন।

২৪.৯২ গড়ে ১৫৮১ উইকেট পান। চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। প্রায়শঃই ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯৩৯ সালে ২০.৩০ গড়ে ব্যক্তিগত সর্বাধিক ১৫৯ উইকেট পান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জিম সিমস। ১৩ জুলাই, ১৯৩৫ তারিখে লিডসে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১ জানুয়ারি, ১৯৩৭ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে পার্সি হোমসের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। পরবর্তী শীতে আবারও গাবি অ্যালেনের দলে ছিলেন। অন্যান্য খেলায় ভালো করলেও দুই টেস্টে তাকে বেশ মাশুল গুণতে হয়েছিল। নিজ দেশে ১৯৩৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ১৯৩৬ সালে ভারতের মুখোমুখি হন।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

চমৎকার ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। উচ্চমানের ক্রীড়াসুলভ মনোবৃত্তি কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। দ্রুতলয়ে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অনেকাংশেই ভারতীয় ক্রিকেট তারকা ভাগবত চন্দ্রশেখরের বোলিংয়ের সাথে মিল ছিল। গ্লুচেস্টারশায়ারের চার্লি বার্নেটের ন্যায় আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে দৃষ্টিনন্দন বোলিং করেছিলেন। আট মৌসুমে শতাধিক উইকেট পেয়েছেন। ১৯৪৮ সালে কিংস্টনে উৎসব খেলায় ইনিংসে সবকটি উইকেট লাভের বিরল কৃতিত্ব গড়েন।

আরসি রবার্টসন-গ্লাসগো তার গ্রন্থ ‘ক্রিকেট প্রিন্টসে’ জিম সিমস সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, নিঃসন্দেহে তিনি দূর্বোধ্য গুগলি বোলার। দীর্ঘ, শীর্ণকায় জিম সিমস মিডলসেক্স কর্তৃপক্ষের সুনজরে ছিলেন। পাঁচ মৌসুমের মধ্যে দুইবার আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করে। ১৯৪৬ সালের প্রথমটি অবশ্য বৃষ্টিতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

অবসর[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৫৩ সালে মিডলসেক্সের কোচের দায়িত্ব পালনসহ স্কোরারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে জিম অলডিসের পরিবর্তে আমৃত্যু এ দায়িত্ব পালন করেন। ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৩ তারিখে ৬৯ বছর বয়সে কেন্টের ক্যান্টারবারি এলাকায় আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে জিম সিমসের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ২১ আগস্ট ২০১৯

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]