জ্যাক ইয়ং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জ্যাক ইয়ং
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন আলবার্ট ইয়ং
জন্ম(১৯১২-১০-১৪)১৪ অক্টোবর ১৯১২
প্যাডিংটন, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩(1993-02-05) (বয়স ৮০)
সেন্ট জোন্স উড, লন্ডন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩২৪)
২৬ জুলাই ১৯৪৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৫ জুন ১৯৪৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৪১
রানের সংখ্যা ২৮ ২,৪৮৫
ব্যাটিং গড় ৫.৫৯ ৮.৯৩
১০০/৫০ –/– –/১
সর্বোচ্চ রান ১০* ৬২
বল করেছে ২,৩৬৮ ৭৮,৯৬৫
উইকেট ১৭ ১,৩৬১
বোলিং গড় ৪৪.৫২ ১৯.৬৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ৮২
ম্যাচে ১০ উইকেট ১৭
সেরা বোলিং ৩/৬৫ ৯/৫৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ১৫০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ মে ২০১৭

জন আলবার্ট জ্যাক ইয়ং (ইংরেজি: Jack Young; জন্ম: ১৪ অক্টোবর, ১৯১২ - মৃত্যু: ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩) লন্ডনের প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন জ্যাক ইয়ং। ১৯৩৩ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।[১] দলে তিনি মূলতঃ স্লো বামহাতি অর্থোডক্স বোলার ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।

ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, সঙ্গীতজ্ঞ সন্তান জ্যাক ইয়ং ছন্দময় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করাসহ দর্শকদের কাছে সত্যিকার অর্থেই জনপ্রিয় ছিলেন।[২]

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী ইয়ং মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম স্পিন বোলার ছিলেন। বলকে উঁচুতে ওঠানোর চেয়ে নিখুঁত নিশানায়, সমান্তরালভাবে বোলিং করানোয় সবিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। ১৯৩০-এর দশকের অধিকাংশ সময়ই মিডলসেক্সের সংরক্ষিত খেলোয়াড় হিসেবে থাকেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরই কেবলমাত্র নিজেকে মেলে ধরেন। ১৯৪৭ সালে ১৫০-এরও অধিক উইকেট পান। ডেনিস কম্পটন, বিল এডরিচজ্যাক রবার্টসনের সাথে তিনিও মিডলসেক্সকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। দুই বছর পরও ইয়র্কশায়ারের সাথে যৌথ শিরোপা জয়ে এ সাফল্যের পুণরাবৃত্তি ঘটান।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষ আটটি টেস্ট অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু ঐ খেলাগুলোয় তিনি মাত্র ১৭ উইকেট দখল করেন। মিতব্যয়ী বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে ধারাবাহিকভাবে এগারোটি মেইডেন ওভার করেন। ১৯৪৮ সালে অপরাজেয় দলের ইংল্যান্ড সফরে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ডন ব্র্যাডম্যানলিন্ডসে হ্যাসেটের উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ডের দিকে এগুচ্ছিলেন ও সেরা ব্যাটসম্যানদেরকে আটকানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। দল নির্বাচনী নীতিতেও তিনি দূর্ভাগ্যের কবলে পড়েন। ১৯৪৮ সালের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম টেস্টে খেলার সুযোগ পান এবং হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত তার উপযোগী পীচে দলের দ্বাদশ খেলোয়াড়রূপেও তাকে রাখা হয়।

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

মিডলসেক্সের পক্ষে ১,১৮২ উইকেট লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তারচেয়ে কেবলমাত্র ফ্রেড টিটমাসজিম সিমস এগিয়ে রয়েছেন।

ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, ফ্লাডলাইটের সাহায্যে ১১ আগস্ট, ১৯৫২ তারিখে দিবা-রাত্রির ক্রিকেটের প্রথম খেলাটি সম্পন্ন হয়েছিল। মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ও আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের মধ্যকার এ খেলাটির মাধ্যমে তাকে আর্থিক সহায়তাকল্পে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Middlesex players". CricketArchive. Retrieved 28 May, 2017.
  2. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 192আইএসবিএন 1-869833-21-X 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]