জামিউল জাযাইর

স্থানাঙ্ক: ৩৬°৪৪′০৯″ উত্তর ৩°০৮′১৭″ পূর্ব / ৩৬.৭৩৫৮৩° উত্তর ৩.১৩৮০৬° পূর্ব / 36.73583; 3.13806
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামিউল জাযাইর
আরবি: جامع الجزائر
জামিউল জাযাইর
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলাআলজিয়ার্স
প্রদেশআলজিয়ার্স
মালিকানাধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়(আলজেরিয়া)
অবস্থান
অবস্থানআলজিয়ার্স, আলজেরিয়া
দেশআলজেরিয়া
জামিউল জাযাইর আলজেরিয়া-এ অবস্থিত
জামিউল জাযাইর
আলজেরিয়ায় মসজিদটির অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩৬°৪৪′০৯″ উত্তর ৩°০৮′১৭″ পূর্ব / ৩৬.৭৩৫৮৩° উত্তর ৩.১৩৮০৬° পূর্ব / 36.73583; 3.13806
স্থাপত্য
স্থপতিচায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য,
আন্দালুস স্থাপত্য,
আধুনিক স্থাপত্য
অর্থায়নেআলজেরিয়া সরকার
ভূমি খনন১৬ অগাস্ট ২০১২
সম্পূর্ণ হয়২৯ এপ্রিল ২০১৯
বিনির্দেশ
ধারণক্ষমতা১২০,০০০
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে)৭০ মিটার (২৩০ ফুট)
মিনার
মিনারের উচ্চতা২৬৫ মিটার (৮৬৯ ফুট)

জামায়া এল জাযাইর (আরবি: جامع الجزائر) বা আলজিয়ার্সের বড় মসজিদ (ফরাসি: Grande mosquée d'Alger) নামেও পরিচিত এই মসজিদটি আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স অবস্থিত। বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতাবিশিষ্ট মিনার এই মসজিদে রয়েছে। সৌদি আরবের মদিনার মসজিদে নববীমসজিদ আল-হারাম এর পরে এটিই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। [১][২][৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটি নির্মাণের জন্য চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন সঙ্গে ১ বিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে আলজেরিয়ান সরকার। চুক্তির পরে ২০১২ সালের আগস্টে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নকশাটি করেছেন জার্মান কেএসপি জুয়ারজেন এঞ্জেল আর্কিটেক্টসের স্থপতিরা এবং প্রকৌশলী সহায়তায় ক্রেবস আন্ড কিফার ইন্টারন্যাশনাল। তেলের দাম কমার কারণে বাজেটের উদ্বেগের ফলে মসজিদটির নির্মাণ কাজ বিলম্ব হয়। প্রকল্পটিতে চীন, আলজেরিয়া এবং অন্যান্য আফ্রিকান দেশ থেকে প্রায় ২,৩০০ জন শ্রমিক কাজ করে। দীর্ঘমেয়াদী রাষ্ট্রপতি আব্দেলআজিজ বোতেফ্লিকার রাজত্বের চিহ্ন হিসাবে এই মসজিদটি নির্মাণের কাজটি অনেকেই দেখাশোনা করেছেন। [৫][৬][৭][৮][৯]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

ভূমধ্যসাগরের পাশে ৪০০,০০০ বর্গমিটার (৪,৩০০,০০০ বর্গফুট) এলাকা জুড়ে মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদে মূল কাঠামোতে ৩৭,০০০ জন আর প্রাঙ্গণটি সাথে যুক্ত করলে ১২০,০০০ জন মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। মসজিদটিতে ৭,০০০ টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে। মসজিদ এলাকায় একটি কোরানিক বিদ্যালয়, একটি উদ্যান, একটি গ্রন্থাগার, কর্মীদের আবাসন এলাকা, একটি ফায়ার স্টেশন, ইসলামী শিল্পের একটি সংগ্রহশালা এবং আলজেরিয়ার ইতিহাস সম্পর্কিত একটি গবেষণা কেন্দ্র আছে। [২][৫][৮]

মসজিদে একটি ২৬৫ মিটার (৮৬৯ ফুট) লম্বা মিনার আছে, যা আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু ভবন। [৭] মদজিদে ৩৭ তলাবিশিষ্ট মিনার উপরে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আছে। রাতে মসজিদের মিনারের আলোকসজ্জা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা যায়। মসজিদটির নকশায় ৯.০রিক্টার মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করার ক্ষমতা আছে এবং ক্ষয় প্রতিরোধের জন্য কাঠামোটি বিশেষ ব্যবস্থা আছে। প্রধান নামাজ ঘরে স্তম্ভগুলোকে সহায়তার জন্য ৬১৮ টি অষ্টভুজ আকৃতির কলাম আছে। লেজার প্রক্রিয়ায় ৬ কিলোমিটার (৩.৭ মাইল) চারুলিপি রচনা আছে। নামাজঘরের গম্বুজটির দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার (১৬০ ফুট) এবং উচ্চতা ৭০ মিটার (২৩০ ফুট)। [৮][১০]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Algeria builds giant mosque with world's tallest minaret" (ইংরেজি ভাষায়)। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  2. "China helping to construct Great Mosque of Algiers"চায়না ডেইলী (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "CD" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  3. "Bouteflika's mosque seen as monument to megalomania in Algeria" (ইংরেজি ভাষায়)। Arab News। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  4. "La Grande Mosquée d'Alger, le chantier de trop du président déchu Abdelaziz Bouteflika" (ফরাসি ভাষায়)। Le Monde। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  5. "Africa's largest mosque has been completed with thanks to China"Quartz। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  6. "Bouteflika's mosque seen as monument to megalomania"Mail & Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  7. "Chinese company helps build world's third-largest mosque"China Global Television Network। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  8. "Africa's largest mosque set to open in Algeria's capital"China Global Television Network। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  9. "The Biggest Mosque in Africa is Now in Algeria, Not Morocco"Morocco World News। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  10. "Great Mosque of Algiers: an architectural masterpiece and a religious and cultural monument"Algeria Press Service। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]